অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:
ইউপিডিএফ এর নারী সংগঠন হিল উইমেন ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চলছে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ।
অবরোধের সর্মথনে বুধবার সকালের জেলার চেঙ্গী ব্রিজ এলাকার এবং পড়িয়া, স্বর্নিভর, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি, পানছড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় টায়ারে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি-ঢাকা ও চট্টগ্রাম সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করেনি।
এছাড়া জেলার খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ অভ্যন্তরীণ কোনো সড়কে যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচগুলো পুলিশ ও বিজিবি স্কটে খাগড়াছড়ি সদরে পৌঁছে দেয়া হয়।
এদিকে অবরোধের কারণে খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকরা কার্যত আটকা পড়েছে। সাজেক বা কোনো সড়কের যান চলাচল না করায় পর্যটকরা বিভিন্ন হোটেল অবস্থান করে।
ঢাকা থেকে কয়েকজন পর্যটকরা জানান, অবরোধের কথা আগে থেকে শুনিনি। খাগড়াছড়ি পৌঁছানোর পর জানতে পারি অবরোধে কারণে পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেক যাবে না । তাই এখন হোটেলেই অবস্থান করছি।
খাগড়াছড়ি জীপ সমিতির লাইন নিয়ন্ত্রক অরুণ দে বলেন, অতীতে বিশেষ ব্যবস্থায় সাজেকে পর্যটকদের যাতায়াত করানো হত। প্রশাসন সেভাবে ব্যবস্থা নিলে পর্যটকরা সাজেক যেতে পারবে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা বলেন, অবরোধে ছাত্র-যুব সমাজের বিপুল সর্মথন রয়েছে। তবে এখনো কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাউদ্দিন বলেন, জেলা সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও বড় রকমের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে জেলার পানছড়িতে পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
অবরোধে শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
প্রসঙ্গত রোরবার সকাল ৯টায় রাঙামাটির কতুকছড়িতে হামলা করে ইউপিডিএফ নারী সংগঠন হিল উইমেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দয়া সোনা চাকমাক অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। এই সময় ছাত্রদের একটি মেসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।