ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

ছেলে হত্যায় বাবাসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:  

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শাহ আলম হত্যা মামলায় একই পরিবারের চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহতের বাবা মোজাফ্ফর আহাম্মদ (৬৫), ভাই আরিফ উল্লাহ (৩৫), ভাইয়ের স্ত্রী আছমা ছিদ্দিকা (২৮) ও বোন শাহনাজ বেগম (৫০)।

তারা সবাই নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মন্ডল্যাঘোনা এলাকার বাসিন্দা। বোন শাহনাজ বেগমের শ্বশুরবাড়ি কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তুলাতলী এলাকায়। তার স্বামীর নাম মো. হোসেন প্রকাশ কালু।

রায় ঘোষণাকালে আসামি আরিফ উল্লাহ ও শাহনাজ বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মোজাফ্ফর আহাম্মদ ও আছমা ছিদ্দিকা পলাতক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল করিম। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শামসুল আলম।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার নুরুল আবছার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর বসতভিটা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে আসামিরা দা, হাতুড়ি, লোহার রড ও লাঠি নিয়ে শাহ্ আলমের বসতঘরে প্রবেশ করেন। তারা শাহ্ আলমের মাথায় দা দিয়ে কোপ দেন এবং রড ও লাঠি দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর শাহ্ আলম মারা যান।

এ ঘটনায় শাহ্ আলমের স্ত্রী আরফাতুন্নেছা থানায় মামলা করেন। পুলিশ ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর এ ঘটনায় আরিফ উল্লাহ, আছমা সিদ্দিকা, মোজাফ্ফর আহাম্মদ ও শাহনাজ বেগমকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল করিম বলেন, মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ছেলে হত্যায় বাবাসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৯:৩০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:  

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শাহ আলম হত্যা মামলায় একই পরিবারের চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহতের বাবা মোজাফ্ফর আহাম্মদ (৬৫), ভাই আরিফ উল্লাহ (৩৫), ভাইয়ের স্ত্রী আছমা ছিদ্দিকা (২৮) ও বোন শাহনাজ বেগম (৫০)।

তারা সবাই নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মন্ডল্যাঘোনা এলাকার বাসিন্দা। বোন শাহনাজ বেগমের শ্বশুরবাড়ি কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তুলাতলী এলাকায়। তার স্বামীর নাম মো. হোসেন প্রকাশ কালু।

রায় ঘোষণাকালে আসামি আরিফ উল্লাহ ও শাহনাজ বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মোজাফ্ফর আহাম্মদ ও আছমা ছিদ্দিকা পলাতক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল করিম। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শামসুল আলম।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার নুরুল আবছার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর বসতভিটা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে আসামিরা দা, হাতুড়ি, লোহার রড ও লাঠি নিয়ে শাহ্ আলমের বসতঘরে প্রবেশ করেন। তারা শাহ্ আলমের মাথায় দা দিয়ে কোপ দেন এবং রড ও লাঠি দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর শাহ্ আলম মারা যান।

এ ঘটনায় শাহ্ আলমের স্ত্রী আরফাতুন্নেছা থানায় মামলা করেন। পুলিশ ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর এ ঘটনায় আরিফ উল্লাহ, আছমা সিদ্দিকা, মোজাফ্ফর আহাম্মদ ও শাহনাজ বেগমকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল করিম বলেন, মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।