আকাশ নিউজ ডেস্ক:
যেকোনো শহরে ঘুরতে গেলে যা যা আপনি চান, এর সবই পাবেন হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে৷ অসাধারণ সব ঐতিহ্যবাহী ভবন, উষ্ণ স্নানাগার এবং রোমাঞ্চকর নাইটলাইফ৷
চলুন ঘুরে আসি এই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট থেকে৷
চেইন ব্রিজ :
দানিয়ুব নদীর ওপর নয়টি ব্রিজের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো চেইন ব্রিজ৷ ১৮৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ব্রিজ৷ নদীর এক পাড়ে অবস্থিত বুদা থেকে অপর পাড়ের পেস্ট শহরে যেতে সব পর্যটককেই পাড়ি দিতে হয় এই ব্রিজ৷ ২০১৭ সালে প্রায় সোয়া এক কোটি পর্যটক রাত্রিযাপন করেছেন হাঙ্গেরির রাজধানীতে৷ গত ১০ বছরে এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে৷
দুর্গ শহর :
চেইন ব্রিজ থেকে সোজা হেঁটে গেলেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই এলাকায়৷ ছোট ছোট রাস্তা, বিশালাকার বাড়ি, গির্জা আর জাদুঘরে পূর্ণ এই এলাকা৷ হাঙ্গেরির রাজা এবং অভিজাতরা একসময় এখানে বাস করতেন৷ এখন এই প্রায় গাড়িমুক্ত অঞ্চলটিতে পর্যটকরা ঘুরে বেড়ান৷
সেচেনি উষ্ণ স্নান :
ইউরোপের অন্যান্য অনেক শহরের চেয়ে বুদাপেস্টে ঘুরে বেড়ানো অনেক সহজ৷ এখানে ঘুরে বেড়ানোর মধ্যেই একটু আয়েশ করে উষ্ণ পানির সুইমিং পুলে স্নান করে নিতে পারেন৷ সেচেনির উষ্ণ স্নানের ঔষধি গুণও অনেক৷
১৯১৩ সালে চালু হওয়া এই কমপ্লেক্সটি এ ধরনের স্নানাগারের মধ্যে বৃহত্তম৷ এই কমপ্লেক্সে ১৫টি পুল রয়েছে৷ পুলগুলোতে পানির তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে৷
গ্রেট সিনাগগ :
ইউরোপের সবচেয়ে বড় সিনাগগটি বুদাপেস্টে অবস্থিত৷ ১৮৫৪ সাল থেকে শুরু হয়ে ১৮৫৯ সাল পর্যন্ত চলে এর নির্মাণ কাজ৷ গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও টিকে ছিল মুরিশ স্টাইলে নির্মিত এ সিনাগগ৷
১৯৯৬ সালে সংস্কারের পর থেকে এটি আবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বমহিমায়৷ এই সিনাগগে একসঙ্গে তিন হাজার মানুষ উপাসনা করতে পারেন৷
ইহুদি কোয়ার্টার :
বুদাপেস্টের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি ইহুদি অঞ্চল৷ ঝলমলে বার, পাব, ক্লাব ও রেস্টুরেন্ট দর্শনার্থীদের কাছে এক অন্যরকম আকর্ষণ৷
পার্লামেন্ট ভবন :
বুদাপেস্টের পার্লামেন্ট ভবনটি বিশালাকৃতির৷ ২৬৮ মিটার লম্বা, ৯৬ মিটার উঁচু, ২৯টি সিঁড়ি এবং সাতশ’র কাছাকাছি কক্ষ রয়েছে ভবনটিতে৷
দানিয়ুবের পাড়ে অবস্থিত সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলোর একটি এটি৷ দুই পাড়ের এই পুরো শহুরে নান্দনিকতাকেই ১৯৮৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ইউনেস্কো৷