ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি : সিইসি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হচ্ছে না জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র : মাহফুজ শেখ হাসিনাকে ফেরানোর চিঠির কথা স্বীকার করেছে ভারত: রফিকুল আলম ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় সুখবর দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আদালত বসানোর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ একদফা দাবিতে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি সাবেক বিডিআর সদস্যদের নির্বাচনের আগে সবাই গরিবের বন্ধু হয়ে ওঠেন : নুরুল হক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার : ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৭১ আমাদের শিকড়, ২৪ আমাদের অস্তিত্ব: সারজিস আলম দেশে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব :ফয়জুল করীম

নরকেও কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক হবে না’, ট্রাম্পে কে পাল্টা জবাব ট্রুডোর

আকাশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

কানাডার অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম অঙ্গরাজ্য হতে চায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবি নাকচ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার একীভূত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেছেন তিনি।

সোমবার ট্রুডোর পদত্যাগের খবরে আবারও কানাডাকে ৫১তম মার্কিন অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প।

এই আবহে এবার নিজের কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন ট্রুডো। কানাডার মার্কিন অঙ্গরাজ্য হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই জবাব দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ট্রুডো লিখেন, ‘কানাডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নরকেও নেই’।

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করতে ‘অর্থনৈতিক শক্তি’ ব্যবহারের হুশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

জবাবে ট্রুডো আরও লিখেন, ‘আমাদের দুই দেশের শ্রমিক এবং সম্প্রদায় একে অপরের সবচেয়ে বড় ব্যবসা এবং নিরাপত্তা অংশীদার হয়ে উপকৃত হয়’।

এদিকে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি এই নিয়ে বলেছেন, ‘কানাডা কখনও এই ক্ষেত্রে পিছু হটবে না’।

জোলির অভিযোগ, কানাডার চরিত্র বুঝতে পারেননি ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি খুবই শক্তিশালী। আমাদের মানুষরা খুবই শক্তিশালী। আমরা এই ধরনের কোনও হুমকির মুখে পড়ে কোনও ভাবেই পিছু পা হব না’।

গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার পরই তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন ট্রুডো। সেই সময় ট্রুডোকে গভর্নর বলে সম্বোধন করেছিলেন ট্রাম্প। মূলত বাণিজ্য ও অভিবাসন সমস্যা নিয়ে ট্রুডোর প্রশাসনের ওপর নাখোশ ছিলেন ট্রাম্প।

এছাড়া কানাডার ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রয়োগের ঘোষণাও দেন ট্রাম্প। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে উল্টো অপমান হজম করেন ট্রুডো। এসময় ট্রুডোকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং কানাডার টিকে থাকতে যে ভর্তুকির দরকার তার ভার আর বইতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। যদি কানাডা অঙ্গরাজ্য হতে চায়, তাহলে নীতি পাল্টাবেন ট্রাম্প।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নরকেও কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক হবে না’, ট্রাম্পে কে পাল্টা জবাব ট্রুডোর

আপডেট সময় ১২:২০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

আকাশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

কানাডার অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম অঙ্গরাজ্য হতে চায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবি নাকচ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার একীভূত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেছেন তিনি।

সোমবার ট্রুডোর পদত্যাগের খবরে আবারও কানাডাকে ৫১তম মার্কিন অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প।

এই আবহে এবার নিজের কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন ট্রুডো। কানাডার মার্কিন অঙ্গরাজ্য হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই জবাব দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ট্রুডো লিখেন, ‘কানাডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নরকেও নেই’।

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করতে ‘অর্থনৈতিক শক্তি’ ব্যবহারের হুশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

জবাবে ট্রুডো আরও লিখেন, ‘আমাদের দুই দেশের শ্রমিক এবং সম্প্রদায় একে অপরের সবচেয়ে বড় ব্যবসা এবং নিরাপত্তা অংশীদার হয়ে উপকৃত হয়’।

এদিকে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি এই নিয়ে বলেছেন, ‘কানাডা কখনও এই ক্ষেত্রে পিছু হটবে না’।

জোলির অভিযোগ, কানাডার চরিত্র বুঝতে পারেননি ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি খুবই শক্তিশালী। আমাদের মানুষরা খুবই শক্তিশালী। আমরা এই ধরনের কোনও হুমকির মুখে পড়ে কোনও ভাবেই পিছু পা হব না’।

গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার পরই তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন ট্রুডো। সেই সময় ট্রুডোকে গভর্নর বলে সম্বোধন করেছিলেন ট্রাম্প। মূলত বাণিজ্য ও অভিবাসন সমস্যা নিয়ে ট্রুডোর প্রশাসনের ওপর নাখোশ ছিলেন ট্রাম্প।

এছাড়া কানাডার ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রয়োগের ঘোষণাও দেন ট্রাম্প। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে উল্টো অপমান হজম করেন ট্রুডো। এসময় ট্রুডোকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং কানাডার টিকে থাকতে যে ভর্তুকির দরকার তার ভার আর বইতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। যদি কানাডা অঙ্গরাজ্য হতে চায়, তাহলে নীতি পাল্টাবেন ট্রাম্প।