আকাশ জাতীয় ডেস্ক :
বাউফলে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ করার অভিযোগে তরুণীসহ এক যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই যুবলীগ নেতার নাম মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মোল্লা (৪৮)। তিনি উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। ওই নারীও একই ইউনিয়ন মহিলা লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মঙ্গলবার রাত ১০টা দিকে উপজেলার কালাইয়া কলেজ রোড এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে পুলিশের কাছে তুলে দেন। পুলিশের সামনেই তাকে মারধর করা হয়।
তবে নারীকে নিয়ে অসামাজিক কার্যকালাপের অভিযোগ অস্বীকার করে সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন যুবলীগ নেতা মিজান। আর ওই তরুণী বলছেন,‘ তাকে জোর করে ওই বাসায় ঢুকানো হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, রাত ৯টার দিকে যুবলীগ নেতা মিজান এক হিন্দু তরুণী নিয়ে কলেজ রোডের এক আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ করছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ নারীসহ যুবলীগ নেতা মিজানকে ওই বাসায় অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ নারীসহ যুবলীগ নেতা মিজান ও বাসার মালিক আওয়ামী লীগ নেত্রী মোসা. রেখা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. রাসেল নামে এক যুবদল নেতা জানান, যুবলীগ নেতা এক নারী নিয়ে এ বাসায় অসামাজিক কাজ করছিলেন। এমন সংবাদ পেয়ে আমি বাসায় গিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরি। পরে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
তবে অসামাজিক কার্যকালাপের অভিযোগ অস্বীকার করে কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মিজান মোল্লা জানান, তিনি কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন কিশোর তাকে মারধর শুরু করেন। আত্মরক্ষার জন্য তিনি ওই বাসায় গিয়ে ঢুকেন। এগুলো সব জানানো নাটক বলে দাবি করেন তিনি।
ওই নারীও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাকে জোর করে ওই বাসায় ঢুকানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘অসামাজিক কার্যকালাপে জড়িত থাকার অভিযোগ তাকে (যুবলীগ নেতা মিজান) স্থানীয়রা আটক করেছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’