আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
পিরোজপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগ নেতা ও শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুহুল আমিন শেখকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান সদর থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান। আহত রুহুল আমিন শেখ (৪৫) সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি সদস্য রুহুল আমিন শেখ দাবি করেন, গত ১১ নভেম্বর শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন নির্বাচনে তিনি ৯নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ওই দিন শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের চালিতাখালী গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে সদর উপজেলায় আসার পথে কদমতলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়াতলা এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় সন্ত্রাসী ফারুখসহ প্রায় ২০-২৫ জন তার মোটরসাইকেলের সামনে এসে তাকে থামায়।
পরে সন্ত্রাসীরা তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে স্থানীয় কদমতলা ইউনিয়নের সামনের রাস্তা দিয়ে দূরে নিয়ে গিয়ে লোহার জিআই পাইপ ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা লোহার জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেয়। এ সময় অনেক ডাক-চিৎকার দিলেও সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং তার সঙ্গে থাকা টাকা ও কিছু মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে তাকে ফেলে চলে যায়। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে গুরুতর আহতাবস্থায় নিয়ে আসেন।
জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তন্ময় মজুমদার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসা ইউপি সদস্য রুহুল আমিন শেখের দুই পা শক্ত কিছুর আঘাতে ভেঙে গেছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ এবং অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।