ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরব আমিরাতকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

আআকাশ স্পোর্টস ডেস্ক:

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৬০ ছোঁয়া পুঁজি নিয়েও জয়টা কঠিনই হয়ে পড়েছিল। শেষ ওভারেও স্বাগতিকদের জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল আমিরাতের বোলাররা।

তাই আজ দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বড় সংগ্রহের পরিকল্পনায় মাঠে নেমে শুরুটাও দারুণ করে বাংলদেশ।

কিন্তু প্রথম ১০ ওভারে ৮৩ রান তোলার পরও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬৯ রানের পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সফরকারীদের।

আর এই পুঁজি নিয়েই এবার ৩২ রানে জয় পেয়ে টাইগাররা। এরই সঙ্গে ২-০ তে সিরিজি জিতে আরব আমিরাতকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ।

১৭০ রানের তাড়ায় শুরুতেই ওপেনার চেরাগ সুরিকে হারায় আমিরাত। স্পিনার নাসুমের ভেলকিতে পরাজিত হয়ে ৫ রানে কট এন্ড বোল্ড হন চিরাগ।

আরেক ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৬ বলে ১৮ রান করে তাসকিনের পেসে পরাস্থ হন। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে পরাস্থ হয়ে নাসুমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন আরিয়ান লাকরা ৯ বলে ৪ রান করে। আমিরাতে উইকেটকিপার অরবিন্দ স্কয়ার কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাত্র ২ রান করে।

এতেই মোটামুটি পরাজয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় আমিরাতের। এর পর অধিনায়ক রিজওয়ান ও বাসিল আহমেদ ধরে রেখে খেললেও রানরেট আকাশচুম্বী হয়ে যায়।

শেষদিকে জয়ের জন্য ১৮ বলে প্রয়োজন পড়ে ৫৫ রানের। কিন্তু তাসকিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাসিল-রিজওয়ান নিতে পারে মাত্র ৩ রান।

১২ বলে দরকার ৫২ রানের। যা অনেকটা অসম্ভব। ১৯তম ওভারের ৩য় ডেলিভারিতে বাসিলকে আউট করে দেন পেসার এবাদত হোসেন। ৪০ বলে ৪২ রানে সাজঘরে ফেরেন বাসিল।

শেষ ওভারে শুধু জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। সেই ওভারে তাসকিন ১০ রান দিলে ৫ উইকেটে ১৩৭ রানে থামে আমিরাত। ৩৬ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক রিজওয়ান।

এর আগে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টসে হের আগে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ।

উদ্বোধনী জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজ সফল হলেও আজকেও সাব্বির রহমান ব্যর্থ। আগের ম্যাচে শূন্যতে আউট হওয়া এ ওপেনার আজ ৯ বলে ১২ রান করে ফেরেন।

ওয়ানডাউনে নামা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষে ৪৮ রান তোলেন মিরাজ। দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিটন ২০ বলে ২৫ রান করে ফেরেন। এরপর আফিফ ক্রিজে এসেই টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি। দারুণ দুটো বাউন্ডারির মার মেরে ১০ বলে ১৮ রান করে আউট হন আফিফ।

১৫তম ওভারে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ওপেনার মিরাজ ফেরেন ৪৬ রানে। তার বিদায়ের ফলে আর রানের চাকার গতি বাড়ানো সম্ভব হয়নি।

১৭তম ওভারের শেষে মোসাদ্দেকও ফেরেন ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে। এরপর ইয়াসির আলী ও অধিনায়ক নুরুল হাসান শেষ তিন ওভারে তোলেন ৩২ রান। তাতেই ১৬৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আরব আমিরাতকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১১:৫০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

আআকাশ স্পোর্টস ডেস্ক:

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৬০ ছোঁয়া পুঁজি নিয়েও জয়টা কঠিনই হয়ে পড়েছিল। শেষ ওভারেও স্বাগতিকদের জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল আমিরাতের বোলাররা।

তাই আজ দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বড় সংগ্রহের পরিকল্পনায় মাঠে নেমে শুরুটাও দারুণ করে বাংলদেশ।

কিন্তু প্রথম ১০ ওভারে ৮৩ রান তোলার পরও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬৯ রানের পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সফরকারীদের।

আর এই পুঁজি নিয়েই এবার ৩২ রানে জয় পেয়ে টাইগাররা। এরই সঙ্গে ২-০ তে সিরিজি জিতে আরব আমিরাতকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ।

১৭০ রানের তাড়ায় শুরুতেই ওপেনার চেরাগ সুরিকে হারায় আমিরাত। স্পিনার নাসুমের ভেলকিতে পরাজিত হয়ে ৫ রানে কট এন্ড বোল্ড হন চিরাগ।

আরেক ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৬ বলে ১৮ রান করে তাসকিনের পেসে পরাস্থ হন। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে পরাস্থ হয়ে নাসুমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন আরিয়ান লাকরা ৯ বলে ৪ রান করে। আমিরাতে উইকেটকিপার অরবিন্দ স্কয়ার কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাত্র ২ রান করে।

এতেই মোটামুটি পরাজয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় আমিরাতের। এর পর অধিনায়ক রিজওয়ান ও বাসিল আহমেদ ধরে রেখে খেললেও রানরেট আকাশচুম্বী হয়ে যায়।

শেষদিকে জয়ের জন্য ১৮ বলে প্রয়োজন পড়ে ৫৫ রানের। কিন্তু তাসকিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাসিল-রিজওয়ান নিতে পারে মাত্র ৩ রান।

১২ বলে দরকার ৫২ রানের। যা অনেকটা অসম্ভব। ১৯তম ওভারের ৩য় ডেলিভারিতে বাসিলকে আউট করে দেন পেসার এবাদত হোসেন। ৪০ বলে ৪২ রানে সাজঘরে ফেরেন বাসিল।

শেষ ওভারে শুধু জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। সেই ওভারে তাসকিন ১০ রান দিলে ৫ উইকেটে ১৩৭ রানে থামে আমিরাত। ৩৬ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক রিজওয়ান।

এর আগে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টসে হের আগে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ।

উদ্বোধনী জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজ সফল হলেও আজকেও সাব্বির রহমান ব্যর্থ। আগের ম্যাচে শূন্যতে আউট হওয়া এ ওপেনার আজ ৯ বলে ১২ রান করে ফেরেন।

ওয়ানডাউনে নামা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষে ৪৮ রান তোলেন মিরাজ। দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিটন ২০ বলে ২৫ রান করে ফেরেন। এরপর আফিফ ক্রিজে এসেই টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি। দারুণ দুটো বাউন্ডারির মার মেরে ১০ বলে ১৮ রান করে আউট হন আফিফ।

১৫তম ওভারে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ওপেনার মিরাজ ফেরেন ৪৬ রানে। তার বিদায়ের ফলে আর রানের চাকার গতি বাড়ানো সম্ভব হয়নি।

১৭তম ওভারের শেষে মোসাদ্দেকও ফেরেন ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে। এরপর ইয়াসির আলী ও অধিনায়ক নুরুল হাসান শেষ তিন ওভারে তোলেন ৩২ রান। তাতেই ১৬৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।