ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শুধু নির্বাচনের জন্য ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দেয়নি : মাসুদ সাঈদী ৭ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবেন দুদকের নতুন চেয়ারম্যান-কমিশনাররা :আবদুল মোমেন মন্ত্রণালয়ে রাজাকারের কোনো তালিকা নেই : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে :নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান এখন যুদ্ধের মাধ্যম সমাবেশ বা মিছিল নয়, বরং’সাইবার যুদ্ধ: ফখরুল তরুণ প্রজন্মকে মাইনাস করে পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণের চিন্তা ভুল : হাসনাত আব্দুল্লাহ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা দিল্লির কাছে সমর্পণের জন্য নয় : রিজভী দেশের মানুষ এখন আর কারও চোখ রাঙানিকে পরোয়া করে না: জামায়াত আমির আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল

আমিরাত থেকে ফিরলেন ক্ষমা পাওয়া আরও ২৭ জন

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাজা থেকে মুক্তি পাওয়া আরও ২৭ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন।তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

তারা দুবাই থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান গতকাল (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টায়।এ সময় বাংলাদেশ প্রবাসী নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়।

প্রবাসী নেটওয়ার্কের বাংলাদেশের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন ফাহিম গণমাধ্যমকে জানান, আমিরাত সরকার ১৮৮ জন বাংলাদেশিকে মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ১৮৫ জনই দেশে ফিরে আসবেন।তিনজন প্রবাসীকে সে দেশের বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।তবে কী কারণে তাদের ফেরত নেওয়া হয়েছে- তা এখনও জানা যায়নি।

তিনি বলেন, প্রবাসী ভাইয়েরা যখনই ফেরত আসেন, আমাদের পক্ষ থেকে তাদের স্বাগত জানাই। যেহেতু ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে তারা গ্রেফতার হয়েছেন, তারা অবশ্যই প্রশংসা এবং সংবর্ধনা পাওয়ার দাবিদার।

সর্বশেষ গত ২ ডিসেম্বর ২৪ জন দেশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিছিল ও বিক্ষোভ করে গ্রেফতার হওয়া আরও ৭৫ প্রবাসীকে গত ২৯ নভেম্বর ক্ষমা ঘোষণা করে আমিরাত সরকার। এ নিয়ে মোট ১৮৮ জনকে মুক্তি দিল দেশটি।

জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা আন্দোলন শুরু করলে শেখ হাসিনা আন্দোলন থামানোর জন্য ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নির্যাতনের পথ বেছে নেন। সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ জানান। তেমনি স্থানীয় আইন ভঙ্গ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত প্রবাসীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ও নানাভাবে আন্দোলের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।স্থানীয় আইন ভঙ্গ করায় তাদেরকে আটক করে আবুধাবির ফেডারেল কোর্ট দশ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ বাংলাদেশির শাস্তি মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন। প্রধান উপদেষ্টা এ সুখবরটি পেয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমিরাত থেকে ফিরলেন ক্ষমা পাওয়া আরও ২৭ জন

আপডেট সময় ০৭:০৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাজা থেকে মুক্তি পাওয়া আরও ২৭ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন।তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

তারা দুবাই থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান গতকাল (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টায়।এ সময় বাংলাদেশ প্রবাসী নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়।

প্রবাসী নেটওয়ার্কের বাংলাদেশের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন ফাহিম গণমাধ্যমকে জানান, আমিরাত সরকার ১৮৮ জন বাংলাদেশিকে মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ১৮৫ জনই দেশে ফিরে আসবেন।তিনজন প্রবাসীকে সে দেশের বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।তবে কী কারণে তাদের ফেরত নেওয়া হয়েছে- তা এখনও জানা যায়নি।

তিনি বলেন, প্রবাসী ভাইয়েরা যখনই ফেরত আসেন, আমাদের পক্ষ থেকে তাদের স্বাগত জানাই। যেহেতু ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে তারা গ্রেফতার হয়েছেন, তারা অবশ্যই প্রশংসা এবং সংবর্ধনা পাওয়ার দাবিদার।

সর্বশেষ গত ২ ডিসেম্বর ২৪ জন দেশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিছিল ও বিক্ষোভ করে গ্রেফতার হওয়া আরও ৭৫ প্রবাসীকে গত ২৯ নভেম্বর ক্ষমা ঘোষণা করে আমিরাত সরকার। এ নিয়ে মোট ১৮৮ জনকে মুক্তি দিল দেশটি।

জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা আন্দোলন শুরু করলে শেখ হাসিনা আন্দোলন থামানোর জন্য ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নির্যাতনের পথ বেছে নেন। সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ জানান। তেমনি স্থানীয় আইন ভঙ্গ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত প্রবাসীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ও নানাভাবে আন্দোলের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।স্থানীয় আইন ভঙ্গ করায় তাদেরকে আটক করে আবুধাবির ফেডারেল কোর্ট দশ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ বাংলাদেশির শাস্তি মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন। প্রধান উপদেষ্টা এ সুখবরটি পেয়েছেন।