ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

টাকার জন্য ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

টাকার জন্য বন্ধুদের নিয়ে বাবাকে জবাই করে হত্যা করেছে ছেলে। হত্যার সময় ধান ক্ষেতে বাবার মাথা চেপে ধরে রাখে ছেলে সোহেল মিয়া।

গত ১৯ অক্টোবর রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে।

স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে বাবাকে জবাই করে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আটক সোহেল মিয়া।

নিহত নিবু মিয়া (৬৫) জেলার বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার মৃত সুন্দর আলী মুন্সির ছেলে।

এ ঘটনায় আটক আসামিরা হলেন- নিহত নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৪), তার বন্ধু ইলেকট্রিশিয়ান বাবুল মিয়া (৩২), কসাই নজরুল ইসলাম (৪৫) ও রাজমিস্ত্রী সুমন মিয়া (২৬)।

শনিবার কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, গত ২০ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ধান ক্ষেত থেকে নিহত নিবু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় নিহতের অপর ছেলে আব্দুর রহমান হৃদয় (২৮) বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাজিতপুর উপজেলার দক্ষিণ পিরিজপুর বাজার এলাকার আ. হাই মেম্বারের হোটেল থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আসামি মো. বাবুল মিয়াকে আটক করে। আটক আসামি নিজেই স্বীকারোক্তি দেয়। ভিকটিমের সঙ্গে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকা খুনিগণ ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। আসামি মো. বাবুল মিয়া নিজেকে জড়িয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ভিকটিমের ছোট ছেলে সোহেল মিয়াসহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এক বছর আগে ভিকটিম নিবু মিয়া ২১ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে তার ছোট ছেলে সোহেল মিয়াকে বিদেশে পাঠান। কিন্তু সোহেল বিদেশে গিয়ে বেশি দিন থাকতে পারেনি। দেশে ফিরে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। সংসার চালাতে এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পুরাতন অটোরিকশা কিনেন সোহেল। এরপর সোহেল তার বাবার কাছে জমি বিক্রির বাকি টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই টাকা নিয়েই ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

ঘটনার দিন সোহেল টাকা নেওয়ার জন্য বন্ধুদের নিয়ে তার বাবা নিবু মিয়াকে জবাই করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আটক বাবুল মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন এবং টাকার জন্য ভিকটিম নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া তাদেরকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও জবানবন্দিতে জানায় বাবুল।

টাকার জন্য বন্ধুদের নিয়ে বাবাকে জবাই করে হত্যা করেছে ছেলে। হত্যার সময় ধান ক্ষেতে বাবার মাথা চেপে ধরে রাখে ছেলে সোহেল মিয়া।

গত ১৯ অক্টোবর রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে।

স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে বাবাকে জবাই করে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আটক সোহেল মিয়া।

নিহত নিবু মিয়া (৬৫) জেলার বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার মৃত সুন্দর আলী মুন্সির ছেলে।

এ ঘটনায় আটক আসামিরা হলেন- নিহত নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৪), তার বন্ধু ইলেকট্রিশিয়ান বাবুল মিয়া (৩২), কসাই নজরুল ইসলাম (৪৫) ও রাজমিস্ত্রী সুমন মিয়া (২৬)।

শনিবার কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, গত ২০ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ধান ক্ষেত থেকে নিহত নিবু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় নিহতের অপর ছেলে আব্দুর রহমান হৃদয় (২৮) বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাজিতপুর উপজেলার দক্ষিণ পিরিজপুর বাজার এলাকার আ. হাই মেম্বারের হোটেল থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আসামি মো. বাবুল মিয়াকে আটক করে। আটক আসামি নিজেই স্বীকারোক্তি দেয়। ভিকটিমের সঙ্গে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকা খুনিগণ ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। আসামি মো. বাবুল মিয়া নিজেকে জড়িয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ভিকটিমের ছোট ছেলে সোহেল মিয়াসহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এক বছর আগে ভিকটিম নিবু মিয়া ২১ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে তার ছোট ছেলে সোহেল মিয়াকে বিদেশে পাঠান। কিন্তু সোহেল বিদেশে গিয়ে বেশি দিন থাকতে পারেনি। দেশে ফিরে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। সংসার চালাতে এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পুরাতন অটোরিকশা কিনেন সোহেল। এরপর সোহেল তার বাবার কাছে জমি বিক্রির বাকি টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই টাকা নিয়েই ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

ঘটনার দিন সোহেল টাকা নেওয়ার জন্য বন্ধুদের নিয়ে তার বাবা নিবু মিয়াকে জবাই করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আটক বাবুল মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন এবং টাকার জন্য ভিকটিম নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া তাদেরকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও জবানবন্দিতে জানায় বাবুল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

টাকার জন্য ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা

আপডেট সময় ০৮:২৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

টাকার জন্য বন্ধুদের নিয়ে বাবাকে জবাই করে হত্যা করেছে ছেলে। হত্যার সময় ধান ক্ষেতে বাবার মাথা চেপে ধরে রাখে ছেলে সোহেল মিয়া।

গত ১৯ অক্টোবর রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে।

স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে বাবাকে জবাই করে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আটক সোহেল মিয়া।

নিহত নিবু মিয়া (৬৫) জেলার বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার মৃত সুন্দর আলী মুন্সির ছেলে।

এ ঘটনায় আটক আসামিরা হলেন- নিহত নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৪), তার বন্ধু ইলেকট্রিশিয়ান বাবুল মিয়া (৩২), কসাই নজরুল ইসলাম (৪৫) ও রাজমিস্ত্রী সুমন মিয়া (২৬)।

শনিবার কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, গত ২০ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ধান ক্ষেত থেকে নিহত নিবু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় নিহতের অপর ছেলে আব্দুর রহমান হৃদয় (২৮) বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাজিতপুর উপজেলার দক্ষিণ পিরিজপুর বাজার এলাকার আ. হাই মেম্বারের হোটেল থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আসামি মো. বাবুল মিয়াকে আটক করে। আটক আসামি নিজেই স্বীকারোক্তি দেয়। ভিকটিমের সঙ্গে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকা খুনিগণ ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। আসামি মো. বাবুল মিয়া নিজেকে জড়িয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ভিকটিমের ছোট ছেলে সোহেল মিয়াসহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এক বছর আগে ভিকটিম নিবু মিয়া ২১ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে তার ছোট ছেলে সোহেল মিয়াকে বিদেশে পাঠান। কিন্তু সোহেল বিদেশে গিয়ে বেশি দিন থাকতে পারেনি। দেশে ফিরে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। সংসার চালাতে এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পুরাতন অটোরিকশা কিনেন সোহেল। এরপর সোহেল তার বাবার কাছে জমি বিক্রির বাকি টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই টাকা নিয়েই ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

ঘটনার দিন সোহেল টাকা নেওয়ার জন্য বন্ধুদের নিয়ে তার বাবা নিবু মিয়াকে জবাই করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আটক বাবুল মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন এবং টাকার জন্য ভিকটিম নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া তাদেরকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও জবানবন্দিতে জানায় বাবুল।

টাকার জন্য বন্ধুদের নিয়ে বাবাকে জবাই করে হত্যা করেছে ছেলে। হত্যার সময় ধান ক্ষেতে বাবার মাথা চেপে ধরে রাখে ছেলে সোহেল মিয়া।

গত ১৯ অক্টোবর রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে।

স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে বাবাকে জবাই করে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আটক সোহেল মিয়া।

নিহত নিবু মিয়া (৬৫) জেলার বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার মৃত সুন্দর আলী মুন্সির ছেলে।

এ ঘটনায় আটক আসামিরা হলেন- নিহত নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৪), তার বন্ধু ইলেকট্রিশিয়ান বাবুল মিয়া (৩২), কসাই নজরুল ইসলাম (৪৫) ও রাজমিস্ত্রী সুমন মিয়া (২৬)।

শনিবার কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, গত ২০ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ধান ক্ষেত থেকে নিহত নিবু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় নিহতের অপর ছেলে আব্দুর রহমান হৃদয় (২৮) বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাজিতপুর উপজেলার দক্ষিণ পিরিজপুর বাজার এলাকার আ. হাই মেম্বারের হোটেল থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আসামি মো. বাবুল মিয়াকে আটক করে। আটক আসামি নিজেই স্বীকারোক্তি দেয়। ভিকটিমের সঙ্গে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকা খুনিগণ ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। আসামি মো. বাবুল মিয়া নিজেকে জড়িয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ভিকটিমের ছোট ছেলে সোহেল মিয়াসহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এক বছর আগে ভিকটিম নিবু মিয়া ২১ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে তার ছোট ছেলে সোহেল মিয়াকে বিদেশে পাঠান। কিন্তু সোহেল বিদেশে গিয়ে বেশি দিন থাকতে পারেনি। দেশে ফিরে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। সংসার চালাতে এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পুরাতন অটোরিকশা কিনেন সোহেল। এরপর সোহেল তার বাবার কাছে জমি বিক্রির বাকি টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই টাকা নিয়েই ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

ঘটনার দিন সোহেল টাকা নেওয়ার জন্য বন্ধুদের নিয়ে তার বাবা নিবু মিয়াকে জবাই করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আটক বাবুল মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন এবং টাকার জন্য ভিকটিম নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া তাদেরকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও জবানবন্দিতে জানায় বাবুল।