চকরিয়ায় অবৈধ বালুমহাল দখলে নিতে গিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মুন্সিঘোনা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পেকুয়া উপজেলা যুবদলের একটি গ্রুপ এবং বরইতলী ইউনিয়ন (পহরচাঁদা) বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, বরইতলী ইউনিয়নের মুন্সিঘোনা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল একটি চক্র। ক্ষমতার পরিবর্তনের পর এই বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। সোমবার দুপুরে পেকুয়া উপজেলা যুবদল নেতা সাজ্জাদ মেম্বার এবং সাহেদুল ইসলাম মেম্বারের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন দলীয় নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়িযোগে এসে বালু লুট করার চেষ্টা করে।
এই ঘটনা জানার পর বরইতলী ইউনিয়ন বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং প্রতিপক্ষকে ধাওয়া দেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বিএনপি নেতা জালাল আহমদ সিকদার জানান, “পেকুয়া উপজেলা যুবদল নেতা সাজ্জাদ মেম্বার এবং ইউপি সদস্য সাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বরইতলীতে এসে বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিল। খবর পেয়ে বরইতলীর পহরচাঁদা সাংগঠনিক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে, তারা স্কেভেটর ও ডাম্পার ট্রাকসহ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।”
অভিযুক্ত যুবদল নেতা এবং পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাহেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।