আকাশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের আলোচনা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জর্জিয়া সরকার। এর বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতা ও দমন-পীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
অধিকার গোষ্ঠী এবং স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই বিক্ষোভে ৪০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে ‘গণ সহিংসতায়’ জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গিরগি তেরিশভিলি নামে ৫২ বছর বয়সি এক ট্যাক্সি চালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মা মারিনা জানিয়েছেন, তার বড় ছেলে মামুকা ১৯৯২ সালে একটি জাতীয়তাবাদী সমাবেশে নিহত হয়েছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষার জন্য তারা আতশবাজি ও অন্যান্য বস্তু ছুঁড়ে মেরেছে।
তবে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার জন্য মুখোশধারী একটি গ্রুপকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। প্রখ্যাত বিরোধীদলীয় নেতা এবং সাংবাদিকরা এসব হামলার শিকার হয়েছেন।
এদিকে শাসক দল জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি ইইউ আলোচনা স্থগিতাদেশের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে, এটি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও শান্তি রক্ষার জন্য একটি বাস্তববাদী পদক্ষেপ।
পশ্চিমা দেশগুলো জর্জিয়া সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে এবং ইইউ এই দমনপীড়নের জন্য জর্জিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছে।
তবে ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বিরোধীদল সরকারকে কলঙ্কিত করার জন্যই এই হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে জর্জিয়ার ওম্বাডসম্যান লেভান ইয়োসেলিয়ানি জানিয়েছেন, তিনি ৩২৭ জন বন্দির অবস্থা দেখেছেন। যাদের মধ্যে ২২৫ জন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন এবং ১৫৭ জনের গায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে এবং জর্জিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।