ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

কোথায় ভালোবাসা, তারপর তো কামড় : শ্রীলেখা

আকাশ বিনোদন ডেস্ক :

টালিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক নেটিজেনদের— এমনটিই বলা যায়। কখনো কেউ কোনো মন্তব্য করলে, জবাব দিতেও ভোলেন না এ অভিনেত্রী। তা সে যতই কটাক্ষ ভরা হোক, নিজের মতো করে উত্তর দেন তিনি।

গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) গাড়িতে বসে একটি সেলফি শেয়ার করলেন শ্রীলেখা মিত্র। গায়ে শাড়ি, সাদামাটা মেকআপ হলেও বেশ গাঢ় করে ব্লাশ লাগিয়েছেন। ঠোঁটে ব্রাউন লিপস্টিক। নাকের নকল নথ পরেছেন ঠোঁটে। আর লিপস্টিক দিয়ে কপালে ও থুতনিতে দাগ কেটেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরকম একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন— ‘ভারতীয় বাঙালির ভাইকিং ভার্সন’।

ভাইকিং বলতে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার (বর্তমান ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন) সমুদ্রে বসবাসকারী ব্যবসায়ী, যোদ্ধা ও জলদস্যুদের দলকে বোঝায়, যারা অষ্টম শতক থেকে একবিংশ শতক পর্যন্ত ইউরোপের এক বিরাট এলাকাজুড়ে লুটতরাজ চালায় ও বসতি স্থাপন করে।

শ্রীলেখার এই পোস্টেই এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘কে দিল লাভ বাইট?’ যার জবাবে অভিনেত্রী লিখেছেন—কোথায় ভালোবাসা, তারপর তো কামড়। নিজেই পেনসিল দিয়ে ভাইকিং সাজার চেষ্টা করলাম।

শ্রীলেখার অনুরাগী এই মন্তব্যে যে মজার ছলে করেছেন, তাতে সন্দেহ নেই। অভিনেত্রীর মন্তব্যের জবাবে আধিজিৎ কুণ্ডু লিখেছেন—আপনি যে নারী ভাইকিং তাতে সন্দেহ নেই। শুধু আইসল্যান্ড, নরওয়ে না গিয়ে কলকাতায় এসেছেন।

আরেকজন লিখেছেন—দক্ষিণ ভারতীয়রাই সম্প্রদায়ের রানি লাগছে পুরো। কেউ আবার শ্রীলেখার সাজ নিয়ে প্রশংসাও করেছেন।

ঠোঁটকাটা হিসেবে বেশ বদনাম রয়েছে শ্রীলেখার। তা সে মোদি-মমতা হোক বা ইন্ডাস্ট্রিতে ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ— প্রয়োজন পড়লে যে কারও দিকে আঙুল তুলতে দ্বিধা করেন না অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আজকাল এত বেশি সত্যি কথা বলেন যে, কাজ পান না টালিউডে।

অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা-প্রযোজনাতেও হাত পাকিয়েছেন শ্রীলেখা। এমনকি তার ছবি এবং ছাদ জায়গা করেছে দেশ-বিদেশের অনেক নামি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে শিলাদিত্য সান্যালের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। ১০ বছর পর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। এরপর আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি তিনি। একমাত্র মেয়ে আর কাজ নিয়েই কাটছে তার জীবন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

কোথায় ভালোবাসা, তারপর তো কামড় : শ্রীলেখা

আপডেট সময় ১১:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

আকাশ বিনোদন ডেস্ক :

টালিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক নেটিজেনদের— এমনটিই বলা যায়। কখনো কেউ কোনো মন্তব্য করলে, জবাব দিতেও ভোলেন না এ অভিনেত্রী। তা সে যতই কটাক্ষ ভরা হোক, নিজের মতো করে উত্তর দেন তিনি।

গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) গাড়িতে বসে একটি সেলফি শেয়ার করলেন শ্রীলেখা মিত্র। গায়ে শাড়ি, সাদামাটা মেকআপ হলেও বেশ গাঢ় করে ব্লাশ লাগিয়েছেন। ঠোঁটে ব্রাউন লিপস্টিক। নাকের নকল নথ পরেছেন ঠোঁটে। আর লিপস্টিক দিয়ে কপালে ও থুতনিতে দাগ কেটেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরকম একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন— ‘ভারতীয় বাঙালির ভাইকিং ভার্সন’।

ভাইকিং বলতে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার (বর্তমান ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন) সমুদ্রে বসবাসকারী ব্যবসায়ী, যোদ্ধা ও জলদস্যুদের দলকে বোঝায়, যারা অষ্টম শতক থেকে একবিংশ শতক পর্যন্ত ইউরোপের এক বিরাট এলাকাজুড়ে লুটতরাজ চালায় ও বসতি স্থাপন করে।

শ্রীলেখার এই পোস্টেই এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘কে দিল লাভ বাইট?’ যার জবাবে অভিনেত্রী লিখেছেন—কোথায় ভালোবাসা, তারপর তো কামড়। নিজেই পেনসিল দিয়ে ভাইকিং সাজার চেষ্টা করলাম।

শ্রীলেখার অনুরাগী এই মন্তব্যে যে মজার ছলে করেছেন, তাতে সন্দেহ নেই। অভিনেত্রীর মন্তব্যের জবাবে আধিজিৎ কুণ্ডু লিখেছেন—আপনি যে নারী ভাইকিং তাতে সন্দেহ নেই। শুধু আইসল্যান্ড, নরওয়ে না গিয়ে কলকাতায় এসেছেন।

আরেকজন লিখেছেন—দক্ষিণ ভারতীয়রাই সম্প্রদায়ের রানি লাগছে পুরো। কেউ আবার শ্রীলেখার সাজ নিয়ে প্রশংসাও করেছেন।

ঠোঁটকাটা হিসেবে বেশ বদনাম রয়েছে শ্রীলেখার। তা সে মোদি-মমতা হোক বা ইন্ডাস্ট্রিতে ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ— প্রয়োজন পড়লে যে কারও দিকে আঙুল তুলতে দ্বিধা করেন না অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আজকাল এত বেশি সত্যি কথা বলেন যে, কাজ পান না টালিউডে।

অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা-প্রযোজনাতেও হাত পাকিয়েছেন শ্রীলেখা। এমনকি তার ছবি এবং ছাদ জায়গা করেছে দেশ-বিদেশের অনেক নামি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে শিলাদিত্য সান্যালের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। ১০ বছর পর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। এরপর আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি তিনি। একমাত্র মেয়ে আর কাজ নিয়েই কাটছে তার জীবন।