ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সাত কলেজের আন্দোলনকারীদের বৈঠক

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। রবিবার (২৩ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে তারা দেখা করেন। ওই সময় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাত কলেজের দুইজন করে শিক্ষার্থী ও একজন করে শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পুলিশের রমনা জোনের এডিসিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (২২ জুলাই)জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিবাদ সমাবেশে দাবি মানার জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ও ঢাবি কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয় বলে কলেজ প্রতিনিধিরা জানান।বৈঠকে উপস্থিত ওই সাত কলেজের একাধিক প্রতিনিধি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন।

তবে বৈঠকে উপস্থিত রাসেল সরকার নামে ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘বৈঠকে প্রতিনিধি হিসেবে সাত কলেজের অধ্যক্ষের পছন্দমতো শিক্ষার্থী পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি অন্যভাবে মিটিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যেই এ কাজ করা হয়েছে। আমি আন্দোলনে ছিলাম, অথচ কলেজের পক্ষ থেকে বৈঠকের বিষয়টি আমাকে জানানোই হয়নি।’ তিনি জানান, ‘খবর পেয়ে তিনি বৈঠকে আসেন। প্রথমে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি জোরপূর্বক বৈঠকে অংশ নেন।’

কবি নজরুল সরকারি কলেজের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে আমাদের আজকের (রবিবার) বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে। সিদ্দিকুরের জন্য অর্থসংগ্রহেও বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগ।’ তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থীও একই অভিযোগ করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সাত কলেজের আন্দোলনকারীদের বৈঠক

আপডেট সময় ০৬:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। রবিবার (২৩ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে তারা দেখা করেন। ওই সময় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাত কলেজের দুইজন করে শিক্ষার্থী ও একজন করে শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পুলিশের রমনা জোনের এডিসিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (২২ জুলাই)জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিবাদ সমাবেশে দাবি মানার জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ও ঢাবি কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয় বলে কলেজ প্রতিনিধিরা জানান।বৈঠকে উপস্থিত ওই সাত কলেজের একাধিক প্রতিনিধি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন।

তবে বৈঠকে উপস্থিত রাসেল সরকার নামে ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘বৈঠকে প্রতিনিধি হিসেবে সাত কলেজের অধ্যক্ষের পছন্দমতো শিক্ষার্থী পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি অন্যভাবে মিটিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যেই এ কাজ করা হয়েছে। আমি আন্দোলনে ছিলাম, অথচ কলেজের পক্ষ থেকে বৈঠকের বিষয়টি আমাকে জানানোই হয়নি।’ তিনি জানান, ‘খবর পেয়ে তিনি বৈঠকে আসেন। প্রথমে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি জোরপূর্বক বৈঠকে অংশ নেন।’

কবি নজরুল সরকারি কলেজের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে আমাদের আজকের (রবিবার) বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে। সিদ্দিকুরের জন্য অর্থসংগ্রহেও বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগ।’ তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থীও একই অভিযোগ করেন।