ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

মিয়ানমারে গোলাগুলি, সীমান্তবাসীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে: ডিসি

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি অব্যাহত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তের বাংলাদেশি যেসব পরিবার ঝুঁকির মুখে রয়েছে; তাদের সরিয়ে নিতে ঝুঁকির পরিস্থিতি ও তাদের নিজস্ব মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সে ব্যাপারে প্রাথমিক প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এর আগে ঘুমধুম ইউপি কার্যালয়ে স্থানীয়দের ঝুঁকির বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম।

তুমব্রু সীমান্তে বিজিবি সর্তক অবস্থানে থাকবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে সরকার। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। ঝুঁকির মুখে স্থানীয়দের সরিয়ে নিতে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এই নিয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রাখা হয়েছে। আপাতত ৩শ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যারা তুমব্রু, ঘুমধুম, ফাত্রাঝিরি ও সীমান্তের খুব কাছের তাদের সরানো হবে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনায় থাকা ৩শ পরিবারের আশ্রয়ের জন্য স্থান খোঁজা হচ্ছে। মূলকথা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সব কিছু গুছিয়ে রাখা হয়েছে।

এর আগে নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে উখিয়ার কুতুপালংয়ে সরিয়ে নেয়া ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক। এ সময় পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্টু কুমার সাহাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেলে ১ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত ও ৭ জন আহত হন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

মিয়ানমারে গোলাগুলি, সীমান্তবাসীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে: ডিসি

আপডেট সময় ১১:০১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি অব্যাহত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তের বাংলাদেশি যেসব পরিবার ঝুঁকির মুখে রয়েছে; তাদের সরিয়ে নিতে ঝুঁকির পরিস্থিতি ও তাদের নিজস্ব মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সে ব্যাপারে প্রাথমিক প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এর আগে ঘুমধুম ইউপি কার্যালয়ে স্থানীয়দের ঝুঁকির বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম।

তুমব্রু সীমান্তে বিজিবি সর্তক অবস্থানে থাকবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে সরকার। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। ঝুঁকির মুখে স্থানীয়দের সরিয়ে নিতে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এই নিয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রাখা হয়েছে। আপাতত ৩শ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যারা তুমব্রু, ঘুমধুম, ফাত্রাঝিরি ও সীমান্তের খুব কাছের তাদের সরানো হবে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনায় থাকা ৩শ পরিবারের আশ্রয়ের জন্য স্থান খোঁজা হচ্ছে। মূলকথা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সব কিছু গুছিয়ে রাখা হয়েছে।

এর আগে নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে উখিয়ার কুতুপালংয়ে সরিয়ে নেয়া ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক। এ সময় পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্টু কুমার সাহাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেলে ১ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত ও ৭ জন আহত হন।