আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
কাপনের কাপড় পরে প্রতীক আনতে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (বিদ্রোহী) যুবলীগের মো. আলাউদ্দিন সরদার।
হামলায় আলাউদ্দিনের অন্তত ২০-২৫ জন কর্মী আহত ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে পাঁচজন বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আলাউদ্দিন সরদার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. নাগর হাওলাদারের সমর্থকরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এজন্য তিনি মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের দিন প্রতীক আনতে কাফনের কাপড় পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান।
নির্বাচন অফিসে যাওয়ার পথে উপজেলা চত্বরের কাছে পৌঁছলে আলাউদ্দিনের কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় তার কর্মীদের ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এতে আমজাদ, নাছির, রাসেল, নুরুনন্নবী, রাকিবসহ ২০-২৫ জন কর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজন বোরহানাউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাগর হাওলাদার বলেন, আমি নির্বাচন অফিস থেকে প্রতীক নিয়ে এলাকায় চলে আসি। পরে তিনি (আলাউদ্দিন সরদার) কাফনের কাপড় পরে প্রতীক আনতে যান। আমি শুনেছি তিনি আমাকে গালিগালাজ করেছেন। তবে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে আমি জানি না।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ জানান, এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন সরদার মৌখিকভাবে বলেছেন। তবে লিখিতভাবে অভিযোগ দেননি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ফকির বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ যাওয়ার পর উভয়পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।