আকাশ জাতীয় ডেস্ক :
বগুড়ার কাহালুতে চার বছরের শিশু মুশফিকাকে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে হত্যার পর মা জুলেখা খাতুন (২৪) ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল গ্রামের অটোরিকশাচালক আবদুল মোমিন ২০১৯ সালে করোনার আগে জুলেখা খাতুনকে বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার সকালে মোমিন অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। দুপুরের আগে বাড়িতে ফোন দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের কোনো সাড়া পাননি। তিনি বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা।
খবর পেয়ে বেলা ৩টার দিকে কাহালু থানা পুলিশ ওই বাড়িতে আসে। তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন, শিশু মুশফিকার মরদেহ বিছানায় ও ঘরের আড়ার সঙ্গে জুলেখা খাতুনের লাশ ঝুলছে। পরে পুলিশ মা ও শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে বিছানায় পাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমি আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা করলাম। আমাদের এ মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
অটোচালক আবদুল মোমিন জানান, তাদের কোনো দাম্পত্য কলহ ছিল না। তবে তার স্ত্রীর প্রচণ্ড রাগ ছিল। তার ধারণা, শাসনের জন্য মারপিট করলে মুশফিকা মারা যায়। তখন জুলেখা গামছা দিয়ে মেয়ে মুশফিকার মুখ বাঁধে ও গলায় ওড়নার ফাঁস দেয়। এরপর সে ঘড়ের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
বৃহস্পতিবার বিকালে কাহালু থানার ওসি শাহিনুজ্জামান শাহিন জানান, তাৎক্ষণিকভাবে শিশুকন্যাকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। দুটি লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শুধু তাদের পরিবারে নয় পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।