ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

কবিরাজের ওষুধ সেবনের পর একই পরিবারের সাতজন অসুস্থ

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কবিরাজের দেওয়া কৃমির ওষুধ খেয়ে শিশুসহ একই পরিবারের সাতজন গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

শুক্রবার সকালে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থরা হলেন- একই পরিবারের ফারুক মিয়া (৩৫), কামরুন নাহার (৩০), রাবিয়া বেগম (৬০), হুসনে আরা (৬৫), শিশুদের মধ্যে মুজাহিদ (৯), ইকরা (৭) ও ইলমা (৩)।

স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে বিজয়পুর গ্রামের এক কবিরাজের কাছ থেকে কৃমির ওষুধ আনা হয়। শুক্রবার সকালে সবাই একই সঙ্গে খালি পেটে খাওয়ার পরপরই একের পর এক সবাই অজ্ঞান হতে থাকেন। এ সময় পরিবারের লোকজন চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

স্বজন হনুফা আক্তার বলেন, কবিরাজের দেওয়া কৃমির ওষুধ খেয়েই সবার এ অবস্থা। সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। শিশুদের অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে না।

দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, গ্রামের কবিরাজের পরামর্শে পাহাড়ি একটি ফল কৃমিনাশক হিসেবে খায়। এর ফলে তারা একই পরিবারের সাতজনই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে শিশুদের অবস্থা একটু বেশি খারাপ তাই আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সাতজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

কবিরাজের ওষুধ সেবনের পর একই পরিবারের সাতজন অসুস্থ

আপডেট সময় ০৬:৫২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কবিরাজের দেওয়া কৃমির ওষুধ খেয়ে শিশুসহ একই পরিবারের সাতজন গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

শুক্রবার সকালে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থরা হলেন- একই পরিবারের ফারুক মিয়া (৩৫), কামরুন নাহার (৩০), রাবিয়া বেগম (৬০), হুসনে আরা (৬৫), শিশুদের মধ্যে মুজাহিদ (৯), ইকরা (৭) ও ইলমা (৩)।

স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে বিজয়পুর গ্রামের এক কবিরাজের কাছ থেকে কৃমির ওষুধ আনা হয়। শুক্রবার সকালে সবাই একই সঙ্গে খালি পেটে খাওয়ার পরপরই একের পর এক সবাই অজ্ঞান হতে থাকেন। এ সময় পরিবারের লোকজন চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

স্বজন হনুফা আক্তার বলেন, কবিরাজের দেওয়া কৃমির ওষুধ খেয়েই সবার এ অবস্থা। সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। শিশুদের অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে না।

দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, গ্রামের কবিরাজের পরামর্শে পাহাড়ি একটি ফল কৃমিনাশক হিসেবে খায়। এর ফলে তারা একই পরিবারের সাতজনই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে শিশুদের অবস্থা একটু বেশি খারাপ তাই আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সাতজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।