ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শুধু নির্বাচনের জন্য ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দেয়নি : মাসুদ সাঈদী ৭ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবেন দুদকের নতুন চেয়ারম্যান-কমিশনাররা :আবদুল মোমেন মন্ত্রণালয়ে রাজাকারের কোনো তালিকা নেই : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে :নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান এখন যুদ্ধের মাধ্যম সমাবেশ বা মিছিল নয়, বরং’সাইবার যুদ্ধ: ফখরুল তরুণ প্রজন্মকে মাইনাস করে পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণের চিন্তা ভুল : হাসনাত আব্দুল্লাহ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা দিল্লির কাছে সমর্পণের জন্য নয় : রিজভী দেশের মানুষ এখন আর কারও চোখ রাঙানিকে পরোয়া করে না: জামায়াত আমির আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল

মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ রহস্যে নতুন মোড়

আকাশ নিউজ ডেস্ক :

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের (JWST) নতুন পর্যবেক্ষণ মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের দীর্ঘদিনের রহস্যে নতুন আলোকপাত করেছে। সম্প্রতি টেলিস্কোপের প্রথম দুই বছরের ডেটা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়, বরং মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের একটি নতুন বৈশিষ্ট্য হতে পারে।

বিষয়টি ‘হাবল টেনশন’ নামে পরিচিত, যা মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হারের প্রক্ষেপণ ও পর্যবেক্ষণের মধ্যে বিরোধ তুলে ধরে। ২০১৯ সালে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের ডেটা এই সমস্যার অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছিল। এবার JWST-এর ডেটা, যা সম্প্রতি ‘The Astrophysical Journal’-এ প্রকাশিত হয়েছে, এই সমস্যা সমাধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে।

নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ও গবেষণার প্রধান লেখক অ্যাডাম রিস বলেন, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হার এবং স্ট্যান্ডার্ড মডেলের প্রক্ষেপণের মধ্যে যে বৈপরীত্য, তা আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে ধারণা অসম্পূর্ণ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়।

হাবল ও ওয়েব টেলিস্কোপের ডেটা অনুযায়ী মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হার প্রতি মেগাপারসেকে ৭৩ কিলোমিটার, যা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের প্রক্ষেপিত ৬৭-৬৮ কিলোমিটারের তুলনায় বেশি। এই সংখ্যাগত ব্যবধান এমনই যে এটি সহজ অনুমানের মাধ্যমে মেলানো সম্ভব নয়।

ডার্ক এনার্জিকে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের মূল চালক হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় ব্ল্যাক হোলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ডার্ক এনার্জি স্পেকট্রোস্কোপিক ইন্সট্রুমেন্ট (DESI) থেকে সংগৃহীত ডেটা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সময়ের সাথে ডার্ক ম্যাটারের ঘনত্ব বেড়েছে, যা ব্ল্যাক হোলের বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

গবেষকরা বলছেন, এসব নতুন পর্যবেক্ষণ মহাবিশ্বের গঠন ও ব্ল্যাক হোলের প্রকৃত উপাদান সম্পর্কে আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারে।

বিজ্ঞানীদের মতে, এই রহস্য সমাধান শুধু মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের কারণই নয়, বরং মহাবিশ্বের গোড়ার ধারা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের গভীরতর জ্ঞান দেবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ রহস্যে নতুন মোড়

আপডেট সময় ১১:২৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ নিউজ ডেস্ক :

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের (JWST) নতুন পর্যবেক্ষণ মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের দীর্ঘদিনের রহস্যে নতুন আলোকপাত করেছে। সম্প্রতি টেলিস্কোপের প্রথম দুই বছরের ডেটা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়, বরং মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের একটি নতুন বৈশিষ্ট্য হতে পারে।

বিষয়টি ‘হাবল টেনশন’ নামে পরিচিত, যা মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হারের প্রক্ষেপণ ও পর্যবেক্ষণের মধ্যে বিরোধ তুলে ধরে। ২০১৯ সালে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের ডেটা এই সমস্যার অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছিল। এবার JWST-এর ডেটা, যা সম্প্রতি ‘The Astrophysical Journal’-এ প্রকাশিত হয়েছে, এই সমস্যা সমাধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে।

নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ও গবেষণার প্রধান লেখক অ্যাডাম রিস বলেন, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হার এবং স্ট্যান্ডার্ড মডেলের প্রক্ষেপণের মধ্যে যে বৈপরীত্য, তা আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে ধারণা অসম্পূর্ণ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়।

হাবল ও ওয়েব টেলিস্কোপের ডেটা অনুযায়ী মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হার প্রতি মেগাপারসেকে ৭৩ কিলোমিটার, যা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের প্রক্ষেপিত ৬৭-৬৮ কিলোমিটারের তুলনায় বেশি। এই সংখ্যাগত ব্যবধান এমনই যে এটি সহজ অনুমানের মাধ্যমে মেলানো সম্ভব নয়।

ডার্ক এনার্জিকে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের মূল চালক হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় ব্ল্যাক হোলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ডার্ক এনার্জি স্পেকট্রোস্কোপিক ইন্সট্রুমেন্ট (DESI) থেকে সংগৃহীত ডেটা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সময়ের সাথে ডার্ক ম্যাটারের ঘনত্ব বেড়েছে, যা ব্ল্যাক হোলের বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

গবেষকরা বলছেন, এসব নতুন পর্যবেক্ষণ মহাবিশ্বের গঠন ও ব্ল্যাক হোলের প্রকৃত উপাদান সম্পর্কে আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারে।

বিজ্ঞানীদের মতে, এই রহস্য সমাধান শুধু মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের কারণই নয়, বরং মহাবিশ্বের গোড়ার ধারা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের গভীরতর জ্ঞান দেবে।