অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:
পুরো ডিসেম্বরে যেখানে শীতের ছিটেফোঁটা ছিল না, সেখানে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর মধ্য দিয়ে অর্ধশতাব্দীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে।
১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান দৈনিক আকাশকে জানান, ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তথ্য আমরা পেয়েছি। এটি ১৯৬৮ সালের পর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে উত্তরের হিম শীতল হাওয়ায় উত্তরাঞ্চলসহ কাঁপছে পুরো দেশ। আবহাওয়াবিদ মিজানু রহমান জানান, পুরো দেশজুড়ে শীতের এ প্রকোপ থাকবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর পরে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এছাড়া মাসের শেষের দিকে দেশজুড়ে এমন আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।
এদিকে পঞ্চগড়ে রেকর্ড গড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হলেও নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২.৯ ডিগ্রি, ডিমলায় ৩ ডিগ্রি ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, রাজধানীসহ সারা দেশে কয়েকটি এলাকায় ৪-৬ ঘণ্টা সূর্যের কিরণ দেখা যেতে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থাকছে কুয়াশাচ্ছন্ন। রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় এবং এর পার্শ্ববর্তী জেলায় একটু বেশি কুয়াশা থাকবে।
সকালে রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এদিকে তাপমাত্রা হঠাৎ করে নিচে নেমে যাওয়ায় শীতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে তীব্র শীতে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।
রোববার বিকাল পর্যন্ত কুড়িগ্রামে প্রচণ্ড শীতে নবজাতকসহ ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রোববার আধুনিক সদর হাসপাতালে শীতে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়। রাজারহাট উপজেলায় মারা গেছেন ৩ জন। মৃতদের মধ্যে গত শুক্রবার সকালে নয়ন মনি ও বৃহস্পতিবার মীম সদর হাসপাতালে মারা যায়। বাকি ৩ জনকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।