অাকাশ নিউজ ডেস্ক:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বন্যাদুর্গতদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ভাণ্ডার খালি নেই। যখন যা চাইবেন তার চেয়ে বেশি পাবেন। আগামী আরও এক থেকে দেড় মাস তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নীলফামারীর ডিমলায় ডালিয়া আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘এখন বন্যার পানি নেমে গেছে। ৯০ শতাংশ মানুষ ঘরে ফিরেছে। তাদের গৃহনির্মাণ ও খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী আরও এক থেকে দেড় মাস তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বন্যা মোকাবেলায় আমাদের বাঁধ রক্ষা করতে হবে। এ কারণে বাঁধ সুরক্ষায় আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’এসময় মন্ত্রী টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সংস্কারে ১০০ মেট্রিক টন চাল, একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ এবং ইঞ্জিন চালিত নৌকার জন্য পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার ৭২৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে পাঁচ কেজি করে চাল, এক কেজি করে ডাল, চিনি, লবণ, চিড়া, আধা কেজি মুড়ি, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক ডজন করে মোমবাতি ও দিয়াশলাই বিতরণ করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, নীলফামারী- ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মমতাজুল হক, ডিমলা উপজেলার চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ।
বিকাল ৪টায় নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।