আকাশ জাতীয় ডেস্ক :
অ্যাম্বলিওপিয়া বা ‘লেজি আই’ রোগ শিশুসহ প্রাপ্তবয়স্কদের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগের সমাধানে সার্জারি করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ইম্পেরিয়াল কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, খুলনার দুই ছাত্র এই রোগের সমাধানে একটি গেম আবিষ্কার করেছেন। যার ফলে রোগীরা সার্জারি ছাড়াই শুধু গেম খেলার মাধ্যমে সুস্থ হতে পারবেন।
সম্প্রতি রাজধানীতে ‘প্রোগ্রামিং হিরো’ আয়োজিত ন্যাশনাল হ্যাকাথন ২০২৪ প্রতিযোগিতায় ওই দুই ছাত্রের ‘টিম ওয়েব উইজার্ড’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। প্রতিযোগিতায় দেশের ১৭৯টি দল অংশ নিয়েছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইম্পেরিয়াল কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, খুলনার দুই ছাত্র হলেন-আমির ফয়সাল ও মেসবাহ উদ্দিন।
জানা যায়, ‘টিম ওয়েব উইজার্ড’ তৈরি করেছে একটি এআইচালিত গেমভিত্তিক থেরাপি সল্যুশন, যা অ্যাম্বলিওপিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপযোগী। থেরাপির মডিউলগুলোতে রয়েছে গ্যাবর প্যাচ এক্সারসাইজেস যা রোগীর নেভিগেশন দক্ষতা এবং স্টেরিওপসিস (গভীরতার অনুভূতি) উন্নত করে। বাইনোক্যুলার ভিশন এনহ্যান্সার এটি উভয় চোখের জন্য ব্যালেন্স তৈরি করতে সপ্রেশন কন্ট্রোল ব্যবহার করে। রিয়েল-টাইম মনিটরিং এটি রোগীদের উন্নতি পর্যবেক্ষণের জন্য রিয়েল-টাইম ডেটা ট্র্যাকিং। প্রকল্পে পরামর্শদাতা ছিলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ আবু হাসনাত মো. শাফি কামাল।
সিরাজগঞ্জের ছেলে ইম্পেরিয়ালের সিএসই বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র আমির ফয়সাল যুগান্তরকে বলেন, প্রথমবার অংশ নিয়েই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এটা আমাদের বড় অর্জন। অনেক সফটওয়্যার কোম্পানি এসেছিল। অনেকেই ইন্টারভিউ নিয়েছিল। আমরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোডিং করেই সমাধান করেছি। আমাদের গেমগুলো ট্রাই করলে লেজি আইয়ের ট্রিটমেন্ট সার্জারি ছাড়া সমাধান হবে আশা করছি।
একই বিভাগের ছাত্র ভোলার মেসবাহ উদ্দিন বলেন, সরকারের সহযোগিতা পেলে এটা নিয়ে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবে। গেমটি কম্পিউটারের মাধ্যমে খেলতে পারবে রোগীরা।
ইম্পেরিয়াল কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, খুলনার ভাইস প্রিন্সিপাল মো. নোমান হোসেন বলেন, দুই ছাত্রের কৃতিত্বের কারণে কলেজের ভাবমূর্তি বেড়েছে। তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আগ্রহ বেড়েছে।