ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শুধু নির্বাচনের জন্য ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দেয়নি : মাসুদ সাঈদী ৭ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবেন দুদকের নতুন চেয়ারম্যান-কমিশনাররা :আবদুল মোমেন মন্ত্রণালয়ে রাজাকারের কোনো তালিকা নেই : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে :নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান এখন যুদ্ধের মাধ্যম সমাবেশ বা মিছিল নয়, বরং’সাইবার যুদ্ধ: ফখরুল তরুণ প্রজন্মকে মাইনাস করে পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণের চিন্তা ভুল : হাসনাত আব্দুল্লাহ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা দিল্লির কাছে সমর্পণের জন্য নয় : রিজভী দেশের মানুষ এখন আর কারও চোখ রাঙানিকে পরোয়া করে না: জামায়াত আমির আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল

সিরিয়া সীমান্তে ১৯৭৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল : জাতিসংঘ

আকাশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে সিরিয়ার সঙ্গে ১৯৭৪ সালের একটি বিচ্ছিন্নতা চুক্তি ভেঙে দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘনের দায়ে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে।

জেরুজালেমের দাবি, আসাদের শাসনের অবসানের পর ইসরাইলের দখলকৃত গোলান মালভূমিতে যে কোনও হুমকি মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিরিয়ার ভূখণ্ডের সীমান্তে ইসরাইলের অবস্থান সীমিত এবং অস্থায়ী ব্যবস্থা।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে অবহিত করা এক চিঠিতে, জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন জোর দিয়ে বলেছেন, সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান সংঘাতে হস্তক্ষেপ করছে না ইসরাইল। আমাদের কার্যক্রম শুধুমাত্র আমাদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য।

ইসরাইল-সিরিয়া সীমান্তে ২৩৫ বর্গ-কিলোমিটারের বাফার জোনটি ১৯৭৪ সালে ইসরাইল এবং সিরিয়ার মধ্যে বিচ্ছিন্নকরণ চুক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ইয়োম কিপপুর যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায় এবং কয়েক দশক ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।

তবে ইসরাইল রোববার বলেছেন, আসাদ সরকারের পতনের সাথে, সিরিয়ায় শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা চুক্তিটিকে বাতিল বলে মনে করেছে। নেতানিয়াহু সীমান্ত পরিদর্শনের সময় বলেন, ৫০ বছর আগের চুক্তিটির পতন হয়েছে।

নেতানিয়াহু জানান, সিরিয়ার সঙ্গে ১৯৭৪ সালের একটি বিচ্ছিন্নতা চুক্তি ভেঙে গিয়েছে। তাই তিনি বাফার জোন এবং কাছাকাছি কমান্ডিং অবস্থানগুলো দখল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো শত্রু শক্তিকে আমাদের সীমান্তে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে দেব না।’

এদিকে সিরিয়া সীমান্তের অভ্যন্তরে ইসরাইলের সামরিক অবস্থান ও দখলের নিন্দা জানিয়েছে কাতার, তুরস্ক এবং মিশর। বিপরীতে, ইসরাইলি নিরাপত্তা উদ্বেগের সাথে সহানুভূতিশীল হয়ে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে এসব হামলায় সমর্থন করেছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিকে শোষণ করা এবং তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা ইসরাইলের পক্ষে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে দোহা।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে, সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।’

আর মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইসরাইলের আরও সিরিয়ার ভূমি দখলের নিন্দা করে এবং বাফার জোনে আইডিএফের অবস্থানকে একটি নতুন বাস্তবতা প্রয়োগ করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখে। এছাড়া ইরান ইসরাইলের আগ্রাসী আচরণকে জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সিরিয়া সীমান্তে ১৯৭৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল : জাতিসংঘ

আপডেট সময় ১২:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে সিরিয়ার সঙ্গে ১৯৭৪ সালের একটি বিচ্ছিন্নতা চুক্তি ভেঙে দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘনের দায়ে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে।

জেরুজালেমের দাবি, আসাদের শাসনের অবসানের পর ইসরাইলের দখলকৃত গোলান মালভূমিতে যে কোনও হুমকি মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিরিয়ার ভূখণ্ডের সীমান্তে ইসরাইলের অবস্থান সীমিত এবং অস্থায়ী ব্যবস্থা।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে অবহিত করা এক চিঠিতে, জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন জোর দিয়ে বলেছেন, সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান সংঘাতে হস্তক্ষেপ করছে না ইসরাইল। আমাদের কার্যক্রম শুধুমাত্র আমাদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য।

ইসরাইল-সিরিয়া সীমান্তে ২৩৫ বর্গ-কিলোমিটারের বাফার জোনটি ১৯৭৪ সালে ইসরাইল এবং সিরিয়ার মধ্যে বিচ্ছিন্নকরণ চুক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ইয়োম কিপপুর যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায় এবং কয়েক দশক ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।

তবে ইসরাইল রোববার বলেছেন, আসাদ সরকারের পতনের সাথে, সিরিয়ায় শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা চুক্তিটিকে বাতিল বলে মনে করেছে। নেতানিয়াহু সীমান্ত পরিদর্শনের সময় বলেন, ৫০ বছর আগের চুক্তিটির পতন হয়েছে।

নেতানিয়াহু জানান, সিরিয়ার সঙ্গে ১৯৭৪ সালের একটি বিচ্ছিন্নতা চুক্তি ভেঙে গিয়েছে। তাই তিনি বাফার জোন এবং কাছাকাছি কমান্ডিং অবস্থানগুলো দখল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো শত্রু শক্তিকে আমাদের সীমান্তে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে দেব না।’

এদিকে সিরিয়া সীমান্তের অভ্যন্তরে ইসরাইলের সামরিক অবস্থান ও দখলের নিন্দা জানিয়েছে কাতার, তুরস্ক এবং মিশর। বিপরীতে, ইসরাইলি নিরাপত্তা উদ্বেগের সাথে সহানুভূতিশীল হয়ে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে এসব হামলায় সমর্থন করেছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিকে শোষণ করা এবং তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা ইসরাইলের পক্ষে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে দোহা।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে, সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।’

আর মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইসরাইলের আরও সিরিয়ার ভূমি দখলের নিন্দা করে এবং বাফার জোনে আইডিএফের অবস্থানকে একটি নতুন বাস্তবতা প্রয়োগ করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখে। এছাড়া ইরান ইসরাইলের আগ্রাসী আচরণকে জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।