অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুকুনুজ্জামান রুকন অপহরণ ঘটনাকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। কোটি টাকার কাবিনে দ্বিতীয় স্ত্রী উম্মে হাবিবা মৌসুমীকে ঘরে তোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ রহস্য দেখা দিয়েছে। মৌসুমীকে বিয়ের পর এ নিয়ে পারিবারিক ঝামেলাও চলছিল। শেষপর্যন্ত স্ত্রীকে তালাক দিয়ে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন মেয়র রুকন।
কিন্তু কাবিনের কোটি টাকা পরিশোধের ভয়ে আটকে গিয়েছিল মেয়রের পরিত্রাণের সেই উদ্যোগ। অপহরণ ও উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে রহস্য এখানেই শেষ নয়। ঘটনার দিন ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টার দিকে রুকনের উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৬০ নম্বর বাসায় ৩৫-৩৬ বছর বয়সী এক নারী এসেছিলেন তার সঙ্গে দেখা করতে। রুকনের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা বলার পর তিনি চলে যান।
মেয়র তাকে এগিয়ে দিতে নিচ পর্যন্ত যান। পরে বাসায় ফিরে সকাল ৯টার দিকে বের হয়ে আর ফেরেননি মেয়র। বাড়ির সিসি ক্যামেরায় ওই নারীর ভেতরে ঢোকা ও বের হওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। পুলিশ বলছে, কাবিন ও নারী রহস্য ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে। মেয়র অসুস্থ থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না। তিনি সুস্থ হলে সব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সরিষাবাড়ীর স্থানীয় সূত্র বলছে, কোটি টাকার কাবিনে এক বছর আগে মেয়র রুকন তার বড় ভাইয়ের শ্যালিকা উম্মে হাবিবা মৌসুমীকে বিয়ের পর উত্তরার একটি বাসায় রাখেন। মৌসুমীরও এটা দ্বিতীয় বিয়ে। রুকনকে বিয়ে করার আগে ৪০ লাখ টাকা নিয়ে মৌসুমী তার আগের স্বামীর সংসার ছাড়েন।
স্থানীয় সূত্রটি আরো জানায়, কোটি টাকা কাবিনে উম্মে হাবিবা মৌসুমীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলার পর থেকেই মেয়রের পরিবারে কলহ চলছিল। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। অন্যদিকে কোটি টাকা দেয়ার ভয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকেও তালাক দিতে পারছিলেন না। মাস দুয়েক আগে দ্বিতীয় স্ত্রী ঢাকা থেকে সরিষাবাড়ী গিয়ে মেয়রের বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ঢাকায় আনার উদ্যোগ নিলে কলহ বাড়তে থাকে।
এরই জেরে মেয়র রুকন প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে প্রকাশ্যে সরে আসেন রুকন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে এ নিয়ে কলহ চলছিল।
সূত্র বলছে, দ্বিতীয় স্ত্রী এর আগে এক প্রবাসীকে বিয়ে করেছিলেন। ওই প্রবাসীর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা বাগিয়ে নিয়ে এক বছর আগে তাকে তালাক দিয়ে রুকনকে বিয়ে করেন।