অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
সিয়েরালিওনে বন্যায় ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০০ জনের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহের ভয়াবহ এ ভূমিধসে এখনো নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ৬০০ জন। তাদের সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চলছে। তবে উদ্ধারকারীরা বলছে, দিন যত যাচ্ছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে আসছে।
গত সোমবার ভারি বৃষ্টিপাতে মাউন্ট সুগার লোফের একাংশ ধসে পড়লে মাটির নিচে চাপা পড়ে রাজধানী ফ্রিটাউনের উপকণ্ঠের রিজেন্ট টাউন। এটি শুধু সিয়েরালিওন নয়, পুরো আফ্রিকা মহাদেশে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনাগুলোর একটি। রোববার দেশের সব গির্জায় মৃতদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে, এ সপ্তাহে পার্শ্ববর্তী ওয়াটার লু সমাধিক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ৪৬১ জনের মরদেহ করব দিয়েছে।
ভূমিধসের পর ছয় দিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে তাদের বসতবাড়ি থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রিটাউনে পাহাড়ের পাশে বসবাসকারী আরো ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। পাহাড়ের একাংশে নতুন করে বিশাল ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, ভূমিধসের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়া মানুষ ফিরে এসে তাদের বসতভিটায় আর কিছুই অবশিষ্ট পায়নি। নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে পায়নি তারা। ব্যবহার্য জিনিসপত্রও নেই। সব বিলিন হয়ে গেছে।
ব্যাকারি কন্ট নামে এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘ভূমিধস সব শেষ করে দিয়েছে। রক্ষা করার মতো এখানে কিছুই নেই। এখানে আর বাস করতে চাই না আমি। আমি আতঙ্কিত।’ সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ভুক্তভোগীদের সহায্যার্থে অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণসহায়তা আসছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত, বনাঞ্চল ধ্বংস ও নগরায়নের ফলে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় ভূমিধসের আশঙ্কা বাড়ছে। গত বুধবার কঙ্গোর ইতুরি প্রদেশের আলবার্ট হৃদের পাশে ব্যাপক ভূমিধসে প্রায় ২০০ জন নিহত হয়েছেন।