ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

গাঁজা খাওয়া নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২৫

আকাশ জাতীয় ডেস্ক: 

গাঁজা খাওয়া নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ও চুমুরদী ইউনিয়নের কয়েক গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ও শনিবার সকালে সংঘর্ষে ঘটনায় ২৫ জন লোক আহত হন। এ সময়ে তারা ঘারুয়া ও পুর্বসদরদী বাজারের প্রায় ৪০টি দোকান পাট ভাংচুর ও লুটপাট করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় , প্রায় ১৫/২০ দিন আগে ঘারুয়া-মকরমপুর্টি ফিডার সড়কের চানপুর্টি এলাকায় চুমুরদী ইউনিয়নের পুর্বসদরদী গ্রামের শাওন, জনি শোহাইব গাঁজা খাচ্ছিল। তখন ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরকপুর্টি গ্রামের আল আমিন তাদের এলাকায় গাঁজা খেতে নিষেধ করে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকালে মকরমপুর্টি গ্রামের আল আমিনসহ কয়েক যুবক ঘারুয়া স্কুল মাঠে ফুটবল খেলতে আসে। তখন পুর্বসদরদী গ্রামের ২০/২৫ জন যুবক স্কুল মাঠে এসে আল আমিনকে মারধর করতে থাকে। তখন উপস্থিত অন্য যুবকেরা আল আমিনের পক্ষ নিলে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে পুর্বসদরদী গ্রামের যুবকেরা দেশী অস্ত্র নিয়ে ঘারুয়া বাজারের প্রায় ১৫টি দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।

পরদিন শনিবার সকালে মকরমপুর্টিসহ আরো ২/১ গ্রামের লোকজন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে পুর্বসদরদী বাজারের প্রায় ২৫টি দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। পুলিশ উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ঘারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মুনসুর মুন্সী জানান, গাঁজা খাওয়া নিয়ে ২ পক্ষের যুবকেরা মারামারি ও অনেক দোকানঘর ভাংচুর করেছে। তবে উশৃংখল যুবকদের কঠোরভাবে বিচার করতে হবে। এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে তারা মারামারি করতে না পারে।

এ বিষয় ভাঙ্গা থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ও শনিবার সকালে যুবকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। দোকান ঘর ভাংচুর করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়েছি। এখন কোনো পক্ষে কোনো অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

গাঁজা খাওয়া নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২৫

আপডেট সময় ০৬:০৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

আকাশ জাতীয় ডেস্ক: 

গাঁজা খাওয়া নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ও চুমুরদী ইউনিয়নের কয়েক গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ও শনিবার সকালে সংঘর্ষে ঘটনায় ২৫ জন লোক আহত হন। এ সময়ে তারা ঘারুয়া ও পুর্বসদরদী বাজারের প্রায় ৪০টি দোকান পাট ভাংচুর ও লুটপাট করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় , প্রায় ১৫/২০ দিন আগে ঘারুয়া-মকরমপুর্টি ফিডার সড়কের চানপুর্টি এলাকায় চুমুরদী ইউনিয়নের পুর্বসদরদী গ্রামের শাওন, জনি শোহাইব গাঁজা খাচ্ছিল। তখন ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরকপুর্টি গ্রামের আল আমিন তাদের এলাকায় গাঁজা খেতে নিষেধ করে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকালে মকরমপুর্টি গ্রামের আল আমিনসহ কয়েক যুবক ঘারুয়া স্কুল মাঠে ফুটবল খেলতে আসে। তখন পুর্বসদরদী গ্রামের ২০/২৫ জন যুবক স্কুল মাঠে এসে আল আমিনকে মারধর করতে থাকে। তখন উপস্থিত অন্য যুবকেরা আল আমিনের পক্ষ নিলে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে পুর্বসদরদী গ্রামের যুবকেরা দেশী অস্ত্র নিয়ে ঘারুয়া বাজারের প্রায় ১৫টি দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।

পরদিন শনিবার সকালে মকরমপুর্টিসহ আরো ২/১ গ্রামের লোকজন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে পুর্বসদরদী বাজারের প্রায় ২৫টি দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। পুলিশ উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ঘারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মুনসুর মুন্সী জানান, গাঁজা খাওয়া নিয়ে ২ পক্ষের যুবকেরা মারামারি ও অনেক দোকানঘর ভাংচুর করেছে। তবে উশৃংখল যুবকদের কঠোরভাবে বিচার করতে হবে। এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে তারা মারামারি করতে না পারে।

এ বিষয় ভাঙ্গা থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ও শনিবার সকালে যুবকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। দোকান ঘর ভাংচুর করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়েছি। এখন কোনো পক্ষে কোনো অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।