ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শুধু নির্বাচনের জন্য ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দেয়নি : মাসুদ সাঈদী ৭ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবেন দুদকের নতুন চেয়ারম্যান-কমিশনাররা :আবদুল মোমেন মন্ত্রণালয়ে রাজাকারের কোনো তালিকা নেই : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে :নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান এখন যুদ্ধের মাধ্যম সমাবেশ বা মিছিল নয়, বরং’সাইবার যুদ্ধ: ফখরুল তরুণ প্রজন্মকে মাইনাস করে পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণের চিন্তা ভুল : হাসনাত আব্দুল্লাহ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা দিল্লির কাছে সমর্পণের জন্য নয় : রিজভী দেশের মানুষ এখন আর কারও চোখ রাঙানিকে পরোয়া করে না: জামায়াত আমির আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল

চীনে তিন লাখ বছরের পুরনো মানব ফসিল আবিস্কারের দাবি

আকাশ নিউজ ডেস্ক :

চীনে তিন লক্ষ বছরের পুরনো মানব ফসিল আবিস্কার করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। সে সময়ের মানুষেরা বিবর্তনের মাধ্যমে পরবর্তীতে হোমোসেপিয়ানদের রূপ পায়। এরপর হোমোসেপিয়ানদের অর্জন আধুনিক সব মানুষ ধারন করে। তারা পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশের ডংঝি কাউন্টি’র হুয়ালংডং সাইটে মানব ফসিলের সাথে অন্যান্য প্রানীর হাড়গোড় এবং বেশ কিছু পাথরের তৈরি যন্ত্রপাতিও উম্মোচন করেছে।

চীনা গবেষকরা ডংঝিতে শুক্রবার থেকে থেকে রবিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এক একাডেমিক সম্মেলনে হুয়ালংডং সাইটের এই আবিস্কারের কথা তুলে ধরেছে। দেশি-বিদেশি প্রায় ১০০ বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও বিজ্ঞানী ঐ একাডেমিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে হুয়ালংডং সাইটের আবিস্কার। খনন শুরু ২০১৩ সালে। এরপর হুয়ালংডং সাইট থেকে সম্পূর্ণ মাথার খুলিসহ প্রায় বিশটি মানুষের ফসিল, চার শতাধিক পাথরের তৈরি শিল্পকর্ম, অনেকগুলো হাড়ের অংশ- যা কাটাকাটিতে ব্যবহৃত হত এবং ৮০টির বেশি মেরুদন্ডী প্রাণির ফসিল আবিস্কৃত হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের একটা দল সাইটটির ৪০ বর্গমিটার এলাকায় নতুনভাবে খোঁড়াখুড়ি করে। তারা ১১ টি মানব ফসিল, ভালভাবে সনাক্তযোগ্য পায়ের পাতার হাড়, উরুর একটা হাড়ের অংশ, একটা ভাঙ্গা হাড় এবং আটটা মাথার খুলির অংশ বিশেষ আবিস্কার করে।

চীনের একাডেমি অব সায়েন্সের জীবাশ্ম বিজ্ঞানী ও খননকারী দলের প্রধান উ শিউজি বলেন, এই আবিস্কারগুলোর আলোকে ধারণা করা যায় যে, ঐ সাইটটিতে এক সময় ২০ জনের বেশি মানুষের একটা বড় পরিবার বাস করত। ওখানে তাদের একটা ডাইনিং হল ছিল, যেখানে তারা খাদ্য প্রক্রিয়াকরনের কাজে কাটাকাটিও করত। রাতের বেলা বন্যপ্রাণিদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ওখানে একটা গর্তের মত ছিল যেটাকে তাদের বেডরুম বলা যেতে পারে। যা এখন ধ্বংস প্রায়।

উ শিউজি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে অনুসন্ধান খননে আরো ফসিল এই সাইট থেকে আবিস্কৃত হতে পারে। ২০১৫ সালে হুয়ালংডং সাইটে একটা মাথার খুলির ফসিল পাওয়া যায়। যেটাকে গবেষকরা একটা ১৩ থেকে ১৪ বছরের মেয়ের মাথা বলে মনে করেছেন। মেয়েটির মাথার ওই খুলিটিতে অতীত এবং বর্তমান মানুষের মধ্যেকার এক অসাধারন ঐক্যতান খুঁজে পাওয়া যায়। মুখের গঠনটা আগের দিনের মানুষের বিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক মানুষ হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেয়। বলে সমতল মুখের কথা, চোখের হাই সকেট, সরু মাথার খুলি এবং মাড়ির কথা। আর এসবই বলে আমাদের চিবুকের বিকাশের কথা। মেয়েটি দেখতে আমাদের মতই ছিল কিছু প্রাচীন চিহ্ন বাদে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনে তিন লাখ বছরের পুরনো মানব ফসিল আবিস্কারের দাবি

আপডেট সময় ১১:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ নিউজ ডেস্ক :

চীনে তিন লক্ষ বছরের পুরনো মানব ফসিল আবিস্কার করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। সে সময়ের মানুষেরা বিবর্তনের মাধ্যমে পরবর্তীতে হোমোসেপিয়ানদের রূপ পায়। এরপর হোমোসেপিয়ানদের অর্জন আধুনিক সব মানুষ ধারন করে। তারা পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশের ডংঝি কাউন্টি’র হুয়ালংডং সাইটে মানব ফসিলের সাথে অন্যান্য প্রানীর হাড়গোড় এবং বেশ কিছু পাথরের তৈরি যন্ত্রপাতিও উম্মোচন করেছে।

চীনা গবেষকরা ডংঝিতে শুক্রবার থেকে থেকে রবিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এক একাডেমিক সম্মেলনে হুয়ালংডং সাইটের এই আবিস্কারের কথা তুলে ধরেছে। দেশি-বিদেশি প্রায় ১০০ বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও বিজ্ঞানী ঐ একাডেমিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে হুয়ালংডং সাইটের আবিস্কার। খনন শুরু ২০১৩ সালে। এরপর হুয়ালংডং সাইট থেকে সম্পূর্ণ মাথার খুলিসহ প্রায় বিশটি মানুষের ফসিল, চার শতাধিক পাথরের তৈরি শিল্পকর্ম, অনেকগুলো হাড়ের অংশ- যা কাটাকাটিতে ব্যবহৃত হত এবং ৮০টির বেশি মেরুদন্ডী প্রাণির ফসিল আবিস্কৃত হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের একটা দল সাইটটির ৪০ বর্গমিটার এলাকায় নতুনভাবে খোঁড়াখুড়ি করে। তারা ১১ টি মানব ফসিল, ভালভাবে সনাক্তযোগ্য পায়ের পাতার হাড়, উরুর একটা হাড়ের অংশ, একটা ভাঙ্গা হাড় এবং আটটা মাথার খুলির অংশ বিশেষ আবিস্কার করে।

চীনের একাডেমি অব সায়েন্সের জীবাশ্ম বিজ্ঞানী ও খননকারী দলের প্রধান উ শিউজি বলেন, এই আবিস্কারগুলোর আলোকে ধারণা করা যায় যে, ঐ সাইটটিতে এক সময় ২০ জনের বেশি মানুষের একটা বড় পরিবার বাস করত। ওখানে তাদের একটা ডাইনিং হল ছিল, যেখানে তারা খাদ্য প্রক্রিয়াকরনের কাজে কাটাকাটিও করত। রাতের বেলা বন্যপ্রাণিদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ওখানে একটা গর্তের মত ছিল যেটাকে তাদের বেডরুম বলা যেতে পারে। যা এখন ধ্বংস প্রায়।

উ শিউজি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে অনুসন্ধান খননে আরো ফসিল এই সাইট থেকে আবিস্কৃত হতে পারে। ২০১৫ সালে হুয়ালংডং সাইটে একটা মাথার খুলির ফসিল পাওয়া যায়। যেটাকে গবেষকরা একটা ১৩ থেকে ১৪ বছরের মেয়ের মাথা বলে মনে করেছেন। মেয়েটির মাথার ওই খুলিটিতে অতীত এবং বর্তমান মানুষের মধ্যেকার এক অসাধারন ঐক্যতান খুঁজে পাওয়া যায়। মুখের গঠনটা আগের দিনের মানুষের বিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক মানুষ হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেয়। বলে সমতল মুখের কথা, চোখের হাই সকেট, সরু মাথার খুলি এবং মাড়ির কথা। আর এসবই বলে আমাদের চিবুকের বিকাশের কথা। মেয়েটি দেখতে আমাদের মতই ছিল কিছু প্রাচীন চিহ্ন বাদে।