আকাশ স্পোর্টস ডেস্ক:
গড়পড়তা আফ্রিকান ফুটবলারদের চেয়ে স্যামসন ইলিয়াসু একটু আলাদাই। বড় শরীরের বিদেশি ফুটবলারদের ভিড়ে ইলিয়াসুর উচ্চতা মেরে কেটে পাঁচ ফিট চার ইঞ্চি হবে। আজ ম্যাচ শেষে মোহামেডান সমর্থকদের ভিড়ে ছোটখাটো এই মানুষটাকে তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স ভালো হলে আর উচ্চতায় কী যায়-আসে! নাইজেরিয়ান এই মিডফিল্ডারের জোড়া গোলে আরামবাগকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান।
জোড়া গোল তো কত খেলোয়াড়ই করেন! কিন্তু ইলিয়াসুর গোল দুটি চোখে লেগে থাকার মতো। প্রথমটি ফ্রন্ট ভলিতে ও দ্বিতীয়টি দূরপাল্লার গড়ানো শটে। মোহামেডানের অন্য গোলটি এসেছে এনকোচা কিংসলের পা থেকে। দুই নাইজেরিয়ানের সন্ধ্যায় টানা দুই ড্রয়ের পর প্রিমিয়ার লিগে জয়ে ফিরেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
১৯ মিনিটে গোলের খাতা খোলেন স্যামসন ইলিয়াসু। বাঁ প্রান্ত থেকে আবদুল বাতেন কোমলের ক্রসে আরামবাগের ডিফেন্ডার মাহমুদুল হাসান হেডে ক্লিয়ার করলে ফিরতি বলে পেনাল্টি বক্সের ওপর থেকে ফ্রন্ট ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন (১-০)। ইলিয়াসুর দ্বিতীয় গোলটি আরও সুন্দর। মাঝমাঠে আরামবাগের এক মিডফিল্ডারকে বডি ডজে ছিটকে ফেলে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার গড়ানো শটে ২-০। আরামবাগ গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান ঝাঁপ দিয়েও বলের নাগাল পাননি। লিগে এটি ইলিয়াসুর তৃতীয় গোল।
শুধু দুটি গোলই করেননি, পুরো মাঠের নাটাইটা ছিল ইলিয়াসুর হাতেই। আরামবাগের তরুণেরা ভালো খেললেও খাবি খেয়েছে ইলিয়াসুর কাছেই। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন আরামবাগের শাহরিয়ার বাপ্পী। যোগ করা সময়ে ৩-১ করেছেন এনকোচা কিংসলে।
স্যামসন ইলিয়াসু গত লিগে বিজেএমসির জার্সিতে ১৪ গোল করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। সে তুলনায় এবারই তাঁর পায়ে গোল নেই। কারণটা নিজেই জানালেন, ‘কোচ নঈমুদ্দিনের অতিরিক্ত চাপেই আমি মাঠে স্বচ্ছন্দ হয়ে খেলতে পারছিলাম না। আজ তিনি নেই, আমি আমার মতো খেলে দুই গোল পেলাম।’ বলা বাহুল্য, আজ মাঠে ছিলেন না মোহামেডানের ভারতীয় কোচ সৈয়দ নঈমুদ্দিন। লিগের বিরতিতে দেশে ফিরে গেছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, ক্লাবের পক্ষ থেকে আর ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না তাঁকে।
এই জয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে মোহামেডান। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে আরামবাগ।