আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
মৃত বাবার পরিচয় খুঁজতে বাংলাদেশে এসেছেন পাকিস্তানি এক তরুণী। তার নাম তাহরিম রিদা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই তরুণীর পৈতৃক বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ফাজিলের ঘাট এলাকায়।
ফেসবুকে ‘আমাদের ফেনী গ্রুপ’-এর কল্যাণে ওই তরুণী তার বাবার পরিবারের খোঁজ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৫৭ মিনিটে পাকিস্তানি এই তরুণী তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে ‘আমাদের ফেনী গ্রুপ’-এ একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি সালাম দিয়ে উল্লেখ করেন- আমি এখানে আমার বাবার পরিবার খুঁজতে এসেছি। আমার বাবা ২০০৪ সালে পাকিস্তান এসে আমার মাকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের ফেনী থেকে এসেছিলেন, তার নাম ছিল মুহাম্মদ কাসিম আজাদ, আমার দাদার নাম তফাজুল হক। আমি আমার বাবার পরিবার সম্পর্কে এর বেশি আর কিছুই জানি না।
গ্রুপে নিজের চাচার একটি ছবি দিয়ে তাহরিম বলেন, আবু সাদিক আমার বাবার বড়ভাই। যদি কেউ এই পরিবার সম্পর্কে কিছু জানেন, তবে তাদের সঙ্গে দেখা করা হবে খুবই আনন্দের।
স্ট্যাটাস দেওয়ার ২৩ মিনিটের মধ্যেই তাহরিমের বাবার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয়। মেয়েটির বাবার বাড়ি দাগনভূঞার ফাজিলের ঘাটে। তার ফুফু ও ফুফাতো বোনের ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে তার।
তাহরিমের দাবি, কলেজে বা বাইরে গেলে তার বাবার পরিচয় জানতে অনেকেই বিরক্ত করেন। তার বাবা পাকিস্তান থাকাকালীন তার মাকে (মেহবুবা) বিয়ে করেন। পাকিস্তানে তার মাকে রেখে বাংলাদেশে আসলে তার বাবা অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর তার পরিবারের সঙ্গে আর কোনো পরিচয় ঘটেনি।
‘আমাদের ফেনী গ্রুপ’ অ্যাডমিন ইমদাদুল হক জানান, তাহরিমের বাবা দেশে এসে তার মাকে চিঠি পাঠাতেন। ওই সব চিঠি থেকে ঠিকানা সংগ্রহ করে তাহরিম ফেনী শব্দটি পায়। পরে ফেনী লিখে গুগলে সার্চ করে জানতে পারেন এটি একটি জেলা। পরবর্তীতে ফেনী সার্চ করে আমাদের ফেসবুক গ্রুপটি পায়। এরপর তাহরিম ফেসবুকে ইংরেজিতে পোস্ট করেন। এরপর অনুবাদ করে বাংলায় পোস্ট দেয় অ্যাডমিন প্যানেল। পরে তাহরিমের বাবার পরিবারের কাছে বার্তা পৌঁছে যায়। বাবার পরিবারের সদস্যদের পেয়ে আবেগে আপ্লুত তাহরিম।
পিতৃপরিচয় পেয়ে তাহরিম রিদা বলেন, ফেনীর মানুষকে কী বলে ধন্যবাদ দেব তা বলার ভাষা আমার নেই। আমাকে যারা খুঁজে পেতে সহায়তা করেছেন সবাইকে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক। খুব শিগগিরই আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
দাগনভূঞা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন স্বপন জানান, পাকিস্তানি এক তরুণী এসেছেন বলে তিনি লোকমুখে শুনেছেন। মেয়েটির বাবার বাড়ি তার ইউনিয়নে।