ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমরা ৪৭ ও ৭১-এ প্রতারিত হয়েছি : হাসনাত আবদুল্লাহ সাদপন্থিরা হাসনাত ও সারজিসের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে: মামুনুল হক ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৭ জন খালাস ওবায়দুল কাদেরের দেশে থাকা-না থাকার প্রমাণ সরকারের হাতে নেই : শফিকুল আলম বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন : দুলু নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে : ডা. শাহাদাত কিংস পার্টির গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণ করবে জনগণ: ব্যারিস্টার রুমিন রাজধানীতে যুবদলের কর্মী সম্মেলন বিজয় দিবসে মোদীর বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে স্বৈরাচারের মাথা পালিয়েছে, লেজ রয়ে গেছে : তারেক রহমান

চঞ্চল-জয়াদের বয়কটের ডাক বিজেপি নেতার

আকাশ বিনোদন ডেস্ক :

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক লেনদেন ছিল রমরমা। বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীরা যেমন ভারতীয় ওয়েব কনটেন্ট ও সিনেমায় কাজ করছিলেন, তেমনি ভারতীয় অভিনয়শিল্পীরাও বাংলা সিনেমার শোভা বাড়িয়েছেন। কিন্তু গত আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই সাংস্কৃতিক লেনদেনে এখন ধস নামার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বাংলাদেশের ভারত-ঘেঁষা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পড়ে যায়। এর পরপরই বাংলাদেশিদের জন্য ভারত ভিসা সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এদিকে আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের হামলার পর বাংলাদেশও এই ইস্যুতে কঠোর হতে পারে।

ভিসা নিয়ে এই জটিলতায় এক দেশের শিল্পীদের অন্য দেশে কাজ করার ক্ষেত্রে এমনিতেই সংকট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের শিল্পীদের বয়কটের ডাক দিয়ে পরিস্থিতি আরও বেগতিক করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সল্টলেক বিজেপি অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার’ চললেও অভিনয়শিল্পীরা নিরব। প্রতিবাদ না করলে তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের কাজ থেকে বয়কট করতে হবে।

এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘কোনো ধর্মের মোড়কে বা উপাসনার পদ্ধতির মোড়কে আমরা কারো অভিনয় সত্তাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চাই না। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশের শিল্পীদের বয়কট করতে হবে। সেখানকার যারা ইসলাম ধর্মাবলম্বী অভিনয়শিল্পী আছেন, তারা বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করুন। হিন্দু অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলুক তারপর তাদের শুটিংয়ে নামান। ওপার বাংলায় অত্যাচার চলছে, আর তারা এখানে সিনেমা করবেন, কিন্তু কোনো প্রতিবাদ করবেন না, এটা তো হতে পারে না।’

এসময় বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী জয়া আহসানের নাম উল্লেখ করে এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে জয়া আহসানের তো হিন্দু দর্শকও আছেন। কিন্তু তিনি কোনো প্রতিবাদ করছেন না। জয়া আহসান না হয়ে যদি উনি জয়া ভাদুড়ি হতেন, তাহলে একটা প্রশ্ন ছিল। উনার ছবি মুসলমানেরা যেমন দেখেন, তেমনি হিন্দুরাও দেখেন। উনাকে প্রতিবাদ করতে হবে। আমরা এই ভিন্ন রাজনীতি চাই না।’

পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদেরও একহাত নিয়েছেন শমীক। হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানকার শিল্পীদেরও প্রতিবাদ চোখে পড়ছে না। গৌতম ঘোষের প্রতিবাদ কোথায় গেল? তিনি তো বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা করেছেন। তাকেও কোনো কথা বলতে দেখছি না। প্রসেনজিতের মতো অভিনেতার কাছ থেকেও সমাজ এটা আশা করে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চঞ্চল-জয়াদের বয়কটের ডাক বিজেপি নেতার

আপডেট সময় ০৭:২৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ বিনোদন ডেস্ক :

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক লেনদেন ছিল রমরমা। বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীরা যেমন ভারতীয় ওয়েব কনটেন্ট ও সিনেমায় কাজ করছিলেন, তেমনি ভারতীয় অভিনয়শিল্পীরাও বাংলা সিনেমার শোভা বাড়িয়েছেন। কিন্তু গত আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই সাংস্কৃতিক লেনদেনে এখন ধস নামার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বাংলাদেশের ভারত-ঘেঁষা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পড়ে যায়। এর পরপরই বাংলাদেশিদের জন্য ভারত ভিসা সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এদিকে আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের হামলার পর বাংলাদেশও এই ইস্যুতে কঠোর হতে পারে।

ভিসা নিয়ে এই জটিলতায় এক দেশের শিল্পীদের অন্য দেশে কাজ করার ক্ষেত্রে এমনিতেই সংকট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের শিল্পীদের বয়কটের ডাক দিয়ে পরিস্থিতি আরও বেগতিক করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সল্টলেক বিজেপি অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার’ চললেও অভিনয়শিল্পীরা নিরব। প্রতিবাদ না করলে তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের কাজ থেকে বয়কট করতে হবে।

এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘কোনো ধর্মের মোড়কে বা উপাসনার পদ্ধতির মোড়কে আমরা কারো অভিনয় সত্তাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চাই না। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশের শিল্পীদের বয়কট করতে হবে। সেখানকার যারা ইসলাম ধর্মাবলম্বী অভিনয়শিল্পী আছেন, তারা বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করুন। হিন্দু অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলুক তারপর তাদের শুটিংয়ে নামান। ওপার বাংলায় অত্যাচার চলছে, আর তারা এখানে সিনেমা করবেন, কিন্তু কোনো প্রতিবাদ করবেন না, এটা তো হতে পারে না।’

এসময় বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী জয়া আহসানের নাম উল্লেখ করে এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে জয়া আহসানের তো হিন্দু দর্শকও আছেন। কিন্তু তিনি কোনো প্রতিবাদ করছেন না। জয়া আহসান না হয়ে যদি উনি জয়া ভাদুড়ি হতেন, তাহলে একটা প্রশ্ন ছিল। উনার ছবি মুসলমানেরা যেমন দেখেন, তেমনি হিন্দুরাও দেখেন। উনাকে প্রতিবাদ করতে হবে। আমরা এই ভিন্ন রাজনীতি চাই না।’

পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদেরও একহাত নিয়েছেন শমীক। হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানকার শিল্পীদেরও প্রতিবাদ চোখে পড়ছে না। গৌতম ঘোষের প্রতিবাদ কোথায় গেল? তিনি তো বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা করেছেন। তাকেও কোনো কথা বলতে দেখছি না। প্রসেনজিতের মতো অভিনেতার কাছ থেকেও সমাজ এটা আশা করে।’