আকাশ বিনোদন ডেস্ক :
পূজার মধ্যে তারকাদের একাংশ যেমন আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন, তেমনই কেউ কেউ আবার উদযাপনের ছবিও সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিয়েছিলেন। আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে শুরু থেকেই জড়িয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী তানিকা বসু। সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে উদযাপনের একটি ছবি পোস্ট করার পর তাকে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হতে হয়। ‘ট্রোলিং’ বাড়তেই অবেশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই বললেই পুলিশ ধরছে’, মেরুদণ্ডের অস্তিত্ব নিয়ে কেন শ্লেষ দেবলীনা-মৈনাকের?
বন্ধুদের সঙ্গে তানিকার ছবিটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন অভিনেতা দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়। সেই ছবিতে তাদের সঙ্গে অনন্যা সেন, সুহোত্র মুখোপাধ্যায় এবং অনিন্দ্য সেনগুপ্তকেও দেখা যায়। ছবি দেখে নেটাগরিকদের একাংশ প্রশ্ন তোলেন, প্রতিবাদের সঙ্গে উৎসবে শামিল কেন হলেন অভিনেত্রী। সময়ের সঙ্গে ট্রোলিংয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে।
সমাজমাধ্যমে এই প্রসঙ্গে তানিকা লেখেন, ‘ট্রোলারদের উদ্দেশে একটা কথা বলি, আপনারা আমাকে নিয়ে খুব ভাবিত হয়ে পড়েছেন। ভাল লাগছে! পৃথিবীতে এত কিছু আছে, রাজ্যে এত কিছু হচ্ছে, সব ছেড়ে দিয়ে আমাকে মনে ধরে বসে থাকা, অপ্রাসঙ্গিক ছবি নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করা, ট্রোল করা, অনেক কিছু করছেন।’
অভিনেত্রীর মতে, ট্রোলাররা অভিনেত্রীর কাজের বাইরে অন্য বিষয় নিয়ে বেশি লেখালেখি করেন। তাই অভিনেত্রীর অনুরোধ, আমাদের কাজ নিয়েও মাঝেমধ্যে একটু লিখুন। ভাল না লাগলে খারাপই লিখুন। আমরা আরও ভাল করার চেষ্টা করব!
তানিকার অনুমান, তিনি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আইটি সেল থেকে তাকে নিশানা করা হচ্ছে।
আনন্দবাজার অনলাইনকে তানিকা বললেন, ‘আমার ছবিটা নিয়ে নানা রকম মিম তৈরি করা হচ্ছে! এমনকি ভুয়া প্রোফাইল থেকে সমাজমাধ্যমে নেতিবাচক কমেন্ট করা হচ্ছে।’
তানিকা জানালেন, প্রথমে তিনি দুঃখ পেয়েছিলেন। কিন্তু দু’দিন কাটতেই বুঝতে পেরেছেন, কটাক্ষের জবাব দিয়েই কটাক্ষ থামাতে হবে। বললেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের বন্ধুদের সঙ্গেও একই জিনিস ঘটছে! আমরা কয়েক জন আলোচনা করে স্থির করেছি, আরও বেশি করে এ রকম ছবি দেব। দেখি, কত ক্ষণ ট্রোলিং চলে।
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে একাধিক টলিউড তারকাকে নিশানা বানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তানিকার ছবিটিও তার নজরে আসে। আরও কয়েক জন তারকার সঙ্গে তানিকার ছবিটি পোস্ট করে সমাজমাধ্যমে কুণাল লিখেছিলেন ‘বহুরূপী’। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে তানিকা বললেন, একজন রাজনীতিক হিসেবে তিনি কী করে দিনের পর দিন সমাজমাধ্যমে একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য করে চলেছেন, বুঝতে পারি না। ডাক্তারদের দশ দফা দাবি নিয়ে তো তিনি একটা কথাও বলছেন না।
একই সঙ্গে কুণালের উদ্দেশে তানিকার বার্তা, আমরা অভিনেত্রী, তাই হয়তো প্রচারের আলোয় চলে আসি। কিন্তু এই মুহূর্তে এই ধরনের সস্তা প্রচার আমাদের না পেলেও চলবে।
মঙ্গলবার জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে ‘দ্রোহের কার্নিভালে’ উপস্থিত ছিলেন তানিকা। অভিনেত্রী জানালেন, নিয়মিত ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে তিনি উপস্থিত হচ্ছেন। ট্রোলিংকে পাত্তা দিতে নারাজ অভিনেত্রী আগামী দিনেও যে আন্দোলনের সঙ্গে সাধ্যমতো জড়িয়ে থাকবেন, সে কথাও স্পষ্ট করলেন।