ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জলবায়ুজনিত ঝুঁকি রোধে উন্নত দেশের সহায়তা দরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

পরিকল্পনামন্ত্রী এ এইচ এম মোস্তফা কামাল জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ এখানে প্রাপ্ত জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।

মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং জলবায়ুজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে বিশেষ করে অর্থায়ন, উদ্ভাবনী সমাধান ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সহায়তা করতে হবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে পানি ও দুর্যোগ সংক্রান্ত ‘এডাপশন টু ক্লাইমেট চেঞ্জ, ফিনান্সিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার এন্ড এডভান্সিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক জাতিসংঘ বিশেষ থিমোটক অধিবেশনে বক্তৃতা করছিলেন।

বাংলাদেশের জলবায়ুজনিত ঝুঁকি বিশেষ করে পানি সংশ্লিষ্ট দুর্যোগের চুম্বক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিযোজন ও ক্ষতিপূরণ প্রচেষ্টায় অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট এসিসটেন্স (ওডিএ), গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড, দ্বিপক্ষীয় সংশ্লিষ্টতা ও মাল্টিলেটারাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকগুলোর (এমডিবি) অর্থায়নসহ সকল পর্যায়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিনিয়োগও প্রত্যাশা করবো। পরিকল্পনামন্ত্রী বিশ্বের বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি সকল মানবের কল্যাণে জাতীয় বাধা-বিপত্তি ভেঙ্গে ফেলা এবং ধারণা ও জ্ঞানের নেটওয়ার্ক সৃষ্টি এবং সর্বোচ্চ অনুশীলন করার আহ্বান জানান।

তিনি তার বক্তৃতায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবল আগ্রহের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ও আকস্মিক বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে আন্তঃসংযোগের বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি ও দুর্ভোগ থেকে জনগণকে রক্ষা করতে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসও পানি বিষয়ক বিশেষ দূত ড. হ্যান সাং-সো। এতে আরো বক্তব্য রাখেন হাঙ্গেরীয় প্রেসিডেন্ট জন্স এডার, মৌরিসাসের প্রেসিডেন্ট আমীনাহ গারিব-ফাকিম ও ৭১তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সভাপতি পিটার থমসন।

বাংলাদেশের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও দূত মাসুদ বিন মোমেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম ও পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিমও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যুব এশিয়া কাপ জয়ীদের মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেবে বিসিবি

জলবায়ুজনিত ঝুঁকি রোধে উন্নত দেশের সহায়তা দরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৪৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

পরিকল্পনামন্ত্রী এ এইচ এম মোস্তফা কামাল জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ এখানে প্রাপ্ত জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।

মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং জলবায়ুজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে বিশেষ করে অর্থায়ন, উদ্ভাবনী সমাধান ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সহায়তা করতে হবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে পানি ও দুর্যোগ সংক্রান্ত ‘এডাপশন টু ক্লাইমেট চেঞ্জ, ফিনান্সিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার এন্ড এডভান্সিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক জাতিসংঘ বিশেষ থিমোটক অধিবেশনে বক্তৃতা করছিলেন।

বাংলাদেশের জলবায়ুজনিত ঝুঁকি বিশেষ করে পানি সংশ্লিষ্ট দুর্যোগের চুম্বক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিযোজন ও ক্ষতিপূরণ প্রচেষ্টায় অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট এসিসটেন্স (ওডিএ), গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড, দ্বিপক্ষীয় সংশ্লিষ্টতা ও মাল্টিলেটারাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকগুলোর (এমডিবি) অর্থায়নসহ সকল পর্যায়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিনিয়োগও প্রত্যাশা করবো। পরিকল্পনামন্ত্রী বিশ্বের বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি সকল মানবের কল্যাণে জাতীয় বাধা-বিপত্তি ভেঙ্গে ফেলা এবং ধারণা ও জ্ঞানের নেটওয়ার্ক সৃষ্টি এবং সর্বোচ্চ অনুশীলন করার আহ্বান জানান।

তিনি তার বক্তৃতায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবল আগ্রহের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ও আকস্মিক বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে আন্তঃসংযোগের বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি ও দুর্ভোগ থেকে জনগণকে রক্ষা করতে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসও পানি বিষয়ক বিশেষ দূত ড. হ্যান সাং-সো। এতে আরো বক্তব্য রাখেন হাঙ্গেরীয় প্রেসিডেন্ট জন্স এডার, মৌরিসাসের প্রেসিডেন্ট আমীনাহ গারিব-ফাকিম ও ৭১তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সভাপতি পিটার থমসন।

বাংলাদেশের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও দূত মাসুদ বিন মোমেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম ও পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিমও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।