আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও ভারী গোলাগুলির খবর এসেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজে সীমান্তবর্তী ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার সকালের আগে থেকে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের এলাকায় ভারী গোলাবারুদের শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ।
গুলির বিকট শব্দে সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘দুপুর ১২টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সীমান্তে দুদিন গোলাগুলি বন্ধ থাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সকাল থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হওয়ায় ভয়ে আছে সীমান্তের লোকজন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
তুমব্রু সীমান্তের এক বাসিন্দা বলেন, ‘দুই দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আবারও সকাল থেকে ভারী গুলি করা হচ্ছে। গুলির বিকট শব্দে এখানকার মানুষজন ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছে।’
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস জানান, ‘সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভয়ভীতির কোনো কারণ নেই। আমরা সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’
মিয়ানমারের ওই এলাকায় রাখাইন প্রদেশের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সামরিক বাহিনীর সংঘাত চলছে বলে জানা গেছে। একটি ফাঁড়ি আরাকান আর্মির দখল করে নেওয়া আর ১৯ পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পাল্টা হিসেবে হামলা চালানো হচ্ছে বলে ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকালে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে দুটি গোলা এসে পড়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রুতে। পরদিন রবিবার ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে ঢেকে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।
এর আগে ২৮ আগস্টও মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল ঘুমধুম এলাকার জনবসতিতে পড়ে। তবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সেবারও ঘটনার পরদিন ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে সতর্ক করেছিল ঢাকা।