আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মাসুদ রানার বাবা মৃত খোকন মিয়ার নাম যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় লিপিবদ্ধ রয়েছে। তালিকাটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ৬১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি গঠিত হয়। ওই সময় কাউন্সিল না ডেকে মো. মাসুদ রানাকে সভাপতি ও হাবিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ সাত বছর পার হলেও ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায় ওই কমিটির বৈধতা নিয়ে নড়েচড়ে বসেন পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতারা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে ছড়িয়ে পড়ে দেলদুয়ার উপজেলার ’৭১ এর যুদ্ধাপরাধী রাজাকারের তালিকা। ওই তালিকায় বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মাসুদ রানার বাবা মৃত খোকন মিয়ার নাম ১৬ নম্বর ক্রমিকে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তালিকাটি সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফাজ উদ্দিনের স্বাক্ষর-সীলমোহর সম্বলিত।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বাবলুর সঙ্গে। তিনি বলেন, দেলদুয়ার উপজেলায় তালিকাভূক্ত ১৬ জন রাজাকার রয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীপাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ মিরভরের ছেলে খোকন মিয়াও রয়েছেন। বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা রাজাকার খোকন মিয়ার ছেলে।
টাঙ্গাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেলদুয়ার উপজেলার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার বলেন, মৌলভীপাড়ার খোকন মিয়া ছিল আমার সহপাঠী। ৭১’এ আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। আর খোকন যায় রাজাকারে। খোকন মিয়া একজন তালিকাভূক্ত রাজাকার বিষয়টি শতভাগ সত্য। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন বলেন, দেলদুয়ার উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি সাত বছর আগের। তবে মো. মাসুদ রানা রাজাকার পুত্র কিনা বিষয়টি নিশ্চিত করবে এলাকাবাসী। তবে এরকম প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মাসুদ রানা বলেন, একটি পক্ষ আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় আমার বাবার নাম আছে এটি জানতাম না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি।