অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
তেলসমৃদ্ধ আরব দেশ সৌদি আরব। শুধু তেলেই নয়, বেশ কিছু বিষয়ের কারণেই সৌদি আরব বিখ্যাত। আর এসব কারণে সৌদি আরবকে বলা হয় মধ্যপ্রাচের ‘পাওয়ার হাউজ’। এ লেখায় থাকছে সৌদি আরবেন বিষয়ে ১৫টি তথ্য।
১. সৌদি আরব বাংলাদেশের তুলনায় ১৪.৫ গুণ বড়। কিন্তু বাংলাদেশের জনসংখ্যা তাদের ছয়গুণ বেশি। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি হলেও সৌদি আরবের জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৭৩ লাখ।
২. সৌদি আরবে ২০১২ সালে তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষ হজ করতে আসে, যাদের অধিকাংশই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এ বিশাল সংখ্যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি।
৩. সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য জনসমক্ষে শিরশ্ছেদের প্রথা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এ কাজের জন্য উপযুক্ত ও আগ্রহী জল্লাদ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই শিরশ্ছেদ বন্ধ করা হতে পারে দেশটিতে।
৪. বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসেবে সৌদি আরবে নারীদের গাড়িচালনা নিষেধ। এ দেশটিতে অবশ্য কোনো আইনে তা লেখা নেই। কিন্তু নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় না।
৫. বিশ্বের সর্বোচ্চ বিল্ডিং নির্মাণ করছে সৌদি আরব। ২০১৮ সালে কিংডম টাওয়ার নামে এ বিল্ডিংটি নির্মিত হলে তা প্রায় এক কিলোমিটার উঁচু হবে।
৬. সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি উটের বাজার আছে। সেখানে প্রতিদিন প্রায় এক শ উট বিক্রি হয়।
৭. সৌদি আরবের প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমিকই বিদেশি। দেশটিতে প্রায় সাড়ে আট মিলিয়ন শ্রমিক রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ছয় মিলিয়নই বিদেশি। এ শ্রমিকদের একটি বড় অংশ তেলক্ষেত্র ও সেবাশিল্পে কাজ করে।
৮. বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র রয়েছে সৌদি আরবে। গাওয়ার তেলক্ষেত্রে মজুদ রয়েছে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ব্যারেল তেল। এ পরিমাণ তেল দিয়ে ৪৭ লাখেরও বেশি অলিম্পিকের সু্ইমিং পুল ভর্তি করা সম্ভব।
৯. সৌদি আরবের বার্ষিক সামরিক খরচ আফগানিস্তানের মোট জিডিপির তিন গুণ। ২০১৩ সালে এর পরিমাণ ছিল ৬৭ বিলিয়ন। সামরিক খরচের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার পরই সৌদি আরবের অবস্থান।
১০. জার্মানির তুলনায় ছয় গুণ বড় সৌদি আরব। তবে দেশটির অধিকাংশ স্থানই (৯৫%) মরুভূমি বা প্রায় মরুভূমি। ভূমির আকারের দিক দিয়ে বিশ্বের ১৩তম দেশ সৌদি আরব। দেশটির মাত্র ১.৪৫ ভাগ ভূমি চাষযোগ্য।
১১. সৌদি আরবে নির্মাণাধীন বিশ্বের সর্বোচ্চ বিল্ডিং কিংডম টাওয়ারের নির্মাণে ব্যয় হবে ১.২৩ বিলিয়ন ডলার।
১২. সৌদি আরবের জনসংখ্যায় তরুণদের হার বেশি। দেশটির প্রায় ৪৭ ভাগ জনসংখ্যার বয়স ২৪ বছরের কম। এ ছাড়াও দেশটি এক চতুর্থাংশ মানুষের বয়সই ১৪ বছরের কম।
১৩. সৌদি আরবের তেলশিল্প দেশটির মোট জিডিপির ৪৫ ভাগ যোগান দেয়। এটি ইরাক, মরক্কো, রুয়ান্ডা ও টংগার মিলিতভাবে মোট জিডিপির চেয়েও বেশি।
১৪. সৌদি আরবের স্বাস্থ্য খাতে মোট ব্যয় সিয়েরা লিওনের জিডিপির সাড়ে চার গুণ বেশি। স্বাস্থ্য খাতে সৌদি আরব জিডিপির ৩.৭ ভাগ খরচ করে।
১৫. সৌদি আরব ছয়টি ‘অর্থনৈতিক শহর’ তৈরি করছে। এগুলো (কেনিয়ার মোট জিডিপির সাড়ে তিন গুণ পরিমাণ অর্থ) সৌদি জিডিপিতে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এগুলোতে ১.৩ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।