ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেপাল জয় করতে পারলেন না জামালরা

আকাশ স্পোর্টস ডেস্ক:

মেয়েদের সাফ জয়ের আনন্দ এখনো তরতাজা। একের পর এক সংবর্ধনা পাচ্ছেন তারা।

নেপালের সেই দশরথেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল, যে মাঠ থেকে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাবিনারা। সেই মাঠেই নেপালের বিপক্ষে আজ ৩-১ গোলে হেরেছে হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। বাংলাদেশ বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে রহমত মিয়ার ক্রস থেকে হেমন্ত বিশ্বাসের হেড জালে জড়ানোর আগে বিপদমুক্ত করেন নেপালের এক ডিফেন্ডার। ১৬তম মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিক ক্রস বারে লাগলে আবারও গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ না পারলেও নিজেদের সুযোগটা ঠিকই কাজে লাগিয়েছে নেপাল। ১৮তম মিনিটে বিমল ঘারতি মাগারের ফ্রি-কিক থেকে অঞ্জন বিস্তার হেডে বল বাংলাদেশ গোলরক্ষক জিকোকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে।

২৬তম মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সাজ্জাদ হোসেন। নেপালি গোলরক্ষক একা পেয়েও বল তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশি স্ট্রাইকার। পরের মিনিটে ম্যাচে নিজেদের দ্বিতীয় গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর থেকে তেজ তামাংয়ের শট প্রথম দফায় ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক জিকো। জিকোর ফিস্টে বল পান ফাঁকায় দাঁড়ানো অঞ্জন বিস্তা। অঞ্জনের শটে দ্বিতীয় দফায় আর জাল রক্ষা করতে পারেননি জিকো।

বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবিয়ে ৩৮তম মিনিটেই হ্যাটট্রিক অঞ্জন বিস্তার। এবারও গোল সেই ফ্রি-কিক থেকে। বিশাল রায়ের ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া স্পটকিকে বক্সের ভেতরে কেবল অঞ্জনই ছিলেন। অঞ্জনের মার্কার হিসেবে ছিলেন টুটুল হোসেন বাদশা। তাকে ছিটকে দিয়ে অঞ্জনের হেড ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশকে।

৫২তম মিনিটে চতুর্থ গোল হজম করা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় বাংলাদেশ দল। বক্সের ভেতর তেজ তামাংয়ের কোনাকুনি শটে অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। তিন মিনিট পর ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে রাকিব হোসেনের ক্রস থেকে বল সেসাং আংডেম্বের পায়ে লাগলে ফাঁকায় বল পান সাজ্জাদ হোসেন। খোলা পোস্টে এবার ভুল করেননি সাজ্জাদ। হেডে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলে ব্যবধান কমান এই স্ট্রাইকার।

পরবর্তীতে আর কোনো গোল না হলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় কাবরেরার শিষ্যদের।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপাল জয় করতে পারলেন না জামালরা

আপডেট সময় ০৯:১২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

আকাশ স্পোর্টস ডেস্ক:

মেয়েদের সাফ জয়ের আনন্দ এখনো তরতাজা। একের পর এক সংবর্ধনা পাচ্ছেন তারা।

নেপালের সেই দশরথেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল, যে মাঠ থেকে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাবিনারা। সেই মাঠেই নেপালের বিপক্ষে আজ ৩-১ গোলে হেরেছে হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। বাংলাদেশ বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে রহমত মিয়ার ক্রস থেকে হেমন্ত বিশ্বাসের হেড জালে জড়ানোর আগে বিপদমুক্ত করেন নেপালের এক ডিফেন্ডার। ১৬তম মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিক ক্রস বারে লাগলে আবারও গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ না পারলেও নিজেদের সুযোগটা ঠিকই কাজে লাগিয়েছে নেপাল। ১৮তম মিনিটে বিমল ঘারতি মাগারের ফ্রি-কিক থেকে অঞ্জন বিস্তার হেডে বল বাংলাদেশ গোলরক্ষক জিকোকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে।

২৬তম মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সাজ্জাদ হোসেন। নেপালি গোলরক্ষক একা পেয়েও বল তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশি স্ট্রাইকার। পরের মিনিটে ম্যাচে নিজেদের দ্বিতীয় গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর থেকে তেজ তামাংয়ের শট প্রথম দফায় ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক জিকো। জিকোর ফিস্টে বল পান ফাঁকায় দাঁড়ানো অঞ্জন বিস্তা। অঞ্জনের শটে দ্বিতীয় দফায় আর জাল রক্ষা করতে পারেননি জিকো।

বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবিয়ে ৩৮তম মিনিটেই হ্যাটট্রিক অঞ্জন বিস্তার। এবারও গোল সেই ফ্রি-কিক থেকে। বিশাল রায়ের ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া স্পটকিকে বক্সের ভেতরে কেবল অঞ্জনই ছিলেন। অঞ্জনের মার্কার হিসেবে ছিলেন টুটুল হোসেন বাদশা। তাকে ছিটকে দিয়ে অঞ্জনের হেড ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশকে।

৫২তম মিনিটে চতুর্থ গোল হজম করা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় বাংলাদেশ দল। বক্সের ভেতর তেজ তামাংয়ের কোনাকুনি শটে অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। তিন মিনিট পর ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে রাকিব হোসেনের ক্রস থেকে বল সেসাং আংডেম্বের পায়ে লাগলে ফাঁকায় বল পান সাজ্জাদ হোসেন। খোলা পোস্টে এবার ভুল করেননি সাজ্জাদ। হেডে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলে ব্যবধান কমান এই স্ট্রাইকার।

পরবর্তীতে আর কোনো গোল না হলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় কাবরেরার শিষ্যদের।