আকাশ স্পোর্টস ডেস্ক:
দেশের ফুটবলে সাড়া জাগানো এক নাম সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে প্রথমবারেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ার ফুটবলে নাম লিখিয়েছে তারা। দলও গড়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই। কিন্তু তাদের যেন পেয়ে বসেছে লাল কার্ডের রোগ! চলতি মৌসুমে ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ মিলিয়ে ১১ ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছে তাদের খেলোয়াড়। আজ শেখ রাসেলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন রাইটব্যাক রিয়াদুল হাসান। এর মাশুল গুনতে হয়েছে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়ে।
শেখ রাসেলের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রাইটব্যাক রিয়াদুলকে হারায় সাইফ। রাসেলের উইঙ্গার কাওসার আলীকে পেছন থেকে টেনে ধরলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রিয়াদুল। এর আগে প্রথমার্ধে দেখেছিলেন হলুদ কার্ড। কিন্তু দশ খেলোয়াড় নিয়েই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ মাতিয়ে রেখেছিল সাইফ। ইংলিশ কোচ কিম গ্রান্টের প্রশংসা করতেই হয়। এক খেলোয়াড় কমে গেলেও জয়ের মানসিকতা নিয়েই আক্রমণাত্মক কৌশল ধরে রেখেছিলেন তিনি। ৬২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার গোলে এগিয়েও যায় সাইফ। হেমন্তর কর্নারে দূরের পোস্ট থেকে হেডে গোল করেন সাইফ অধিনায়ক জামাল। কিন্তু সাত মিনিট পরেই রাসেলকে সমতায় ফেরান মিডফিল্ডার ফজলে রাব্বি। মিসরীয় ডিফেন্ডার আহমেদ সাইদ হাসানের ফ্রি কিক থেকে দাউদা সিসে হেড করে গোলমুখে বল নামিয়ে দিলে টোকা দিয়ে গোল করেন ফজলে রাব্বি। লাল কার্ডের মাশুলই দিতে হয়েছে সাইফকে। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে লাল কার্ড প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই মনে করিয়ে দিলেন, ‘এই মৌসুমে আমাদের তিনটি লাল কার্ড হয়ে গেছে।’
রিয়াদুলের আগে দুটি ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। সাইফ মৌসুম শুরুই করেছিল লাল কার্ড নিয়ে। ফেডারেশন কাপের প্রথম ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের (ঢাকা) বিপক্ষে সরাসরি লাল কার্ড দেখেছিলেন তপু বর্মণ। এরপর লিগে টিম বিজেএমসির বিপক্ষেও সরাসরি লাল কার্ড দেখেছেন তপু।
এই ড্রয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে সাইফ। ১২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে শেখ রাসেল।