আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় নয় মাস ধরে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রেজাউল হকের বিরুদ্ধে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও বিষয়টি জানাজানির পর অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে সিংগাইর থানা চত্বরে ওই তরুণী গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বর মাসে তার ছোট ভাই নিখোঁজ হওয়ায় সিংগাইর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করতে যান। সেখানে ওসির রুমে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের কথা পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী জানতে পারেন। গত রবিবার মধ্যরাতে ওই পুলিশ কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বিষয়টি আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে না পেরে পরেরদিন সকালে তার বাসায় যাই। এ সময় পুলিশ ডেকে এনে তার স্ত্রী আমাকে মারধর করে থানায় পাঠিয়ে দেন। দুপুরের দিকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা থানায় এসে আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকেই তার ফোন বন্ধ এবং তার কোনো খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না।’
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সকালে মেয়েটি আমার কার্যালয়ে এসেছিল। তখন আমি মিটিংয়ে ছিলাম। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল হকের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।