ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিদ্দিকুর চোখে দেখতে পাবেন কিনা তা নিশ্চিত হতে ৪/৬ সপ্তাহ

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চোখ নষ্ট হওয়া তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান চোখে দেখতে পাবেন কিনা তা নিশ্চিত হতে আরও ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তার চোখে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক। সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ তথ্য জানিয়ে ওই চিকিৎসক জানান, তাকে আজ (সোমবার) রিলিজ দেয়া হয়েছে। আগামী ১১ আগস্ট সিদ্দিকুর দেশে ফিরতে পারেন বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার বিকালে ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে অপারেশন শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার অপারেশন শেষে তাকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয় বলে জানিয়েছিলেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা।

চেন্নাইয়ের চিকিৎসক গত সোমবার সিদ্দিকুরের চোখ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তার দুই চোখই নষ্ট হয়ে গেছে। তবে রোগী চাইলে তারা অস্ত্রোপচার করবেন। রোগীর সম্মতি থাকায় তারা অস্ত্রোপচারের দিন নির্ধারণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।

২০ জুলাই শাহবাগে আন্দোলনের সময় পুলিশের টিয়ার শেলে সিদ্দিকুর রহমান চোখে আঘাত পান। প্রথমে সিদ্দিকুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ২৭ জুলাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে পাঠানো হয়। এখন তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

সিদ্দিকুর আহত হওয়ার পর আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন, পুলিশের টিয়ার শেলের আঘাতেই সিদ্দিকুরের দুই চোখে জখম হয়। তখন পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থীদের ছোড়া ফুলের টবের আঘাতে সিদ্দিকুর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পাশাপাশি পুলিশ ১২০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করে।

এ নিয়ে চার দিকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে ঘটনা তদন্তে ডিএমপির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি সোমবার (আজ) ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের আঘাতেই সিদ্দিকুরের চোখ আহত হয়েছে বলে উঠে এসেছে। ওই ঘটনায় একাধিক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার কথা বলা হয়েছে।

পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে দুই কর্মকর্তাসহ সাত পুলিশ সদস্যকে দায়ী করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যুব এশিয়া কাপ জয়ীদের মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেবে বিসিবি

সিদ্দিকুর চোখে দেখতে পাবেন কিনা তা নিশ্চিত হতে ৪/৬ সপ্তাহ

আপডেট সময় ১২:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০১৭

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চোখ নষ্ট হওয়া তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান চোখে দেখতে পাবেন কিনা তা নিশ্চিত হতে আরও ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তার চোখে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক। সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ তথ্য জানিয়ে ওই চিকিৎসক জানান, তাকে আজ (সোমবার) রিলিজ দেয়া হয়েছে। আগামী ১১ আগস্ট সিদ্দিকুর দেশে ফিরতে পারেন বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার বিকালে ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে অপারেশন শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার অপারেশন শেষে তাকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয় বলে জানিয়েছিলেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা।

চেন্নাইয়ের চিকিৎসক গত সোমবার সিদ্দিকুরের চোখ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তার দুই চোখই নষ্ট হয়ে গেছে। তবে রোগী চাইলে তারা অস্ত্রোপচার করবেন। রোগীর সম্মতি থাকায় তারা অস্ত্রোপচারের দিন নির্ধারণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।

২০ জুলাই শাহবাগে আন্দোলনের সময় পুলিশের টিয়ার শেলে সিদ্দিকুর রহমান চোখে আঘাত পান। প্রথমে সিদ্দিকুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ২৭ জুলাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে পাঠানো হয়। এখন তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

সিদ্দিকুর আহত হওয়ার পর আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন, পুলিশের টিয়ার শেলের আঘাতেই সিদ্দিকুরের দুই চোখে জখম হয়। তখন পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থীদের ছোড়া ফুলের টবের আঘাতে সিদ্দিকুর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পাশাপাশি পুলিশ ১২০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করে।

এ নিয়ে চার দিকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে ঘটনা তদন্তে ডিএমপির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি সোমবার (আজ) ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের আঘাতেই সিদ্দিকুরের চোখ আহত হয়েছে বলে উঠে এসেছে। ওই ঘটনায় একাধিক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার কথা বলা হয়েছে।

পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে দুই কর্মকর্তাসহ সাত পুলিশ সদস্যকে দায়ী করা হয়েছে।