আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
তথাকথিত এই কিটটি নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি বৈজ্ঞানিক চাতুরতা এবং রাজনীতির সংমিশ্রণে বর্তমানে একটি জটিল আকার ধারণ করেছে। ডঃ বিজন কুমার শীল কিট নিয়ে গবেষণা শুরু করার আগেই সূক্ষ্ম চালাকির আশ্রয় নিয়ে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ইমেজ এবং রাজনৈতিক লবিং এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত ও সবুজ সঙ্কেত এবং পত্রপত্রিকায় ব্যাপক ইতিবাচক (অতিরঞ্জিত ও মিথ্যা) প্রচারণার মাধ্যমে একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে নেন। অধিকন্তু, একজন পেশাদার সফল মার্কেটিং কর্মকর্তার মত কয়েকটি আকর্ষণীয় শব্দ যেমন: কিটটি দেশে তৈরি, সস্তা (২০০-৩০০ টাকা), অতি দ্রুত সময়ে (১০-১৫ মিনিট), মাত্র এক ফোটা রক্ত থেকে Coronavirus সনাক্ত করা যাবে, যেখানে বিদেশী আরটি-পিসিআর কিটে খরচ ২০০০-৩০০০ টাকা, কথাগুলো ব্যাপক প্রচারণা করে বাঙ্গালি জাতীকে emotionally blackmail করা হয়েছে। করনা মহামারীর এই মহাসঙ্কটে তাঁদের লোভনীয় কথাগুলো সহজ সরল বাঙ্গালী লুফে নিলো নির্দ্বিধায়, সম্পূর্ণ অচেনা-অজানা এক ডঃ শীল রাতারাতি বনে গেল মহাবিজ্ঞানী এবং বিধাতার পাঠানো বিশেষ দূত। তারপর প্রতিটি পত্রিকার নিত্যদিনের সংবাদ শিরোনাম গণস্বাস্থ্যের করনা কিট, ফেইস বুক সহ বিভিন্ন মিডিয়াতে এর পক্ষে প্রচার প্রচারনা তুঙ্গে। কারন আমজনতা বিজ্ঞান বোঝেনা, তাঁরা বোঝে এটা সস্তা, দেশী, সহজলভ্য ও দ্রুত কাজ করে। অথচ বিজ্ঞান কোন আবেগের বিষয় নয়, বিজ্ঞান সম্পূর্ণ পরীক্ষা নিরীক্ষা নির্ভর একটি বিষয়। যেহেতু আমজনতার আবেগকে সম্মান জানিয়ে বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি সবুজ সঙ্কেত রয়েছে, তাই দু একজন ছাড়া দেশের কোন বিজ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞ এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। কিন্তু বিদেশে নামী দামী প্রতিষ্ঠানে গবেষণারত কয়েকজন বিশেষজ্ঞ উক্ত কিটটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে মতামত দিয়েছেন যে এধরনের কিট Coronavirus সনাক্তকরণে অনুপযোগী, পৃথিবীর কোন দেশ ব্যাবহার করেনা এবং এর ব্যাবহার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ; সর্বোপরি কিটটি অসম্পূর্ণ ও সন্দেহজনক/বিতর্কিত। একজন বিজ্ঞানী কিংবা বিশেষজ্ঞও কিটটি কখনো সমর্থন করেননি।
তারপর শুরু হল কিট আবিষ্কারের যাত্রা যা বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ। নিম্নে কিটটির ঘোষণা থেকে শুরু করে এপর্যন্ত বিভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরা হল:
১। প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে Dot Blot test মোটেও কোন নতুন আবিষ্কার বা উদ্ভাবন নয়, বরং এটি অতি পুরাতন টেস্ট যা নব্বই এর দশকে আবিষ্কার হয়। বর্তমানে এধরনের বা এর চেয়ে বহুগুণে অত্যাধুনিক পঞ্চাশের অধিক Blood Antibody test যা FDA approval পেয়েছে বা অপেক্ষায় আছে কিন্তু ব্যাবহারের অনুমতি দেয়া হচ্ছেনা। অথচ এটিকে নতুন উদ্ভাবন বলে হইচই ফেলে দেয়া হয়েছে। গণস্বাস্থ্য চায়না থেকে raw materials (antigen, antibody, Nitrocellulose/PVDF membrane, other reagents) ক্রয় করে তাঁদের ল্যাবরেটরীতে শুধু assemble/ formulation করেছে, যা দেশের যে কোন Microbiologist/Immunologist করতে সক্ষম।
২। এই কিটের পুরু প্রক্রিয়াটা একটা typical Pseudoscience (starts with conclusion, then works backward to confirm, uses flawed methods with unrepeatable results, uses vague jargon to confuse and evade, grandiose claims that go beyond the evidence, inconsistent/invalid logics, hostile to criticism). গবেষণা শুরুর আগেই পত্র পত্রিকায় ও অন্যান্য মিডিয়াতে ঘোষণা দেয় যে তাঁদের হাতে কিট আছে যা দিয়ে এক ফোটা রক্ত থেকে ১০-১৫ মিনিটে নির্ভুলভাবে Coronavirus Antibody সনাক্ত করতে সক্ষম যাতে খরচ হবে মাত্র ২০০-৩০০ টাকা।
৩। তারপর তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে এবং সরল বিশ্বাসে ও অনেক আশা নিয়ে সরকারের তরফ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে চায়না/অন্যান্য দেশ থেকে raw materials ক্রয় করে। প্রশ্ন উঠে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ল্যাব ফ্যাসিলিটিস আছে কি না, যেহেতু এটি গবেষণা ভিত্তিক কোন প্রতিষ্ঠান নয়। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল গণস্বাস্থ্য ল্যাব পরিদর্শন করে দেখে ল্যাব ফ্যাসিলিটিস যথেষ্ট নয়। তখন গণস্বাস্থ্য সময় চায় এবং তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিনিধিদল দ্বিতীয়বার পরিদর্শন করে।
৪। তারপর গণস্বাস্থ্য সরকারের কাছে blood sample চায় এবং সরকার তা সরবরাহ করে। গণস্বাস্থ্য গবেষণার জন্য হাতে তিনদিন সময় নিয়ে কিট হস্তান্তরের তারিখ ঘোষণা করে। পরদিন হঠাৎ করেই তারা জানায় যে বৈদ্যুতিক গোলযোগের (sabotage?) কারণে তাঁদের গবেষণা এগোয়নি এবং raw materials ও নষ্ট হয়ে গেছে, তাই কিট হস্তান্তর বিলম্বিত হবে। অথচ ঐ সময়ে গণস্বাস্থ্য-এর আশেপাশে কোথাও বৈদ্যুতিক গোলযোগ হয়নি, তাই বিষয়টি খুবই সন্দেহজনক এবং নাটকীয়।
৫। সপ্তাহখানেক পরে তারা সরকারের কাছে আবারো blood sample চায় এবং তাঁদের তা দেয়া হয়। উল্লেখ্য, ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়াতে সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন। অথচ গণস্বাস্থ্য একটি প্রাইভেট industry হওয়া সত্যে ও দেশের স্বার্থে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখে। এর ১০-১২ দিন পর মাত্র ৫ টি blood sample টেস্ট করে, এমনকি sample গুলো RT-PCR test এর মাধ্যমে ক্রস চেক না করেই ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঘোষণা করেন যে তাঁদের কিট শতভাগ সফল এবং হঠাৎ নতুন যোগ করেন যে তাঁদের কিট Coronavirus-এর Antibody ও Antigen দুটোই সনাক্ত করতে সক্ষম। অথচ কিটটির Sensitivity and Accuracy নির্ণয়ের জন্য RT-PCR দিয়ে পরিক্ষিত এমন ২০০-৩০০ blood sample (Blind) তাঁদের কিট দিয়ে পরীক্ষার পর তুলনামূলক রেজাল্ট দেখে কিটটির কার্যকারিতার ব্যাপারে চূড়ান্ত মন্তব্য করা উচিত ছিল। চাতুরতার আশ্রয় নিয়ে অবৈজ্ঞানিকভাবে, প্রচলিত নিয়মনীতি না মেনে, তরিঘড়ি করে কিট সরাসরি হস্তান্তরের জন্য নামে নিজেরাই প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে যেখানে সরকারের, WHO বা FDA-এর কোন প্রতিনিধি ছিলনা। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের আগেই বলা হয়েছিল আরও শতাধিক নমুনা ব্যাপক পরীক্ষানিরীক্ষার পর বিস্তারিত রিসার্চ প্রটোকল এবং রেজাল্ট সহ প্রচলিত নিয়ম মেনে DGDA এবং DGDH বরাবর জমা দেয়ার জন্য। তারা তা না করে পথে ঘাটে প্রেস কনফারেন্স ও মিডিয়া তে সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার ঢালাও অভিযোগের মাধ্যমে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠল। শোনা যাচ্ছে কিট বিজ্ঞানে অজ্ঞ জনগণের হুজুগের তোপে, রাজনৈতিক প্রভাবে এবং মিডিয়ার চাপে শেষপর্যন্ত সরকার নমনীয় হয়ে অসম্পূর্ণ, তীব্র সন্দেহজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ গণস্বাস্থ্য কিটটি ICDDRB ও BSMMU-এর মাধ্যমে পরীক্ষা করার আনুমতি দিয়েছে।
৬। কিটটি অসম্পূর্ণ, গোঁজামিলের, মারাত্মকভাবে সন্দেহজনক এবং অবৈজ্ঞানিকভাবে উপস্থাপিত, যাকে বলে Pseudoscience. আনুষ্ঠানিক গবেষণা শুরু করার আগেই কিটটির মূল্য নির্ধারণ (২00-৩00 Taka) সময় নির্ধারণ (১০-১৫ মি:) এবং এক সপ্তাহের মধ্যে কিট সরবরাহ করার আশ্বাস। অথচ COVID-19 virus সম্পূর্ণ নতুন যার সবকিছুই এখনো অনাবিষ্কৃত ও রহস্যময়। এমন একটি virus নিয়ে কোন গবেষণা না করেই অনুমান নির্ভর অগ্রিম conclusion করা সম্পূর্ণ অপরিপক্ক ও অবৈজ্ঞানিক। বিভিন্ন সময় তাঁদের কথাবার্তা ছিল অসংলগ্ন ও চাতুরতাপূর্ণ, যার মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। তারা প্রথমে বলল কিটটি এক ফোটা রক্ত থেকে ১৫ মিনিটে ভাইরাসের Antibody নির্ণয় করবে। যখন তারা জানল Blood Antibody test নিয়ে WHO সতর্ক করেছে, মিডিয়াতে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রকাশিত হয়েছে যে এটি সহসাই false positive ও false negative result দিয়ে থাকে, Antibody তৈরিতে সপ্তাহের অধিক সময় লাগে বিধায় এটি COVID-19 সনাক্তকরণে অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ, তাই তারা কিট হস্তান্তরের প্রেস কনফারেন্সে বোল পালটিয়ে বলে বসল তাঁদের কিট Antibody ও Antigen দুটোই সনাক্ত করতে সক্ষম; যা সম্পূর্ণ অসম্ভব এবং against the immunology reaction/phenomenon. নমুনা COVID-19 antibody বা Antigen positive হলে ২য় ব্যান্ডটি দেখা যাবে, তাহলে ব্যান্ডটি Antibody বা Antigen কি না আলাদা করার কোন উপায় নেই। এটা গোঁজামিল বৈ কিছু নয়। Antibody এবং Antigen সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী দুটি প্রোটিন, একই নমুনা থেকে একই reaction/test-এর মাধ্যমে এই দুটি সনাক্ত করার কোন Test পৃথিবীতে এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। প্রথমে বলা হয়ে ছিল কিটটিতে একফোঁটা রক্ত লাগবে, এখন বলা হচ্ছে এক চামুচ রক্ত (৩-৫ cc) থেকে serum লাগবে, আবার বলা হচ্ছে তিন ফোটা রক্ত সরাসরি যোগ করতে হয়। Fresh blood এবং Serum-এর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য, যেমন পার্থক্য রয়েছে Antibody এবং Antigen-এর মধ্যে। এখানেও তারা vague কথাবার্তা বলছে, যা বৈজ্ঞানিক চাতুরতা ও অসততা। আবার যখন ৫ টি blood sample অপর্যাপ্ত বলে প্রশ্ন তলা হলো, তখন চট করে বলল যে তারা বিদেশ থেকে Corona রোগীর blood এনে পরীক্ষা করেছে, যা সম্পূর্ণ অসম্ভব, অবাস্তব ও পরিস্থিতি tackle দেয়ার অপকউশল মাত্র। “Transportation of Dangerous Goods” বলে একটা আন্তর্জাতিক আইন আছে, এই আইন না মেনে দুইদেশের সরকারি পর্যায়ে যৌথ অনুমোদন ছাড়া এক দেশ থেকে Infectious materials অন্য দেশে বহন/স্থানান্তর করা একেবারেই অসম্ভব ও মারাত্মক অপরাধ। ডঃ শীল কিটের কার্যকারিতা সম্পর্কে বলেছেন যে এটি Antibody নির্ণয়ে ৭৩% এবং Antigen নির্ণয়ে ৬৩% কার্যকর যা খুবই হাস্যকর ও লজ্জাজনক! পৃথিবীতে এমন কোন Math বা Statistics নেই যা দিয়ে ৫ টি স্যাম্পলের টেস্ট result 73% বা 63% calculation করা যায়! তাঁদের কথাবার্তায় এধরনের বহু controversy পাওয়া যায়। মানুষ কোন বিষয়ে sure না থাকলে বা মিথ্যার আশ্রয় নিলে তা কাটিয়ে নেয়ার জন্য এধরনের দিক বিদিক কথাবার্তা বলে থাকে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, ডাঃ চৌধুরী এবং তার বিজ্ঞানীরা পথে ঘাটে যেভাবে মাইকিং করে বেড়াচ্ছে (প্রেস চনফারেন্স) এবং নির্লজ্জভাবে দারে দারে কিট নিয়ে ধরনা দিচ্ছে তা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিরল এবং তাঁদের দুর্বলতার চরম বহিঃপ্রকাশ। এতে তারা শুধু নিজেরাই হেয় হয়নি, উন্নত দেশে নামিধামি প্রতিষ্ঠানে গবেষণারত ও বাংলাদেশের শতশত বিজ্ঞানীরা তাঁদের এই হীন কর্মকাণ্ডে বিস্মিত। একদিকে গবেষক দলের সদস্য ডঃ ফিরোজ আহমেদ ছাত্রলীগের/বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি, অন্যদিকে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী BNP/সরকারবিরোধী নেতা/মুক্তিযোদ্দা ইমেজ নিয়ে সরকারকে অসহযোগিতার দোষারোপ—এই দ্বিমুখী চাপ সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে কৌশলে এগুচ্ছে গণস্বাস্থ্য তাঁদের অসম্পূর্ণ, সন্দেহমূলক ও গোঁজামিলের কিটটির বৈধতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে।
পরিশেষে, কিটটি third party দিয়ে পরীক্ষার নিরীক্ষার সুযোগ দেয়ার পূর্বে সরকারের উচিত ডঃ শীলের সাভারস্থ BLRI চাকুরিকালিন (১৯৯৮-২০০২) তিন ধরনের গবেষণা জালিয়াতির তদন্ত সহ ২০০৩-২০২০ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে তার চাকুরীর তথ্য, ব্যাপক প্রচারিত তার ২০০৩ সালে SARS Dot Blot Kit আবিষ্কার ও তা china-র কাছে বিক্রির বিস্তারিত দালিলিক প্রমাণ যাচাই করা। তারপর কিট নিয়ে তাঁদের অবৈজ্ঞানিক ও বিভিন্ন সময় হরেকরকমের কথাবার্তা/তথ্য যাচাই; যেমন Antibody? Antigen? অথবা Antibody- Antigen দুটোই, Blood নাকি Serum sample? ৫ টি sample-এর রেজাল্ট কিভাবে ৭৩% বা ৬৩% হয়? কখন কিভাবে কোন দেশ (বিদেশ) থেকে তারা Corona রুগীর Blood sample আনল তার দালিলিক প্রমাণ (রুগীর নাম, নাম্বার, লিঙ্গ ও হসপিটালের ঠিকানা)? গণস্বাস্থ্যের বহুমাত্রিক চাপের কৌশলে পা না দিয়ে সরকারের উচিত গণস্বাস্থ্যকে বাধ্য করা যাতে তারা বিজ্ঞানের চিরাচরিত নিয়ম মাফিক তারা নিজেরাই বিভিন্ন RT-PCR test centre/হসপিটাল থেকে আরও ২০০-৩০০ Blood sample test করে তার রেজাল্ট ও RT-PCR রেজাল্টের সাথে তুলনামূলক বিশ্লেষণের পর এর প্রকৃত কার্যকারিতা নিরূপণ করা, যা তাঁদেরই কর্তব্য। তারপর নিয়ম মোতাবেক বিস্তারিত টেস্ট প্রটোকল ও রেজাল্ট সহ কিটটি অনুমোদনের জন্য DGDA ও DGDH বরাবর দাখিল করা। উদাহরণ স্বরূপ, অতিসম্প্রতি ভিয়েতনাম তাঁদের দেশের বিজ্ঞনীদের ব্যাপক পরক্ষানিরিক্ষার মাধ্যমে আবিষ্কৃত অধিকতর দ্রুত সময়ে সনাক্তকরণে সক্ষম COVID-19 RT-PCR কিটটি প্রথমে ভিয়েতনাম সরকারি ও পরে WHO/FDA অনুমোদন প্রাপ্তির পর তারা এটি ব্যাবহার করছে।
পৃথিবীর কোন দেশ অদ্যাবধি COVID-19 সনাক্তকরণে Blood Antibody test kit ব্যাবহার করেনা, RT-PCR-ই একমাত্র নির্ভরযোগ্য কিট যা সব দেশ ব্যাবহার করছে। দেশীয় সস্তা কিট দিয়ে ভুল সনাক্তকরণের মাধ্যমে মানুষকে মৃত্যুর ঝুঁকিতে না ফেলে একটু বেশী পয়সা খরচ করে সঠিক সনাক্তকরণ (RT-PCR) ও মানুষ বাঁচানো অধিক গুরুত্বপূর্ণ।