ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শুধু নির্বাচনের জন্য ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দেয়নি : মাসুদ সাঈদী ৭ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবেন দুদকের নতুন চেয়ারম্যান-কমিশনাররা :আবদুল মোমেন মন্ত্রণালয়ে রাজাকারের কোনো তালিকা নেই : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে :নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান এখন যুদ্ধের মাধ্যম সমাবেশ বা মিছিল নয়, বরং’সাইবার যুদ্ধ: ফখরুল তরুণ প্রজন্মকে মাইনাস করে পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণের চিন্তা ভুল : হাসনাত আব্দুল্লাহ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা দিল্লির কাছে সমর্পণের জন্য নয় : রিজভী দেশের মানুষ এখন আর কারও চোখ রাঙানিকে পরোয়া করে না: জামায়াত আমির আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল

এআই নিয়ন্ত্রণের ওপর দুই নোবেলজয়ীর গুরুত্বারোপ

আকাশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জিওফ্রে হিন্টন এবং রসায়নে নোবেল বিজয়ী ডেমিস হাসাবিস এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাদের পুরস্কার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়,স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসাবিস বলেন, ‘এআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রযুক্তি, যা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তবে নিয়ম কানুনগুলো সঠিকভাবে স্থাপন করা জরুরি, কারণ এই মুহূর্তে এটি একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি।’

এআই’র মাধ্যমে প্রোটিনের গোপন রহস্য উদঘাটন করে আমেরিকার ডেভিড বেকার এবং জন জাম্পারের সঙ্গে যৌথভাবে জয়ী হাসাবি বলেন, এ ধরনের বিবর্তনের ক্ষিপ্রতা বড় মাপের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এসব সিস্টেম থেকে সমস্ত মানবিক সুফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করে, আমরা কিভাবে কোন উপায়ে ব্যবহার বা স্থাপন করতে চাই- সেটাই এর অন্তর্নিহিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

‘এআই’র গডফাদার’ হিসেবে বিবেচিত ব্রিটিশ-কানাডিয়ান হিন্টন কিছুটা ভয়ের ইঙ্গিত করেই বলেন, ‘যদি আমি অস্ত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের কথা ভাবতাম, তাহলে আগেই নিরাপত্তার কথা মাথায় ঢুকতো। এই হিন্টনই, গত বছর গুগল ছেড়ে যাওয়ার সময় পত্রিকার শিরোনাম তৈরি করে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন যে, বিপদের যন্ত্র একদিন মানুষকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাকে নোবেল দেওয়া হয়েছিল কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কে কাজ করার জন্য আমেরিকান জন হপফিল্ডের সঙ্গে।

‘সরকারগুলো যখন মরিয়া হয়ে ওঠে এবং নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে নারাজ, তখন সেই অবস্থাটা স্বয়ংক্রিয় মারণাস্ত্রে রূপ নেয় । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ইসরাইলের মতো অস্ত্র সরবরাহকারী সমস্ত প্রধানদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতাই চলছে।

হাসাবিস বলেছেন, তিনি সরকারগুলোর জন্য ‘দ্রুত এবং ক্ষিপ্রতর নিয়ন্ত্রন’ নিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি এএফপি’কে বলেছেন, তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গে এআই’র অনুপযুক্ত ব্যবহারের দ্বারা সৃষ্ট অস্তিত্বের হুমকির বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং মানুষের কাছ থেকে এআই নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার সম্ভাবনাময় প্রযুক্তির বিষয়েও এই বিলিয়নেয়ারকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এআই নিয়ন্ত্রণের ওপর দুই নোবেলজয়ীর গুরুত্বারোপ

আপডেট সময় ১১:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জিওফ্রে হিন্টন এবং রসায়নে নোবেল বিজয়ী ডেমিস হাসাবিস এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাদের পুরস্কার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়,স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসাবিস বলেন, ‘এআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রযুক্তি, যা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তবে নিয়ম কানুনগুলো সঠিকভাবে স্থাপন করা জরুরি, কারণ এই মুহূর্তে এটি একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি।’

এআই’র মাধ্যমে প্রোটিনের গোপন রহস্য উদঘাটন করে আমেরিকার ডেভিড বেকার এবং জন জাম্পারের সঙ্গে যৌথভাবে জয়ী হাসাবি বলেন, এ ধরনের বিবর্তনের ক্ষিপ্রতা বড় মাপের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এসব সিস্টেম থেকে সমস্ত মানবিক সুফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করে, আমরা কিভাবে কোন উপায়ে ব্যবহার বা স্থাপন করতে চাই- সেটাই এর অন্তর্নিহিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

‘এআই’র গডফাদার’ হিসেবে বিবেচিত ব্রিটিশ-কানাডিয়ান হিন্টন কিছুটা ভয়ের ইঙ্গিত করেই বলেন, ‘যদি আমি অস্ত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের কথা ভাবতাম, তাহলে আগেই নিরাপত্তার কথা মাথায় ঢুকতো। এই হিন্টনই, গত বছর গুগল ছেড়ে যাওয়ার সময় পত্রিকার শিরোনাম তৈরি করে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন যে, বিপদের যন্ত্র একদিন মানুষকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাকে নোবেল দেওয়া হয়েছিল কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কে কাজ করার জন্য আমেরিকান জন হপফিল্ডের সঙ্গে।

‘সরকারগুলো যখন মরিয়া হয়ে ওঠে এবং নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে নারাজ, তখন সেই অবস্থাটা স্বয়ংক্রিয় মারণাস্ত্রে রূপ নেয় । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ইসরাইলের মতো অস্ত্র সরবরাহকারী সমস্ত প্রধানদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতাই চলছে।

হাসাবিস বলেছেন, তিনি সরকারগুলোর জন্য ‘দ্রুত এবং ক্ষিপ্রতর নিয়ন্ত্রন’ নিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি এএফপি’কে বলেছেন, তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গে এআই’র অনুপযুক্ত ব্যবহারের দ্বারা সৃষ্ট অস্তিত্বের হুমকির বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং মানুষের কাছ থেকে এআই নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার সম্ভাবনাময় প্রযুক্তির বিষয়েও এই বিলিয়নেয়ারকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।