ঢাকা ১২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ বছরে নতুন জেটি হয়নি চট্টগ্রাম বন্দরে

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিবছর পণ্য ওঠানামায় ১৫ থেকে ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ১০ বছরে নতুন কোনো জেটি ও টার্মিনাল নির্মিত হয়নি। শুধু তাই নয়, ২০০৭ সালে সর্বশেষ নির্মিত সর্বাধুনিক টার্মিনাল নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালটি (এনসিটি) যন্ত্রপাতি সংযোজন করে পুরোদমে চালু করতে পারেনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় রেখে ধারাবাহিকভাবে জেটি-টার্মিনাল না বাড়ানোর খেসারত দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর জাহাজজটের কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন দেশের রপ্তানিকারকরা, আর আমদানিকারকরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৩০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে জার্মানির এইচপিসি হামবুর্গ (হামবুর্গ পোর্ট কনসালটিং জিএমবিএইচ)। তাদের পূর্বাভাস বলছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান প্রবৃদ্ধি ঠিক থাকলে বর্তমান জেটি-টার্মিনাল দিয়ে সর্বোচ্চ ২০১৬ সাল পর্যন্ত পণ্য ওঠানামা করা সম্ভব। আর যন্ত্রপাতি সংযোজন করে এনসিটি পুরোদমে চালু করলে চলতি ২০১৭ সাল পর্যন্ত পণ্য আসা-যাওয়ার চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকেই সক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য ওঠানামা করতে হবে বন্দরকে। কিন্তু নতুন টার্মিনাল ছাড়া তা কখনোই সম্ভব নয়। এ জন্য ২০১৯ সালের আগে অতিরিক্ত কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে গুরুত্বারোপ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কেন এমন হয়েছে জানতে চাইলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ এমপি বলেন, ‘বিগত ৭-৮ বছরে বন্দরের অর্থায়নে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে, কিন্তু বন্দরের মূল অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়নি।

জেটি-টার্মিনাল নির্মাণের চেয়ে পানি সরবরাহ, স্পোর্টস কমপ্লেক্সসহ নির্মাণে আগ্রহ বেশি ছিল। ’

এইচপিসি হামবুর্গ ও বন্দরের হিসাবে, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ও সাধারণ পণ্য মিলিয়ে মোট জেটি রয়েছে ১৮টি। এর মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে এনসিটি টার্মিনাল, যেখানে জেটি রয়েছে চারটি। সাত শ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালে এনসিটির নির্মাণকাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০০৭ সালে। কিন্তু যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং কোন পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হবে সেটি সিদ্ধান্ত নিতেই বন্দর কর্তৃপক্ষের সাত বছর লেগে যায়। ২০১৫ সালের অক্টোবরে আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই এনসিটি চালু করা হয়। এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯৮৬ সালে নির্মিত হয় চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি)। চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে দুটি জেটিতে এই টার্মিনালে ক্রেনবিহীন জাহাজ ভেড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি জাহাজের ধাক্কায় দুটি গ্যান্ট্রি ক্রেন অচল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া স্বাধীনতার আগে থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ছিল ১২টি জেটি, যেখানে ৬টি জেটিতে সাধারণ পণ্য আর ৬টি জেটিতে কনটেইনার পণ্য ওঠানামা করা হয়। এই ১২টি জেটি ১৯৭৯ সালে কিছুটা মেরামত করা হয়েছিল। এখন সেগুলো ক্রমাগত ব্যবহার উপযোগিতা হারাচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি জেটি ভাঙা ও কয়েকটি জেটি নিয়মিত খনন করে সচল রাখতে হচ্ছে।

জেটি এবং টার্মিনালের এই করুণ হাল দিয়ে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরকে। জেটি ও টার্মিনাল সংকট সামাল দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম ড্রাইডকে জাহাজ ভিড়িয়ে পণ্য খালাস করছে, কাফকো, সাইলো জেটি, রাতের বেলা জাহাজ চলাচল চালু করে সময় বাঁচিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে। কিন্তু বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, সাময়িকভাবে এটি করা যায়। জেটি চালু না হওয়া পর্যন্ত এর পুরো সমাধান মিলবে না। তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পোশাকশিল্পের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি কটিয়ে উঠতে আমরা যখন নিরলসভাবে কাজ করছি তখন চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজজট আমাদের কাছে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ২০০৪ সাল থেকেই আমরা নতুন জেটি ও ইয়ার্ড তৈরির তাগাদা দিলেও কোনো সুফল মেলেনি। আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ ছিল সব কিছু।

বন্দর ব্যবহারকারীরা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বিগত ১০ বছরে সাবেক বন্দর চেয়ারম্যানরা অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। বন্দরের নিজস্ব তহবিলের টাকায় পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, পানগাঁও টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে বন্দরের টাকায়, এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে পণ্য পরিবহনের জন্য কেনা হয়েছে রিকন্ডিশন্ড জাহাজ, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্স শিপ কেনা হয়েছে, সমুদ্রগামী জাহাজে পানি সরবরাহ জাহাজ কেনা হয়েছে, নদীর তীরে পার্ক নির্মিত হয়েছে, নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র, অডিটরিয়াম ও হাসপাতাল। কিন্তু বন্দরের মূল অবকাঠামো অর্থাৎ জেটি নির্মাণে কোনো তোড়জোড় ছিল না বন্দরের।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্ট এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে সব কাজই হয়েছে জেটি ও টার্মিনাল নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি সংযোজন ছাড়া। এক ইঞ্চি জেটি নির্মাণ না করাকে ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। ’

তিনি বলেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরকে পূর্ণ শক্তিতে কাজে না লাগিয়ে অন্য বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া কেন যেন ষড়যন্ত্র ভাব মনে হচ্ছে। এটি পুরো জাতির কাছে প্রতারণার মতো। বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে তদন্ত করে দেখা উচিত।

সংকট উত্তরণের বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালিদ ইকবাল অবশ্য জেটি ও টার্মিনাল সংকট কাটাতে ২০১৯ সালে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, ২০২০ সালে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল, ২০২১ সালের মধ্যে বে টার্মিনালের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যুব এশিয়া কাপ জয়ীদের মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেবে বিসিবি

১০ বছরে নতুন জেটি হয়নি চট্টগ্রাম বন্দরে

আপডেট সময় ০৭:০০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিবছর পণ্য ওঠানামায় ১৫ থেকে ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ১০ বছরে নতুন কোনো জেটি ও টার্মিনাল নির্মিত হয়নি। শুধু তাই নয়, ২০০৭ সালে সর্বশেষ নির্মিত সর্বাধুনিক টার্মিনাল নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালটি (এনসিটি) যন্ত্রপাতি সংযোজন করে পুরোদমে চালু করতে পারেনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় রেখে ধারাবাহিকভাবে জেটি-টার্মিনাল না বাড়ানোর খেসারত দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর জাহাজজটের কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন দেশের রপ্তানিকারকরা, আর আমদানিকারকরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৩০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে জার্মানির এইচপিসি হামবুর্গ (হামবুর্গ পোর্ট কনসালটিং জিএমবিএইচ)। তাদের পূর্বাভাস বলছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান প্রবৃদ্ধি ঠিক থাকলে বর্তমান জেটি-টার্মিনাল দিয়ে সর্বোচ্চ ২০১৬ সাল পর্যন্ত পণ্য ওঠানামা করা সম্ভব। আর যন্ত্রপাতি সংযোজন করে এনসিটি পুরোদমে চালু করলে চলতি ২০১৭ সাল পর্যন্ত পণ্য আসা-যাওয়ার চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকেই সক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য ওঠানামা করতে হবে বন্দরকে। কিন্তু নতুন টার্মিনাল ছাড়া তা কখনোই সম্ভব নয়। এ জন্য ২০১৯ সালের আগে অতিরিক্ত কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে গুরুত্বারোপ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কেন এমন হয়েছে জানতে চাইলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ এমপি বলেন, ‘বিগত ৭-৮ বছরে বন্দরের অর্থায়নে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে, কিন্তু বন্দরের মূল অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়নি।

জেটি-টার্মিনাল নির্মাণের চেয়ে পানি সরবরাহ, স্পোর্টস কমপ্লেক্সসহ নির্মাণে আগ্রহ বেশি ছিল। ’

এইচপিসি হামবুর্গ ও বন্দরের হিসাবে, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ও সাধারণ পণ্য মিলিয়ে মোট জেটি রয়েছে ১৮টি। এর মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে এনসিটি টার্মিনাল, যেখানে জেটি রয়েছে চারটি। সাত শ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালে এনসিটির নির্মাণকাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০০৭ সালে। কিন্তু যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং কোন পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হবে সেটি সিদ্ধান্ত নিতেই বন্দর কর্তৃপক্ষের সাত বছর লেগে যায়। ২০১৫ সালের অক্টোবরে আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই এনসিটি চালু করা হয়। এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯৮৬ সালে নির্মিত হয় চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি)। চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে দুটি জেটিতে এই টার্মিনালে ক্রেনবিহীন জাহাজ ভেড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি জাহাজের ধাক্কায় দুটি গ্যান্ট্রি ক্রেন অচল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া স্বাধীনতার আগে থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ছিল ১২টি জেটি, যেখানে ৬টি জেটিতে সাধারণ পণ্য আর ৬টি জেটিতে কনটেইনার পণ্য ওঠানামা করা হয়। এই ১২টি জেটি ১৯৭৯ সালে কিছুটা মেরামত করা হয়েছিল। এখন সেগুলো ক্রমাগত ব্যবহার উপযোগিতা হারাচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি জেটি ভাঙা ও কয়েকটি জেটি নিয়মিত খনন করে সচল রাখতে হচ্ছে।

জেটি এবং টার্মিনালের এই করুণ হাল দিয়ে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরকে। জেটি ও টার্মিনাল সংকট সামাল দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম ড্রাইডকে জাহাজ ভিড়িয়ে পণ্য খালাস করছে, কাফকো, সাইলো জেটি, রাতের বেলা জাহাজ চলাচল চালু করে সময় বাঁচিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে। কিন্তু বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, সাময়িকভাবে এটি করা যায়। জেটি চালু না হওয়া পর্যন্ত এর পুরো সমাধান মিলবে না। তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পোশাকশিল্পের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি কটিয়ে উঠতে আমরা যখন নিরলসভাবে কাজ করছি তখন চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজজট আমাদের কাছে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ২০০৪ সাল থেকেই আমরা নতুন জেটি ও ইয়ার্ড তৈরির তাগাদা দিলেও কোনো সুফল মেলেনি। আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ ছিল সব কিছু।

বন্দর ব্যবহারকারীরা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বিগত ১০ বছরে সাবেক বন্দর চেয়ারম্যানরা অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। বন্দরের নিজস্ব তহবিলের টাকায় পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, পানগাঁও টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে বন্দরের টাকায়, এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে পণ্য পরিবহনের জন্য কেনা হয়েছে রিকন্ডিশন্ড জাহাজ, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্স শিপ কেনা হয়েছে, সমুদ্রগামী জাহাজে পানি সরবরাহ জাহাজ কেনা হয়েছে, নদীর তীরে পার্ক নির্মিত হয়েছে, নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র, অডিটরিয়াম ও হাসপাতাল। কিন্তু বন্দরের মূল অবকাঠামো অর্থাৎ জেটি নির্মাণে কোনো তোড়জোড় ছিল না বন্দরের।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্ট এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে সব কাজই হয়েছে জেটি ও টার্মিনাল নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি সংযোজন ছাড়া। এক ইঞ্চি জেটি নির্মাণ না করাকে ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। ’

তিনি বলেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরকে পূর্ণ শক্তিতে কাজে না লাগিয়ে অন্য বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া কেন যেন ষড়যন্ত্র ভাব মনে হচ্ছে। এটি পুরো জাতির কাছে প্রতারণার মতো। বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে তদন্ত করে দেখা উচিত।

সংকট উত্তরণের বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালিদ ইকবাল অবশ্য জেটি ও টার্মিনাল সংকট কাটাতে ২০১৯ সালে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, ২০২০ সালে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল, ২০২১ সালের মধ্যে বে টার্মিনালের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন।