ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

রান্নাঘরের মাটি খুঁড়ে সোনা তোলার লোভ, ৩ প্রতারক গ্রেফতার

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

হাজীগঞ্জ উপজেলায় দুই লাখ টাকা চুক্তিতে রান্না ঘরের মাটি খুঁড়ে সোনা তোলার লোভ দেখিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় নারীসহ তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সদস্য।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার আসামিদের চাঁদপুর আদালতে তোলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রতারণার শিকার ইমান হোসেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের ক্বারী সাহেবের বাড়ীর ইমান হোসেনের ঘর থেকে প্রতারক চক্রের সদস্যদের আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার বহরমপুর গ্রামের তোফাজ্জল মুন্সী (৪০), একই জেলার বাউফল থানার নওমালা গ্রামের আবদুর রহিম (৩০) ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার সোনারামপুর গ্রামের তানিয়া আক্তার (২৫)।

প্রতারণার শিকার ইমাম হোসেন বলেন, দুই লাখ টাকার বিনিময়ে আমার রান্নাঘরের মাটির নিচ থেকে স্বর্ণ তুলে দেবে বলে তোফাজ্জল মুন্সী চুক্তি করেন। গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রহিম ও তানিয়াকে তিনি আমার ঘরে আসেন। সময়ক্ষেপণ করায় তাদেরকে আমার প্রতারক বলে সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ ডেকে তাদের ধরিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ব্যবসার সুবাদে গ্রেফতার তোফাজ্জলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। দুই লাখ টাকার চুক্তিতে তিন প্রতারক আমার রান্না ঘর থেকে সোনা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা আহমেদ বলেন, প্রতারণার খবর পেয়ে আমরা ইমামের বাড়ি গিয়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করি। জানা গেছে তোফাজ্জল, রহিম ও তানিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে দেশের কয়েক জেলায় অভিযোগ আছে। প্রতারণার নেপথ্যে কাজ করতেন তোফাজ্জল। ইমামের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

রান্নাঘরের মাটি খুঁড়ে সোনা তোলার লোভ, ৩ প্রতারক গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৯:৩১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

হাজীগঞ্জ উপজেলায় দুই লাখ টাকা চুক্তিতে রান্না ঘরের মাটি খুঁড়ে সোনা তোলার লোভ দেখিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় নারীসহ তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সদস্য।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার আসামিদের চাঁদপুর আদালতে তোলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রতারণার শিকার ইমান হোসেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের ক্বারী সাহেবের বাড়ীর ইমান হোসেনের ঘর থেকে প্রতারক চক্রের সদস্যদের আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার বহরমপুর গ্রামের তোফাজ্জল মুন্সী (৪০), একই জেলার বাউফল থানার নওমালা গ্রামের আবদুর রহিম (৩০) ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার সোনারামপুর গ্রামের তানিয়া আক্তার (২৫)।

প্রতারণার শিকার ইমাম হোসেন বলেন, দুই লাখ টাকার বিনিময়ে আমার রান্নাঘরের মাটির নিচ থেকে স্বর্ণ তুলে দেবে বলে তোফাজ্জল মুন্সী চুক্তি করেন। গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রহিম ও তানিয়াকে তিনি আমার ঘরে আসেন। সময়ক্ষেপণ করায় তাদেরকে আমার প্রতারক বলে সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ ডেকে তাদের ধরিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ব্যবসার সুবাদে গ্রেফতার তোফাজ্জলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। দুই লাখ টাকার চুক্তিতে তিন প্রতারক আমার রান্না ঘর থেকে সোনা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা আহমেদ বলেন, প্রতারণার খবর পেয়ে আমরা ইমামের বাড়ি গিয়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করি। জানা গেছে তোফাজ্জল, রহিম ও তানিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে দেশের কয়েক জেলায় অভিযোগ আছে। প্রতারণার নেপথ্যে কাজ করতেন তোফাজ্জল। ইমামের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।