ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। প্রেস ক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ফলে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন ২০২৪ সালের পরিবর্তে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ।

সভায় রিপোর্ট উত্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া। রিপোর্টের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সদস্যরা। প্রেস ক্লাব কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ আবদাল আহমদ, কাদের গণি চৌধুরী, কবি আবদুল হাই শিকদার, কাজী রওনাক হোসেন, বখতিয়ার রানা, মাসুমুর রহমান খলিলী, শাহনাজ পলি ও মোমিন হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী।

ক্লাবের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব উত্থাপন করে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টে বলা হয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব একটি স্পর্শকাতর স্থানে অবস্থিত। প্রতিদিনই এখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। প্রায়ই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে। বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে পরাজিত শক্তির দোসরদের প্ররোচনায় আনসারদের দিয়ে প্রতি বিপ্লবের অপচেষ্টা চালানো হয়। এরপর সচিবালয়ে এবং এর আশপাশে সেই অপশক্তি একই অপচেষ্টা চালায়।

ক্লাবের বর্তমান কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর পালিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে তারা সে অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়।

এতে আরও বলা হয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব আর্থিক সংকটসহ নানামুখী সমস্যা মোকাবিলা করছে। আগামী ডিসেম্বরে ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে অচলাবস্থা সৃষ্টির কারণে নির্বাচনী প্রাক-কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। নির্বাচনের জন্য সেপ্টেম্বর থেকেই কার্যক্রম শুরু করতে হয়, তা সম্ভব হয়নি। নির্বাচনের জন্য বর্তমান পরিবেশও অনুকূল নয়। তাই বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি মনে করে দেশের বর্তমান জটিল পরিস্থিতিতে আগামী ডিসেম্বরে ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে। ফ্যাসিবাদীদের দোসররা নির্বাচনের সুযোগ নিয়ে ক্লাব প্রাঙ্গণে বড় ধরনের অঘটন ঘটিয়ে বসতে পারে। তাই আমরা আসন্ন নির্বাচন ডিসেম্বর-২০২৪-এর পরিবর্তে এক বছর পিছিয়ে ডিসেম্বর ২০২৫-এ অনুষ্ঠান করার জন্য প্রস্তাব করছি।

এর আগে, শুভেচ্ছা বক্তব্যে মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী বলেন, ‘প্রেস ক্লাবে এলেই দেখি নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি, আলোচনা-সমালোচনা। এগুলো থাকা ভালো। কিন্তু এটার একটা পর্যায় থাকা উচিত। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাদের ভালো কিছু করার চেষ্টা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু শুনতে পাই ১০তলা, ১২তলা, ২৫তলা ভবন হবে। বাস্তবে কিছু হয় না। আমাদের কত সহকর্মী চলে গেছেন। একদিন আমরাও চলে যাব। এখানে যদি একটা কিছু করে দিতে পারতাম, তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের নিয়ে গর্ব করত। আমাদের সবার দায়িত্ব এই ক্লাবকে কীভাবে তৈরি করা যায়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা। সেই জায়গায় আমার কোনো ভূমিকা রাখার প্রয়োজন সেটা করব।’

সভায় ক্লাবের সদস্যরা ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত দালালদের তালিকা তৈরি করে তাদের ক্লাব থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাব আনেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব পাস হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে

আপডেট সময় ১১:২৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। প্রেস ক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ফলে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন ২০২৪ সালের পরিবর্তে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ।

সভায় রিপোর্ট উত্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া। রিপোর্টের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সদস্যরা। প্রেস ক্লাব কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ আবদাল আহমদ, কাদের গণি চৌধুরী, কবি আবদুল হাই শিকদার, কাজী রওনাক হোসেন, বখতিয়ার রানা, মাসুমুর রহমান খলিলী, শাহনাজ পলি ও মোমিন হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী।

ক্লাবের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব উত্থাপন করে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টে বলা হয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব একটি স্পর্শকাতর স্থানে অবস্থিত। প্রতিদিনই এখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। প্রায়ই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে। বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে পরাজিত শক্তির দোসরদের প্ররোচনায় আনসারদের দিয়ে প্রতি বিপ্লবের অপচেষ্টা চালানো হয়। এরপর সচিবালয়ে এবং এর আশপাশে সেই অপশক্তি একই অপচেষ্টা চালায়।

ক্লাবের বর্তমান কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর পালিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে তারা সে অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়।

এতে আরও বলা হয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব আর্থিক সংকটসহ নানামুখী সমস্যা মোকাবিলা করছে। আগামী ডিসেম্বরে ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে অচলাবস্থা সৃষ্টির কারণে নির্বাচনী প্রাক-কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। নির্বাচনের জন্য সেপ্টেম্বর থেকেই কার্যক্রম শুরু করতে হয়, তা সম্ভব হয়নি। নির্বাচনের জন্য বর্তমান পরিবেশও অনুকূল নয়। তাই বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি মনে করে দেশের বর্তমান জটিল পরিস্থিতিতে আগামী ডিসেম্বরে ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে। ফ্যাসিবাদীদের দোসররা নির্বাচনের সুযোগ নিয়ে ক্লাব প্রাঙ্গণে বড় ধরনের অঘটন ঘটিয়ে বসতে পারে। তাই আমরা আসন্ন নির্বাচন ডিসেম্বর-২০২৪-এর পরিবর্তে এক বছর পিছিয়ে ডিসেম্বর ২০২৫-এ অনুষ্ঠান করার জন্য প্রস্তাব করছি।

এর আগে, শুভেচ্ছা বক্তব্যে মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী বলেন, ‘প্রেস ক্লাবে এলেই দেখি নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি, আলোচনা-সমালোচনা। এগুলো থাকা ভালো। কিন্তু এটার একটা পর্যায় থাকা উচিত। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাদের ভালো কিছু করার চেষ্টা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু শুনতে পাই ১০তলা, ১২তলা, ২৫তলা ভবন হবে। বাস্তবে কিছু হয় না। আমাদের কত সহকর্মী চলে গেছেন। একদিন আমরাও চলে যাব। এখানে যদি একটা কিছু করে দিতে পারতাম, তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের নিয়ে গর্ব করত। আমাদের সবার দায়িত্ব এই ক্লাবকে কীভাবে তৈরি করা যায়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা। সেই জায়গায় আমার কোনো ভূমিকা রাখার প্রয়োজন সেটা করব।’

সভায় ক্লাবের সদস্যরা ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত দালালদের তালিকা তৈরি করে তাদের ক্লাব থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাব আনেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব পাস হয়।