আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
মাদারীপুরের কালকিনিতে সরকারি হাসপাতালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একাধিক ক্লিনিক ও ডায়গস্টিক সেন্টার। এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সরকারি হাসপাতালের রোগীদের ভাগিয়ে নিতে নিযুক্ত করা হয়েছে একাধিক দালাল। এসব দালাল চক্র বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে রোগীদের ক্লিনিক ও ডায়নস্টিক সেন্টারে যেতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিনিয়ত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আশা রোগী ও তাদের স্বজনরা ক্লিনিক মালিকদের নিয়োগকৃত পুরুষ ও নারী কর্মীদের হাতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে হচ্ছেন লাঞ্চিত। রোগী ভাগিয়ে নিতে ক্লিনিকের নিয়োগকৃত দালালদের মধ্যে মাঝে মাঝে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনাও ঘটে। শুক্রবার সকালে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রোগী ভাগিয়ে নিতে গিয়ে গিয়ে দুই নারী দালাল মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিও দেখে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেই গড়ে উঠা হাওলাদার ডায়গস্টিক সেন্টারের কর্মী হেলেনা বেগম এবং পার্শবর্তী আল মদিনা ডায়গন্টিক সেন্টারের কর্মী রোজিনা বেগম নামে দুই নারী ক্লিনিক কর্মী মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এসময় জুতাপেটার ঘটনাও ঘটে। আর এ ঘটনা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার পরপরই দুই নারী ক্লিনিক কর্মী গা ঢাকা দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রোগী জানান, ক্লিনিক মালিকরা অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কেউ কিছু করতে পারে না। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসা চালাচ্ছেন। অথচ নিয়ম অনুযায়ী সরকারী হাসপাতালের নিকটবর্তী স্থানে কোনো ক্লিনিক ও ডায়াগস্টিক সেন্টার স্থাপন করার বিধান নেই।
এ ব্যাপারে দুই ক্লিনিক মালিকই তাদের কর্মীদের অস্বীকার করেছেন। তাদের এই ধরনের কোনো কর্মী নেই বলে দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা বলেন, আমি ভিডিও টি দেখেছি। আমরা দ্রুত অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।