ঢাকা ০১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমরা ৪৭ ও ৭১-এ প্রতারিত হয়েছি : হাসনাত আবদুল্লাহ ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৭ জন খালাস ওবায়দুল কাদেরের দেশে থাকা-না থাকার প্রমাণ সরকারের হাতে নেই : শফিকুল আলম বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন : দুলু নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে : ডা. শাহাদাত কিংস পার্টির গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণ করবে জনগণ: ব্যারিস্টার রুমিন রাজধানীতে যুবদলের কর্মী সম্মেলন বিজয় দিবসে মোদীর বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে স্বৈরাচারের মাথা পালিয়েছে, লেজ রয়ে গেছে : তারেক রহমান ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

মূল্যস্ফীতির ফাঁদে মধ্যবিত্ত

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশে উঠেছে। এর অর্থ হচ্ছে- গত বছরের নভেম্বর মাসে একজন ভোক্তা ১০০ টাকায় যে পণ্য কিনতে পারতেন, এখন সেই পরিমাণ খাদ্যপণ্য কিনতে তাকে ১১৩ টাকা ৮০ পয়সা ব্যয় করতে হচ্ছে। অর্থাৎ খাদ্যপণ্য কিনতে শতকরা গড়ে প্রায় ১৪ টাকা ব্যয় বেড়েছে।

সরকারি এই হিসাবে আস্থা রাখছেন না রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সাইদুল আলম। প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহার হয়- এমন কয়েকটি পণ্য যেমন : চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, পিঁয়াজ, ডিমের দাম হিসাব করে দেখালেন, গত বছরের ১০০ টাকার পণ্য কিনতে এখন তাঁকে কম করে হলেও ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। তার হিসাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সরকারি হিসাবের প্রায় দ্বিগুণ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে পড়া সাধারণ মানুষের এই হিসাবের যে ভিত্তি রয়েছে সেটি স্বীকার করে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। তারা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে, বিগত ১৫ বছরে পতিত সরকার সামষ্টিক অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির হিসাব কমিয়ে দেখিয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিবিএস যে তথ্য প্রকাশ করেছে প্রকৃত মূল্যস্ফীতি ছিল তার চেয়ে বেশি।

উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের একটি জরিপ তুলে ধরে শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, বিবিএসের তথ্যের তুলনায় মূল্যস্ফীতি ছিল অবিশ্বাস্য রকমের বেশি। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষ বা বাজারের হালনাগাদ তথ্য না নিয়েই যে মূল্যস্ফীতির হিসাব হতো সেই বিষয়টি উঠে এসেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিংয়ের (সানেম) জরিপে। ৪০০টি শহর ও ৪০০টি গ্রামীণ পরিবার নিয়ে করা জরিপের তথ্য দিয়ে শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরিবারগুলোর মাসিক আয় একই ছিল, যেখানে মাসিক ব্যয় গড়ে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। অথচ ওই সময়ে মূল্যস্ফীতি দেখানো হয়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, জরিপে যে ব্যয় বাড়ার তথ্য এসেছে, বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হিসাব তার চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ পয়েন্ট কম। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, বিবিএস মূল্যস্ফীতি ৯ থেকে ১১ শতাংশে দেখানোর যে পথ ধরে হেঁটেছে, বাস্তবে সেই মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ। শ্বেতপত্র প্রণয়নে সম্পৃক্তরা বলছেন, বিবিএস মূল্যস্ফীতির হিসাব করে ৭২৪টি পণ্য ধরে। সাধারণ মানুষের হিসাবে এত পণ্য আসে না। বেশি পণ্যের হিসাবের গড় করায় অনেক সময় প্রকৃত মূল্যস্ফীতির তথ্য পাওয়া যায় না। সে কারণে আমাদের সুপারিশ ছিল নিম্ন আয় বা শ্রমজীবী মানুষের খাদ্যপণ্য হিসাব করে তাদের জন্য পৃথক তথ্য দেওয়ার। সেটি করতে পারলে বোঝা যেত নিম্নআয়ের মানুষ কত বেশি মূল্যস্ফীতির চাপে আছে।

মূল্যস্ফীতি এক দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণা : বিগত সরকারের আমলে কারসাজি করে মূল্যস্ফীতি কমালেও জনগণের দুর্ভোগ যে কমানো যায়নি- সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে শ্বেতপত্রে। ‘মূল্যস্ফীতি এক দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণা যা সাধারণ মানুষকে পীড়া দেয়’ শিরোনামে একটি অংশে বলা হয়েছে, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিম্নআয়ের গোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানের ওপর তীব্র প্রভাব ফেলেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সমাজে দারিদ্র্য ও অসমতা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে। সেই বেসরকারি চাকরিজীবী সাইদুল আলম জানান, গত বছরের তুলনায় তার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন কম খাদ্যে মাস চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। আগের বছর চার সদস্যের পরিবারের সবাই প্রতিদিন সকালে একটি করে ডিম খেতে পারলেও এখন একদিন পরপর খাচ্ছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় দুই ছেলেকে দুধ খেতে দিলেও এখন তা বাদ দিতে হয়েছে। এমন কি ব্যয় সামাল দিতে গিয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকের মাসিক সঞ্চয়ি আমানতের হিসাব ভেঙে ফেলতে হয়েছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয় করতে গিয়ে মধ্যবিত্ত এই পরিবারটি সঞ্চয় ও পুষ্টির ঘাটতিতে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা এটিকে মূল্যস্ফীতির ফাঁদ বলে উল্লেখ করছেন। সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে- নিম্নআয় বা সীমিত আয়ের মানুষের আয় বাড়ানোর সুযোগ থাকে না। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের অভিঘাত পড়ে। ব্যয়ের তুলনায় আয় না বাড়ার কারণে ব্যক্তি সঞ্চয় ভেঙে ফেলা; শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বা খরচ হ্রাস করা এবং খাদ্য কাটছাঁট করে ব্যয় সমন্বয় তারই প্রভাব। সিপিডির এই গবেষক বলেন, স্বল্পমেয়াদে মূল্যস্ফীতির প্রভাব মোকাবিলা করা যায় কিন্তু যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি মাসের পর মাস চলতেই থাকে তখনই এটি ফাঁদে পরিণত হয়। এই ফাঁদে পড়ে নিম্নআয়ের মানুষ দরিদ্র এবং দরিদ্র মানুষ হয়ে পড়ছেন হতদরিদ্র।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতির ফাঁদে মধ্যবিত্ত

আপডেট সময় ০৩:১৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশে উঠেছে। এর অর্থ হচ্ছে- গত বছরের নভেম্বর মাসে একজন ভোক্তা ১০০ টাকায় যে পণ্য কিনতে পারতেন, এখন সেই পরিমাণ খাদ্যপণ্য কিনতে তাকে ১১৩ টাকা ৮০ পয়সা ব্যয় করতে হচ্ছে। অর্থাৎ খাদ্যপণ্য কিনতে শতকরা গড়ে প্রায় ১৪ টাকা ব্যয় বেড়েছে।

সরকারি এই হিসাবে আস্থা রাখছেন না রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সাইদুল আলম। প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহার হয়- এমন কয়েকটি পণ্য যেমন : চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, পিঁয়াজ, ডিমের দাম হিসাব করে দেখালেন, গত বছরের ১০০ টাকার পণ্য কিনতে এখন তাঁকে কম করে হলেও ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। তার হিসাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সরকারি হিসাবের প্রায় দ্বিগুণ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে পড়া সাধারণ মানুষের এই হিসাবের যে ভিত্তি রয়েছে সেটি স্বীকার করে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। তারা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে, বিগত ১৫ বছরে পতিত সরকার সামষ্টিক অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির হিসাব কমিয়ে দেখিয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিবিএস যে তথ্য প্রকাশ করেছে প্রকৃত মূল্যস্ফীতি ছিল তার চেয়ে বেশি।

উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের একটি জরিপ তুলে ধরে শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, বিবিএসের তথ্যের তুলনায় মূল্যস্ফীতি ছিল অবিশ্বাস্য রকমের বেশি। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষ বা বাজারের হালনাগাদ তথ্য না নিয়েই যে মূল্যস্ফীতির হিসাব হতো সেই বিষয়টি উঠে এসেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিংয়ের (সানেম) জরিপে। ৪০০টি শহর ও ৪০০টি গ্রামীণ পরিবার নিয়ে করা জরিপের তথ্য দিয়ে শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরিবারগুলোর মাসিক আয় একই ছিল, যেখানে মাসিক ব্যয় গড়ে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। অথচ ওই সময়ে মূল্যস্ফীতি দেখানো হয়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, জরিপে যে ব্যয় বাড়ার তথ্য এসেছে, বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হিসাব তার চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ পয়েন্ট কম। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, বিবিএস মূল্যস্ফীতি ৯ থেকে ১১ শতাংশে দেখানোর যে পথ ধরে হেঁটেছে, বাস্তবে সেই মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ। শ্বেতপত্র প্রণয়নে সম্পৃক্তরা বলছেন, বিবিএস মূল্যস্ফীতির হিসাব করে ৭২৪টি পণ্য ধরে। সাধারণ মানুষের হিসাবে এত পণ্য আসে না। বেশি পণ্যের হিসাবের গড় করায় অনেক সময় প্রকৃত মূল্যস্ফীতির তথ্য পাওয়া যায় না। সে কারণে আমাদের সুপারিশ ছিল নিম্ন আয় বা শ্রমজীবী মানুষের খাদ্যপণ্য হিসাব করে তাদের জন্য পৃথক তথ্য দেওয়ার। সেটি করতে পারলে বোঝা যেত নিম্নআয়ের মানুষ কত বেশি মূল্যস্ফীতির চাপে আছে।

মূল্যস্ফীতি এক দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণা : বিগত সরকারের আমলে কারসাজি করে মূল্যস্ফীতি কমালেও জনগণের দুর্ভোগ যে কমানো যায়নি- সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে শ্বেতপত্রে। ‘মূল্যস্ফীতি এক দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণা যা সাধারণ মানুষকে পীড়া দেয়’ শিরোনামে একটি অংশে বলা হয়েছে, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিম্নআয়ের গোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানের ওপর তীব্র প্রভাব ফেলেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সমাজে দারিদ্র্য ও অসমতা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে। সেই বেসরকারি চাকরিজীবী সাইদুল আলম জানান, গত বছরের তুলনায় তার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন কম খাদ্যে মাস চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। আগের বছর চার সদস্যের পরিবারের সবাই প্রতিদিন সকালে একটি করে ডিম খেতে পারলেও এখন একদিন পরপর খাচ্ছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় দুই ছেলেকে দুধ খেতে দিলেও এখন তা বাদ দিতে হয়েছে। এমন কি ব্যয় সামাল দিতে গিয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকের মাসিক সঞ্চয়ি আমানতের হিসাব ভেঙে ফেলতে হয়েছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয় করতে গিয়ে মধ্যবিত্ত এই পরিবারটি সঞ্চয় ও পুষ্টির ঘাটতিতে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা এটিকে মূল্যস্ফীতির ফাঁদ বলে উল্লেখ করছেন। সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে- নিম্নআয় বা সীমিত আয়ের মানুষের আয় বাড়ানোর সুযোগ থাকে না। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের অভিঘাত পড়ে। ব্যয়ের তুলনায় আয় না বাড়ার কারণে ব্যক্তি সঞ্চয় ভেঙে ফেলা; শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বা খরচ হ্রাস করা এবং খাদ্য কাটছাঁট করে ব্যয় সমন্বয় তারই প্রভাব। সিপিডির এই গবেষক বলেন, স্বল্পমেয়াদে মূল্যস্ফীতির প্রভাব মোকাবিলা করা যায় কিন্তু যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি মাসের পর মাস চলতেই থাকে তখনই এটি ফাঁদে পরিণত হয়। এই ফাঁদে পড়ে নিম্নআয়ের মানুষ দরিদ্র এবং দরিদ্র মানুষ হয়ে পড়ছেন হতদরিদ্র।