ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে বাবা নাজেহাল, ওসি প্রত্যাহার

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:  

মানিকগঞ্জের শিবালয় থানায় মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক পিতা নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআই-এর পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনকে মানিকগঞ্জ জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার রাতে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান সোমবার এক আদেশে শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীনকে মানিকগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে মাদারীপুর জেলায় সংযুক্তি করেছেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধ করলে তার দায় পুলিশ বাহিনীর নয়। পুলিশের যে সদস্য অপরাধ করেছেন তার দায় তাকেই নিতে হবে। শনিবার সন্ধ্যায় কন্যাকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক পিতা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তি করা হয়েছে। পরে ওসিকেও বদলি করা হয়েছে। তবে বদলিই শুধু নয়, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি থানায় ছিলেন না। এসময় এএসআই আরিফ হোসেন একজনকে থানার ভেতরে মারধর করেন। এই ঘটনায় আমাকে সোমবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ থেকে মাদারীপুর জেলায় বদলি করা হয়েছে। সোমবার রাতে ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ আহমেদের কাছে তার দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা স্ত্রীসহ ঢাকায় বসবাস করেন। তার ৫ বছরের শিশু কন্যা থাকেন দাদীর কাছে। গত ২০ জুলাই শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মান্নান খানের চাচাতো ভাই রজ্জব খান তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি হাতে নাতে ধরে ফেলেন শিশুটির দাদী। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন না।

এরপর, গত ১৪ আগস্ট শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই কিশোরীর বাবা। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও থানা থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে মা ও শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান তিনি। এএসআই আরিফ হোসেনের কাছে ঘটনা খুলে বলার পর তাকে থানার ভেতর মারধর করা হয়। রাতে পুলিশ সুপারের কাছে বিচার দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) নূরজাহান লাবনীর নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। ওই রাতেই অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে বাবা নাজেহাল, ওসি প্রত্যাহার

আপডেট সময় ০৭:১৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:  

মানিকগঞ্জের শিবালয় থানায় মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক পিতা নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআই-এর পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনকে মানিকগঞ্জ জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার রাতে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান সোমবার এক আদেশে শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীনকে মানিকগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে মাদারীপুর জেলায় সংযুক্তি করেছেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধ করলে তার দায় পুলিশ বাহিনীর নয়। পুলিশের যে সদস্য অপরাধ করেছেন তার দায় তাকেই নিতে হবে। শনিবার সন্ধ্যায় কন্যাকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক পিতা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তি করা হয়েছে। পরে ওসিকেও বদলি করা হয়েছে। তবে বদলিই শুধু নয়, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি থানায় ছিলেন না। এসময় এএসআই আরিফ হোসেন একজনকে থানার ভেতরে মারধর করেন। এই ঘটনায় আমাকে সোমবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ থেকে মাদারীপুর জেলায় বদলি করা হয়েছে। সোমবার রাতে ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ আহমেদের কাছে তার দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা স্ত্রীসহ ঢাকায় বসবাস করেন। তার ৫ বছরের শিশু কন্যা থাকেন দাদীর কাছে। গত ২০ জুলাই শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মান্নান খানের চাচাতো ভাই রজ্জব খান তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি হাতে নাতে ধরে ফেলেন শিশুটির দাদী। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন না।

এরপর, গত ১৪ আগস্ট শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই কিশোরীর বাবা। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও থানা থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে মা ও শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান তিনি। এএসআই আরিফ হোসেনের কাছে ঘটনা খুলে বলার পর তাকে থানার ভেতর মারধর করা হয়। রাতে পুলিশ সুপারের কাছে বিচার দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) নূরজাহান লাবনীর নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। ওই রাতেই অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।