ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমরা ৪৭ ও ৭১-এ প্রতারিত হয়েছি : হাসনাত আবদুল্লাহ সাদপন্থিরা হাসনাত ও সারজিসের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে: মামুনুল হক ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৭ জন খালাস ওবায়দুল কাদেরের দেশে থাকা-না থাকার প্রমাণ সরকারের হাতে নেই : শফিকুল আলম বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন : দুলু নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে : ডা. শাহাদাত কিংস পার্টির গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণ করবে জনগণ: ব্যারিস্টার রুমিন রাজধানীতে যুবদলের কর্মী সম্মেলন বিজয় দিবসে মোদীর বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে স্বৈরাচারের মাথা পালিয়েছে, লেজ রয়ে গেছে : তারেক রহমান

সাদপন্থিরা হাসনাত ও সারজিসের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে: মামুনুল হক

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

মাওলানা সাদের অনুসারীরা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মসজিদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুনুল হক জানান, ইজতেমা হবে কি হবে না- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওলামা সম্মেলনে। ইজতেমা ময়দান সংঘাত সম্পর্কে এটা দুপক্ষের সংঘর্ষ নয়, ঘুমন্ত সাথী ভাইদের ওপর একতরফা হামলা।

মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার করলে তাদেরও খেসারত দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি। মামুনুল হক বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না।

তিনি জানান, ওসামা বিন ওয়াসিফ-এর নেতৃত্বে যে হামলা হয়েছে, তার সব সিসিটিভি ফুটেজ আছে। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম কাকরাইল মসজিদে দু’পক্ষের মীমাংসার জন্য অবস্থান করছিলেন। তারা চেষ্টা করেছিলেন, হামলা বন্ধের।

এর আগে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) ও বেলাল (৬০)। বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে। বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকায় ও তাইজুল ইসলাম বগুড়া জেলার বাসিন্দা।

বুধবার ভোর ৪টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থীরা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে মাওলানা সাদ অনুসারী শত শত মুসল্লি কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের গেট দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করেন। এসময় ইজতেমা ময়দানের ফটকে জুবায়ের অনুসারীরা পাহারায় থাকায় তাদের মারধর করে ফটক খুলে ময়দানে প্রবেশ করেন সাদপন্থীরা। ময়দানের বিভিন্ন স্থানে ঘুমিয়ে থাকা জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান মাওলানা সাদের অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কিছু মুসল্লি আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাদপন্থিরা হাসনাত ও সারজিসের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে: মামুনুল হক

আপডেট সময় ০১:২৫:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

মাওলানা সাদের অনুসারীরা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মসজিদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুনুল হক জানান, ইজতেমা হবে কি হবে না- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওলামা সম্মেলনে। ইজতেমা ময়দান সংঘাত সম্পর্কে এটা দুপক্ষের সংঘর্ষ নয়, ঘুমন্ত সাথী ভাইদের ওপর একতরফা হামলা।

মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার করলে তাদেরও খেসারত দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি। মামুনুল হক বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না।

তিনি জানান, ওসামা বিন ওয়াসিফ-এর নেতৃত্বে যে হামলা হয়েছে, তার সব সিসিটিভি ফুটেজ আছে। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম কাকরাইল মসজিদে দু’পক্ষের মীমাংসার জন্য অবস্থান করছিলেন। তারা চেষ্টা করেছিলেন, হামলা বন্ধের।

এর আগে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) ও বেলাল (৬০)। বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে। বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকায় ও তাইজুল ইসলাম বগুড়া জেলার বাসিন্দা।

বুধবার ভোর ৪টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থীরা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে মাওলানা সাদ অনুসারী শত শত মুসল্লি কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের গেট দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করেন। এসময় ইজতেমা ময়দানের ফটকে জুবায়ের অনুসারীরা পাহারায় থাকায় তাদের মারধর করে ফটক খুলে ময়দানে প্রবেশ করেন সাদপন্থীরা। ময়দানের বিভিন্ন স্থানে ঘুমিয়ে থাকা জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান মাওলানা সাদের অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কিছু মুসল্লি আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।