অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:
ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্রেডিট কার্ডে খেলাপি নয় এমন ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এর আগে গত মে মাসে প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ডে সুদহার নির্ধারণসহ গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণের বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে একটি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্রেডিট কার্ডে সুদহার কমাতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন উদ্যোগ বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ঋণের শ্রেণিমান অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংককে নির্ধারিত হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। অশ্রেণিকৃত ঋণে দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভিশন রাখতে হয়। বর্তমানে ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডে নিজেদের মতো সুদহার নির্ধারণ করে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষিত নীতিমালার আলোকে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে অন্য যেকোনো ঋণের সুদহারের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি সুদ নিতে পারবে। অন্য ঋণের তুলনায় অধিকাংশ ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে দ্বিগুণ বা তার চেয়েও বেশি নিয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নগদ লেনদেনের ঝুঁকি এড়াতে কার্ডভিত্তিক লেনদেনকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য গ্রাহক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ গ্রাহকের কার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ১০ লাখের মতো। মূলত অন্যান্য ঋণের তুলনায় ক্রেডিট কার্ডের সুদহার অনেক বেশি হওয়ায় এটি আশানুরূপ হারে জনপ্রিয় হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ব্যাংক খাতে ঋণের গড় সুদহার ১০ শতাংশের কম। অথচ ক্রেডিট কার্ডে অধিকাংশ ব্যাংক সুদ নিচ্ছে ৩০ শতাংশের আশেপাশে।