ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

নাটোরে বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে স্ত্রী-কন্যাদের ওপর অন্যায় অত্যাচার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী মেহনাজ আকতার আমিন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এ সময় তার দুই সন্তান ফাতিহা তাসনীম হক ও রাদিয়া ফিদান হকসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে মেহনাজ আকতার আমিন অভিযোগ করেন, ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর নাটোর সদরের জংলী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে বর্তমানে পুলিশের বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হকের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৫ ও ৮ বছর বয়সি দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০২১ সালে পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনী সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলার ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার জের ধরে ফজলুল হককে সরকার শাস্তি দেয়। একই বছর তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করে। এ সময় তিনি একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। বাধা দিলে তিনি স্ত্রী সন্তানদের মারপিট শুরু করেন।

মেহনাজ আকতার আরও বলেন, ২০২৩ সালে ফজলুল হক পুনরায় ঠাকুরগাঁয়ে ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করে সেখানকার জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে আবারো পরকীয়া গড়ে তুলেন। একটি ভাড়া বাসায় সেই নারীর সঙ্গে অবস্থান করার সময় স্ত্রী সন্তানরা কৌশলে সেখানে উপস্থিত হলে ফজলুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রচণ্ড শীতের মধ্যরাতে স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। নানা অনিয়ম ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় চলতি বছরের ১৩ মার্চ বিগত সরকার তাকে আবারও বরখাস্ত করে।

এ ঘটনার পর ফজলুল হক রাজশাহীর বাসায় এসে স্ত্রী সন্তানদের জোর করে অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন। তার ভয়ে স্ত্রী সন্তানরা পুলিশ সদর দপ্তরে তদন্ত কমিটির সামনেও হাজির হতে পারেননি।

ইতোমধ্যে ফজলুল হক জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মরত সেই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে বিয়ে করে নাটোর শহরের মোহনপুরে বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত ছয় মাস ধরে স্ত্রী ও সন্তানদের কোনো খরচ বহন না করে উল্টো স্ত্রী ও তার পিতামাতা ও ভাইদের নামে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।

এ বিষয়ে ফজলুল হকের স্ত্রী ও সন্তানরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার বিকালে বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হকের মোবাইলে বারবার কল ও খুদেবার্তা পাঠালেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের সময় সাংবাদিকরা ফোন দিলে প্রথম ফোনটি তিনি রিসিভ করে বলেন, তার প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি কখনই কারো সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন না।

প্রথম স্ত্রী মেহনাজ আকতার আমিন নিজেই পরকীয়ায় লিপ্ত অভিযোগ করে তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকেই প্রথম স্ত্রী নানাভাবে তাকে সমাজে অসম্মানিত করছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:০৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

নাটোরে বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে স্ত্রী-কন্যাদের ওপর অন্যায় অত্যাচার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী মেহনাজ আকতার আমিন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এ সময় তার দুই সন্তান ফাতিহা তাসনীম হক ও রাদিয়া ফিদান হকসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে মেহনাজ আকতার আমিন অভিযোগ করেন, ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর নাটোর সদরের জংলী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে বর্তমানে পুলিশের বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হকের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৫ ও ৮ বছর বয়সি দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০২১ সালে পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনী সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলার ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার জের ধরে ফজলুল হককে সরকার শাস্তি দেয়। একই বছর তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করে। এ সময় তিনি একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। বাধা দিলে তিনি স্ত্রী সন্তানদের মারপিট শুরু করেন।

মেহনাজ আকতার আরও বলেন, ২০২৩ সালে ফজলুল হক পুনরায় ঠাকুরগাঁয়ে ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করে সেখানকার জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে আবারো পরকীয়া গড়ে তুলেন। একটি ভাড়া বাসায় সেই নারীর সঙ্গে অবস্থান করার সময় স্ত্রী সন্তানরা কৌশলে সেখানে উপস্থিত হলে ফজলুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রচণ্ড শীতের মধ্যরাতে স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। নানা অনিয়ম ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় চলতি বছরের ১৩ মার্চ বিগত সরকার তাকে আবারও বরখাস্ত করে।

এ ঘটনার পর ফজলুল হক রাজশাহীর বাসায় এসে স্ত্রী সন্তানদের জোর করে অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন। তার ভয়ে স্ত্রী সন্তানরা পুলিশ সদর দপ্তরে তদন্ত কমিটির সামনেও হাজির হতে পারেননি।

ইতোমধ্যে ফজলুল হক জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মরত সেই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে বিয়ে করে নাটোর শহরের মোহনপুরে বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত ছয় মাস ধরে স্ত্রী ও সন্তানদের কোনো খরচ বহন না করে উল্টো স্ত্রী ও তার পিতামাতা ও ভাইদের নামে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।

এ বিষয়ে ফজলুল হকের স্ত্রী ও সন্তানরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার বিকালে বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হকের মোবাইলে বারবার কল ও খুদেবার্তা পাঠালেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের সময় সাংবাদিকরা ফোন দিলে প্রথম ফোনটি তিনি রিসিভ করে বলেন, তার প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি কখনই কারো সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন না।

প্রথম স্ত্রী মেহনাজ আকতার আমিন নিজেই পরকীয়ায় লিপ্ত অভিযোগ করে তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকেই প্রথম স্ত্রী নানাভাবে তাকে সমাজে অসম্মানিত করছেন।