আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর লক্ষীনারায়ণপুরে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওই স্কুলছাত্রীর নাম তাসমিয়া হোসেন অদিতা (১৪)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর এলাকায় ওই শিক্ষার্থীর নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
রাত ৯ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি। অদিতার মা রাজিয়া সুলতানা রুবি সাংবাদিকদের জানান, আমি স্কুল থেকে এসে দেখি আমার ঘরে তালা দেয়া। তালা খুলে ঢুকে দেখি মেয়ের রুমের ফ্যান টিভি চলে কিন্তু গেইট বন্ধ। আমি খুলে দেখি মেয়ে অর্ধ-উলঙ্গ এবং গলা কাটা। তার হাতের রগও কাটা হয়েছে। অদিতাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অদিতি স্থানীয় নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। তার মা রাজিয়া সুলতানা রুবি স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
তিনি বলেন, আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। তার বাবা নাই, আমি তাকে বহু কষ্টে লালন-পালন করেছি। তার সাথে কারো সম্পর্ক ছিল না।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লায় এক কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ওই স্কুল ছাত্রীর নিজ শয়ন কক্ষে তার গলা কাটা ও হাতের রগ কাটা লাশ পড়ে আছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান, সিআইডি ও পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।